উল্টো দিকে ঘুরবে এবার পৃথিবী? কী প্রভাব পড়বে জীবজগতে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল এর ছবি। |
ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে যার উত্তর এখনও বিজ্ঞানীরা খুঁজছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, পৃথিবীর ভেতরের অংশ গরম ও কঠিন লোহা দিয়ে তৈরি। এর ফলে পৃথিবীতে চৌম্বক ক্ষেত্র এবং মহাকর্ষ বল তৈরি হয়। পৃথিবীর কেন্দ্রে ঘূর্ণনের কারণে এটি ঘটে। তবে পৃথিবীর ঘূর্ণন কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেলে বা বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করলে কী হবে আমাদের?
কী হবে যদি পৃথিবী উল্টো দিকে ঘোরে
পৃথিবীতে কি প্রবল ভূমিকম্প হবে, এর মহাকর্ষ বল কি শেষ হয়ে যাবে,এর চৌম্বক ক্ষেত্রের উপর কি প্রভাব পড়বে এসবেরই উত্তর খুঁজেছেন বিজ্ঞানীরা। নেচার জিওসায়েন্সের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, প্রায় ৭০ বছর পর পর পৃথিবীর কেন্দ্রে ঘূর্ণনের দিক পরিবর্তন হয়। তবে এখন বিশ্বাস করা হচ্ছে যে এই পরিবর্তনটি ১৭ বছরে ঘটবে এবং পৃথিবীর কেন্দ্র বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করবে।
বিজ্ঞানীদের একটি দল দাবি করেছে যে, পৃথিবী তার ঘূর্ণনের দিক পরিবর্তন করতে পারে। ২০০৯ সালে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কোরের ঘূর্ণন থেমে যায়। তারপর তা আশ্চর্যজনকভাবে বিপরীত দিকে ঘুরে যায়। ১৪ বছর পর আবারও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দুতে অর্থাৎ ভূগর্ভে কী ঘটছে তা তখনই অনুভব করা যায় যখন ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে পৃথিবী কাঁপতে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশর মানুষের গড় আয়ু কমেছে ৩ বছর, বলছে সমীক্ষা
পৃথিবী উল্টো দিকে ঘোড়লে জীবজগতে কী হবে
এ বিষয়ে নেচার জিওসায়েন্সে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ব্যাখ্যা করেছে যে, পৃথিবীর কেন্দ্রের ঘূর্ণন এর উপরিভাগকে স্থির করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, প্রায় ৭০ বছর পর পৃথিবীর আবর্তনে পরিবর্তন হবে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, কয়েক সেকেন্ডের জন্য ঘূর্ণন বন্ধ করে দিলে বা দিক পরিবর্তন করলে পৃথিবীতে কোনও বিশেষ কোনও প্রভাব পড়বে না। পৃথিবী অবিরামভাবে পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে চলছে। প্রতি ঘন্টায় ১৬৭০ কিলোমিটার বেগে। এ কারণেই দিন রাত হয়। এ কারণেই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তও ঘটে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ তুরস্কের আকাশে এলিয়েনের UFO! এক চমকপ্রদ তথ্য সামনে আনলেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র এর ছবি। |
পৃথিবীর কেন্দ্র আবিষ্কৃত কবে হয়েছিল
১৯৩৬ সালে ডাচ বিজ্ঞানী ইঙ্গে লেহম্যান আবিষ্কার করেছিলেন যে, পৃথিবীর তরল কেন্দ্রটি একটি ধাতব বলের চারপাশে আবৃত। পৃথিবীর কেন্দ্র বেশ কঠিন। তবে যেকোনও ভূমিকম্প এবং পারমাণবিক পরীক্ষা পৃথিবীর কেন্দ্রকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।