রাক্ষুসে ব্ল্যাক হোল গিলে নিতে পারে তিন হাজার কোটি সূর্যকে! এমনি দাবি বিজ্ঞানীদের
রাক্ষুসে ব্ল্যাক হোল । |
বিজ্ঞানীদের দাবি যে , এই কৃষ্ণগহ্বরের ভর সূর্যের ভরের তিন হাজার কোটি গুণ বেশি। অর্থাৎ, সহজ কথায় এই কৃষ্ণগহ্বরে এঁটে যেতে পারে প্রায় তিন হাজার কোটি সূর্য। যদিও এই কৃষ্ণগহ্বর আমাদের নক্ষত্রমণ্ডল থেকে বহু আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: ব্ল্যাক হোল 8.5 বিলিয়ন বছর আগে উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হত্যা করেছিল, যার আলো এখন পৃথিবীতে এসে পৌঁছল
সাম্প্রতিক সময়ে কৃষ্ণগহ্বরটিকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি’র মাসিক গবেষণাপত্রে এই আবিষ্কারের কথা উঠে এসেছে। বিশেষ শক্তিশালী লেন্স ব্যবহার করে প্রায় দুই দশক ধরে গবেষণা চালিয়ে এই কৃষ্ণগহ্বরটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ২০০৪ সালে ডারহাম ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যালিস্টার এজ় প্রথম এই কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ‘সিটি কিলার’ গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে! বিপদের আশঙ্কা কতটা?
তার পর থেকে কৃষ্ণগহ্বরটিকে নিয়ে লাগাতার গবেষণা চলছিল।বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যে, ভবিষ্যতে বড় আকারের টেলিস্কোপ দিয়ে আরও দূরের কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে খোঁজখবর চালানো সম্ভব হবে।একটি নক্ষত্রের মৃত্যুতে কৃষ্ণগহ্বরের জন্ম হয়। কৃষ্ণগহ্বরের ক্ষমতা এতটাই বেশি যে তার মধ্যে থেকে আলোও বেরোতে পারে না। গিলে নেয় ছোট-বড় অনেক গ্রহ-নক্ষত্রকে। এর মধ্যে দিয়ে আলো পেরোতে পারে না বলে কৃষ্ণগহ্বরকে দেখতে পাওয়া যায় না।
ব্ল্যাক হোলের ভিতরে কি আছে
একটি নক্ষত্রকে ব্ল্যাক হোকে পরিনত হতে গেলে তার যথেষ্ট ভর থাকতে হবে। সাধারনত ৩ সৌর ভরের চেয়ে বেশি ভরের নক্ষত্রগুলো সুপারনোভা বিস্ফোরনের মাধ্যমে ব্ল্যাক হোলে পরিনত হয়। কোন নক্ষত্রের মৃত্যুপূর্ব ভর কমপক্ষে ৩ সৌর ভর হলে এর কেন্দ্রে ভর সংকোচন সুপারনোভা বিস্ফোরন ঘটাতে পারে এবং ব্ল্যাক হোল এর সৃষ্টি করতে পারে।