বিমানের ফুয়েল ট্যাঙ্ক মাঝ আকাশ থেকে খসে পড়লে কি হবে? ঠিক ভারতে এমনি হল এক দুর্ঘটনা
ভারতীয় MiG-29 ফাইটার জেট থেকে ভেন্ট্রাল ড্রপ ট্যাঙ্ক পড়ে যায় ছবি। |
ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: বিপদ কি আর বলে কয়ে আসে কখন যে কী ঘটে তা আর কে বলতে পারে। ২২ মে ২০২৩-এ একটি বড় বিপদের সম্মুখীন হতে হল বায়ুসেনাকে। এদিন একটি MiG-29 (MiG-29 ফাইটার জেট) ফাইটার পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডা বিমান বাহিনী ঘাঁটি থেকে একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ মিশনে উড়েছিল। ফেরার সময় ফাইটার জেট থেকে ভেন্ট্রাল ড্রপ ট্যাঙ্ক পড়ে যায়।
সব থেকে ভাল বিষয় হল ট্যাঙ্কটি এয়ারবেসের কাছে একটি জঙ্গলে পড়েছিল। এতে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। তবে ভয়ঙ্কর এক বিপদ থেকে বেঁচে গেল ভারতীয় বায়ুসেনা। কিন্তু প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে যে ঘটনাটি কীভাবে ঘটল? এত বড় ফুয়েল ট্যাঙ্ক কীভাবে পড়ে গেল? এর জন্য দায়ী কে? নাকি এটা কোনও রুটিন মিশনের অংশ ছিল অথবা ফাইটার জেটের ওজন কমাতেই কী এটা করা হয়েছে নাকি? সব কিছুর উত্তর খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভেন্ট্রাল ড্রপ ট্যাঙ্কটির কাজ কী?
যে কোনও ফাইটার জেটে অতিরিক্ত জ্বালানির জন্য ভেন্ট্রাল ড্রপ ট্যাঙ্কটি ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ কোনও জরুরী পরিস্থিতিতে যাতে সেটিকে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু চলতি বছরের ২২ মে ঘটনাটি ঘটার পর স্থানীয় প্রশাসন বিমানবাহিনী ট্যাঙ্কটিকে বিমানঘাঁটিতে নিয়ে গিয়েছে।
ফাইটার জেটের পুরো নাম কী?
MiG-29 ফাইটার জেটের পুরো নাম Mikoyan MiG-29। একজন পাইলটই এই ফাইটার জেটটি ওড়ান। ৫৬.১০ ফুট লম্বা ফাইটার জেটে দু’টি ইঞ্জিন থাকে। যা MiG-29-কে শক্তি দেয়। এর উইং-এর বিস্তার ৩৭.৩ ফুট। উচ্চতা প্রায় ১৫.৫ ফুট। অভ্যন্তরীণ জ্বালানী ক্ষমতা ৩৫০০ কেজি। ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে বর্তমানে ৬৫টি MiG-29 যুদ্ধবিমান রয়েছে। এটি রাশিয়ায় তৈরি একটি মাল্টিরোল কমব্যাট ফাইটার জেট।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে নাসায় চাকরি
MiG-29 প্রথম ১৯৮১ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এরপর থেকে বিশ্বের অনেক দেশের সেনাবাহিনীরা এটিকে ব্যবহার করেন ফাইটার জেট হিসেবে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৬০০টি MiG-29 যুদ্ধবিমান তৈরি হয়েছে। যাকে MiG-29K (MiG-29K) বলা হয়। এটি বিমানবাহী জাহাজে অবতরণ করতে পারে।
আরও পড়ুন: শনিগ্রহে 62টি চাঁদের সন্ধান! বৃহস্পতিকে ছাপিয়ে গ্রহটি চাঁদের রাজা হয়ে গেল
MiG-29 ফাইটার জেটের সর্বোচ্চ গতি কত?
MiG-29 ফাইটার জেটের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৪৫০ কিলোমিটার। এটি একবারে ১৪৩০ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে পারে। কমব্যাট রেঞ্জ অর্থাৎ অস্ত্র দিয়ে এটি ৭০০ থেকে ৯০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কেন সব সেনাবাহিনী একেই বেছে নিয়েছে।