একটি ‘উপগ্রহ’ ধ্বংস করতে চলেছে ইসরো, কেন এমন সিদ্ধান্ত ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার
ইসরো ও ফরাসি মহাকাশ সংস্থা সিএনইএস যৌথভাবে একটি মহাকাশযান ছবি। |
ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো একটি উপগ্রহ ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সম্প্রতি ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো ও ফরাসি মহাকাশ সংস্থা সিএনইএস যৌথভাবে একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছিল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিচালনার জন্য। সেই মহাকাশযানটিই তারা বিধ্বস্ত করতে চলেছে।
কেন উপগ্রহ ধ্বংস করতে চায় ইসরো
ইসরো লো আর্থ অরবিট থেকে ওই স্যাটেলাইটটিকে বিধ্বস্ত করবে। মেঘা ট্রপিক্স ওয়ান বা এমটি১ ৭ মার্চ অর্থাৎ মঙ্গলবার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশ করবে। বি্জ্ঞানীরা মহাকাশের ধ্বংসাবশেষ প্রশমনের জন্য এবং লোয়ার আর্থ অরবিট বা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথকে আরও টেকসই করার জন্য গবেষণা ও বিশ্লেষণ করছেন। সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো ও ফরাসি মহাকাশ সংস্থা সিএনইএস যৌথভাবে এই মহাকাশযান পাঠিয়েছিল ২০১১ সালের অক্টোবরে।
তিন বছরের মিশন লাইফে মহাকাশযানটি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মহাকাশে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছে। বহু মূল্যবান ডেটা সরবরাহ করেছে। এই মহাকাশযানটি তার পরিষেবা প্রদানকালীন আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক জলবায়ু মডেলগুলিকে সমর্থন করেছিল। এখন এটিকে বিচ্ছিন্ন করে বায়ুমণ্ডলে পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস ইন্টার এজেন্সি স্পেস ডেব্রিস কোঅর্ডিনেশন কমিটি বা ইউএনআইএডিসি-র নির্ধারিত মহাকাশ ধ্বংসাবশেষ প্রশমন নির্দেশিকা অনুসরণ করে স্যাটেলাইটটি বিধ্বস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এবার পৃথিবীর বুকেই চন্দ্রপৃষ্ঠের পরিবেশে, কৃত্রিম চাঁদ, তৈরি করছে চিন
ইসরো প্রশান্ত মহাসাগরের একটি জনবসতিহীন এলাকাকে এমটি ওয়ানের ধ্ংসাবেশেস নিক্ষেপ করার জন্য বেছে নিয়েছে। মহাকাশ সংস্থাটি ২০২২ সালের আগস্ট থেকে বিলুপ্ত মহাকাশযানের কক্ষপথকে ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার জন্য ১৮টি কক্ষপথ কৌশল সম্পাদন করেছে। ডি-অরবিটিংয়ের মধ্যে উপগ্রহকে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা। ৭ মার্চ মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গ্রাউন্ড ইমপ্যাক্টের পরে চূড়ান্ত দুটি ডি বুস্ট বার্ন হওয়ার আশা করা হচ্ছে। ইসরো আরও জানিয়েছে যে, অ্যারো থার্মাল সিমুলেশনগুলি দেখিয়েছে যে, স্যাটেলাইটের কোনও বড় টুকরো হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ইসরো উপগ্রহের ছবি। |
আরও পড়ুন: মহাকাশচারীরা মহাকাশস্টেশনে কিভাবে চুল কাটেন! তা দেখালো এবার চীন
এখানে উল্লেখ্য যে, পৃথিবীকে ঘিরে থাকা মহাকাশের আবর্জনার বিষয়ে ভারত সোচ্চার হয়েছে। কীভাবে এটি পর্যবেক্ষণকে কঠিন করে তুলেছে এবং শূন্য মাধ্যাকর্ষণে সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।স্যাটেলাইটটিকে তার জীবনের শেষ সময়ে ডি-অরবিট করা উচিত। পৃথিবী বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের মাধ্যমে অর্থাৎ কক্ষপথে নিয়ে এসে তাকে ধ্বংস করে দিলে তা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বিঘ্ননাশক হবে। পরবর্তী মিশনে দুর্ঘটনাজনিত ব্রেক-আপের ঝুঁকি থাকবে না।