মঙ্গলে সন্ধান দেড় লক্ষ টন জল, প্রাণের সন্ধান মিলবে? নতুন গবেষণা ঘিরে শোরগোল



মঙ্গলে সন্ধান দেড় লক্ষ টন জল, প্রাণের সন্ধান মিলবে? নতুন গবেষণা ঘিরে শোরগোল
মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩.৫ মাইল উপরে দেড় লক্ষ টন জল ।


ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: মঙ্গল গ্রহের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩.৫ মাইল উপরে বরফের এই স্তর তৈরি হয়। মঙ্গলের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরি অলিম্পাস মনসসহ আগ্নেয়গিরি অঞ্চলে বরফের পাতলা স্তর রয়েছে। লাল গ্রহের ঠান্ডা ঋতুতে সূর্য ওঠার আগে প্রতিদিন এই স্তর তৈরি হয়। বিজ্ঞানীরা এই প্রথম মঙ্গলের বিষুবরেখার এত কাজে বরফের আকারে জলের সন্ধান পেলেন।

পৃথিবী ছাড়া আর কোন গ্রহে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে?

বহু বছর ধরে এই নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রাণের অস্তিত্ব থাকার অন্যতম শর্ত হল জল। লাল গ্রহ মঙ্গলে সেই জলের অস্তিত্ব রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, মঙ্গল গ্রহের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরিতে বরফের আকারে জল রয়েছে। যার পরিমাণ চমকে দেওয়ার মতো। প্রায় দেড় লক্ষ টন। নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে একটি আন্তর্জাতিক গবেষক দলের সেই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: গত ৫০ বছরের এত তীব্র সৌরঝড়, আগুনের ঝাপটা এল পৃথিবীর দিকেও, ছবি তুলল আদিত্য-এল১

বিজ্ঞানীরা এই প্রথম মঙ্গলের বিষুবরেখার এত কাজে বরফের আকারে জলের সন্ধান পেলেন। এর আগে বিজ্ঞানীরা মনে করেছিলেন, পাতলা বায়ুমণ্ডল ও তীব্র সূর্যালোকের কারণে বরফের স্তর হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। গবেষক দলের তরফে অ্যাডোমাস ভালানটিনাস বলেন যে, আমরা ভেবেছিলাম এরকম স্তর থাকা অসম্ভব।এখন তাঁরা মনে করছেন যে, ওই অঞ্চলে আগে সম্ভবত তুষারপাত হয়েছিল। পাঁচ বছর ধরে গবেষণা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 

আরও পড়ুন: আরও এক ধাপ এগোল ইসরো-র গগনযান, রকেটের ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের পরীক্ষা সফল

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও মার্স এক্সপ্রেস অরবিটারের তথ্য এবং ৩০ হাজার ছবি খতিয়ে দেখে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।বিজ্ঞানীরা আরো বলছেন, সূর্য ওঠার আগে কিছুক্ষণ এই বরফের স্তর স্থায়ী হয়। তারপর সূর্যের তেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাষ্পীভূত হয়ে যায়। বরফের স্তরটি একেবারে হালকা। এবং মঙ্গল গ্রহের বিরাট এলাকাজুড়ে অবস্থান করছে। 

ওই বরফের স্তরের পরিমাণ দেড় লক্ষ টন। যা ৬০টি অলিম্পিক সুইমিং পুলের জলের সমান।গবেষকরা মনে করেছেন, এই আবিষ্কার লাল গ্রহে জলের অস্তিত্বের নতুন গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এবং ভবিষ্যতে মঙ্গলে প্রাণের খোঁজেও সহায়তা করতে পারে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url