পৃথিবীর কক্ষপথ কে আবিষ্কার করেন?
পৃথিবীর কক্ষপথের ছবি ১।
পৃথিবীর কক্ষপথ কাকে বলে
ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: কক্ষপথ ইংরেজি নাম Orbit। কক্ষপথ বলতে কোন একটি বস্তুর কেন্দ্রমুখী বলের প্রভাবে অপর একটি বস্তুর চারদিকে ঘোরার পথকে বোঝায়। পদার্থবিদ্যায় কক্ষপথ বলতে বোঝায় মহাকর্ষীয় বলের ফলে কোন বস্তুর বক্র পরিক্রমণ পথ। উদাহরণস্বরূপ একটি নক্ষত্রকে ঘিরে কোনো গ্রহের প্রদক্ষিণ।সাধারণত গ্রহের কক্ষপথ হয় উপবৃত্তাকার।
কক্ষীয় গতি সম্পর্কিত বলবিদ্যার বর্তমান ধারনাটির ভিত্তি হল আলবার্ট আইনেস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা। সাধারণ আপেক্ষিকতা বা আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব বলতে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন কর্তৃক ১৯১৫-১৯১৬ সালে আবিষ্কৃত মহাকার্ষের জ্যামিতিক তত্ত্বকে বোঝায়। এটি বিশেষ আপেক্ষিকতা এবং নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্বকে একীভূত করার মাধ্যমে একটি বিশেষ অন্তর্দৃষ্টির জন্ম দিয়েছে।
কক্ষপথের ইতিহাস
আধুনিক কক্ষপথ বোঝার জন্য যে ভিত্তি সেটি প্রথম জোহানেস কেপলার এর তিনটি সূত্র দ্বারা প্রণয়ন করা হয়েছিল। প্রথমত তিনি দেখেন যে, আমাদের সৌরজগৎের গ্রহগুলোর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার না বৃত্তাকার । এবং সূর্য কক্ষপথের কেন্দ্রে অবস্থিত নয়। দ্বিতীয়ত, সূর্য থেকে কোন গ্রহ পর্যন্ত একটি সরল রেখা কল্পনা করা হয়। তাহলে গ্রহটি চলাকালে কল্পিত রেখাটি সমান সময়ে সমান ক্ষেত্র রচনা করবে। তৃতীয় ছিল, প্রতিটি গ্রহের প্রদক্ষিণের কালপর্বের বর্গ উপবৃত্তটির প্রধান অক্ষের ঘনফলের সমানুপাতিক।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ কত?
পৃথিবীর কক্ষপথের বৈশিষ্ট্য
১। পৃথিবীর কক্ষপথটি উপবৃত্তাকার ।
২। কক্ষপথের দৈর্ঘ্য প্রায় 96 কোটি কিমি ।
৩। কক্ষপথে পৃথিবী ঘণ্টায় ১ লক্ষ ৬ হাজার কিমি বা প্রতি সেকেন্ডে ৩০ কিমি বেগে ঘুরে চলেছে ।
৪। পৃথিবীর কক্ষপথটি একটি নির্দিষ্ট তলে অবস্থান করে ।
পৃথিবীর কক্ষপথের ছবি ২। |
আরও পড়ুন: গ্রহ গুলো গোলাকার হয় কেন! পৃথিবী সহ ব্রহ্মাণ্ডের সবগ্রহই গোলাকার এর কারণ কি?
পৃথিবীর কক্ষপথের দৈর্ঘ্য কত
পৃথিবীর কক্ষপথের দৈর্ঘ্য ৯৩৮০৫১৮২৭ কি.মি.।