পৃথিবীর ব্যাসার্ধ কে আবিষ্কার করেন?
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ। |
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ হল পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে তার পৃষ্ঠের বা তার কাছাকাছি একটি বিন্দুর দূরত্ব। আর্থ গোলক একটি উপবৃত্তাকার উপবৃত্তাকার দ্বারা পৃথিবীর চিত্রের আনুমানিক ব্যাসার্ধ সর্বাধিক থেকে প্রায় ৬,৩৭৮ কিমি ৩,৯৬৩ মাইল থেকে সর্বনিম্ন প্রায় ৬,৩৫৭ কিমি বা ৩,৯৫০ মাইল।
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ আবিষ্কার
সাইরিনের ইরাথোস থেনিস বা এরাটোস্থেনিস (প্রাচীন গ্রিক: Ἐρατοσθένης, আইপিএ: [eratostʰénɛːs]; ইংরেজিঃ ɛrətɒsθəniːz/; খ্রিষ্টপূর্ব ২৭৬ – খ্রিষ্টপূর্ব ১৯৫/১৯৪ ছিলেন একজন গ্রিক গণিতজ্ঞ, ভূগোলবিদ, কবি, জ্যোতির্বিদ, এবং সঙ্গীত তত্ত্ববিদ। তিনি ছিলেন জ্ঞানপিপাসু ব্যক্তি, যিনি আলেকজেন্দিয়া লাইব্রেরী-তে কেবলমাত্র জ্ঞানার্জনের জন্য কর্মরত ছিলেন। তিনি জ্ঞানের অন্যতম শাখা ভূগোল এবং এর কতিপয় পরিভাষা উদ্ভাবন করেন, যা আজ আমদের জ্ঞান তৃষ্ণা মেটাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর পরিধি কত মিটার?
ইরাতোস্থিনিস লক্ষ করেন বছরের নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে সিয়েনে (বর্তমান আসওয়ান, মিশর) লম্বভাবে বা সোজাভাবে পোতা দন্ড ছায়া ফেলে না। কিন্তু ঐ সময়ে আলেকজান্দ্রিয়াতে (মিশরের একটি প্রাচীন শহর) পোতা দন্ড ছায়া ফেলে। তিনি দুই স্থানের মধ্যবর্তী দূরুত্ব পরিমাপ করেন ৮০০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর প্রথম মহাকাশচারীর নাম কি
পরবর্তীতে তিনি হিসাব করে দেখেন এই দুই স্থান হতে পৃথিবীর কেন্দ্রের সংযোজক সরলরেখাদ্বয় পৃথিবীর কেন্দ্রে ৭.২° কোণ উৎপন্ন করে। ৭.২° ব্যবধানের জন্য মধ্যবর্তী দূরত্ব হয় = ৮০০কি.মি.
অতএব, ৩৬০° ব্যবধানের জন্য মধ্যবর্তী দূরত্ব হয় = ৩৬০∗৮০০/৭.২= ৪০,০০০ কি.মি.।
সুতরাং, পৃথিবীর পরিধি 2πr= ৪০,০০০ কি.মি.। অতএব, ব্যাসার্ধ r= ৪০,০০০/2π =৬৩৬৬.18 km যা প্রায় সঠিক। উপরোক্তভাবে ইরাতোস্থিনিস সর্বপ্রথম পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ণয় করেন।