রকেট লঞ্চে কেন এত জল লাগে? কারণ জানলে চমকে যাবেন
ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: রকেট উৎক্ষেপণের সময় প্রায় ৩০ লক্ষ লিটার জলও ব্যবহার করা হয়। এমনই একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে এমনটা যে শুধু নাসাতেই হয় তা কিন্তু নয়। নাসা থেকে শুরু করে ISRO, এমনকী পৃথিবীর বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা স্টেশনেই এমনটা হয়।
রকেট উৎক্ষেপণের সময় খরচ হয় প্রায় ৩০ লক্ষ লিটার জল । |
রকেট লঞ্চে সময় জল ব্যবহার করা হয় কেন
মনে করুন তো, কোনও এক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে রকেট উৎক্ষেপণ হচ্ছে। কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। রকেট উৎক্ষেপণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে আগুনের শিখা এবং ধোঁয়া। কিন্তু এসব আপনি নিজের চোখে দেখতে পান। যেটা পান না, তা হল উৎক্ষেপণের সময় প্রায় ৩০ লক্ষ লিটার জলও ব্যবহার করা হয়।
নাসা তার ইউটিউব চ্যানেলে কেনেডি স্পেস সেন্টারের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে। এই ভিডিয়োতে লঞ্চ প্যাড ওয়াটার ডিলিউজ সিস্টেম পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার সময় প্রায় ৩০ লাখ লিটার জল ব্যবহার করা হয়েছে। কেন রকেট উৎক্ষেপণে এত বড় পরিসরে জল ব্যবহার করা হয়।রকেট উৎক্ষেপণের সময় বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের দল প্রস্তুত থাকে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর গভীরে ১০ কিলোমিটার গর্ত কেন খুঁড়ছে চীন?
উৎক্ষেপণের সময় রকেটের চারপাশে জলের প্রবল ঝরনা শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই রকেটের চারপাশে ৩০ লাখ লিটার জলের বিশাল ঝরনা তৈরি হয়। রকেটের সফল উৎক্ষেপণের জন্য এই জল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে রকেটটি যখন লঞ্চ প্যাড ছেড়ে যায় তখন প্রচুর শব্দ হয়। একটি SLS রকেট ১৭৬ ডেসিবেল শব্দ তৈরি করতে পারে। এটি জেটলাইনারের চেয়ে বেশি শব্দ করে।
আরও পড়ুন: দৈনিক একটা করে সূর্য তার খাবার! এমনি এক ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেলেন এবার বিজ্ঞানীরা
এক সঙ্গে লক্ষাধিক লিটার জল ঝরলে রকেটের আওয়াজের সমানই হয়। এইভাবে জল রকেটের শব্দকে কমিয়ে দেয়।এই জল শুধু রকেটের আওয়াজই কমায় না বরং আগুন ও ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। রকেট ছেড়ে দিলে প্রচুর আগুন ও ধোঁয়া বের হয় যা মোবাইল লঞ্চারের ক্ষতি করতে পারে। জল ঝরতে থাকলে মোবাইল লঞ্চারের ক্ষতি হয় না। জল সেই কম্পন নিয়ন্ত্রণ করে।