জলজগতের সন্ধান 218 আলোকবর্ষ দূরে! এই প্রথম মানুষের বসবাসযোগ্য অন্য গ্রহ?

জলজগতের সন্ধান 218 আলোকবর্ষ দূরে! এই প্রথম মানুষের বসবাসযোগ্য অন্য গ্রহ?
মানুষের বসবাসযোগ্য অন্য গ্রহগুলোও এর ছবি।


ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে ২১৮ আলোকবর্ষ দূরে সৌরজগতের বাইরে 8টি নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। এদের মধ্যে দু'টির গঠন আর বৈশিষ্ট্য পৃথিবীর সঙ্গে অনেকটাই মিলেছে বলে দাবি করেছে সেই বিজ্ঞানী দল।জলের জগতের সন্ধান। একটি নয় দু’টি সৌরজগতের বাইরে মানুষের বসবাসের উপযোগী পরিবেশসমৃদ্ধ গ্রহের খোঁজে বহুদিন আগে থেকেই গবেষণা চালাচ্ছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। 

নাসার গবেষণা জানাচ্ছে যে, এই দুই গ্রহ জলে ভর্তি। এর আগে গবেষকরা যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়েও এমন কোনও গ্রহের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে পারেননি। মহাবিশ্বে এমন গ্রহের অস্তিত্ব এতদিন তাত্ত্বিক ধারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। দূরবীক্ষণযন্ত্র বা টেলিস্কোপের সাহায্যে রাতের আকাশে অনুজ্জ্বল অনেক বিন্দু দেখা গেলেও সেগুলোর সবই যে গ্রহ তা নয়। এ জন্যই সেগুলোর ব্যাপারে আরও স্পষ্টভাবে জানা জরুরি।

মানুষের বসবাসযোগ্য কেপলার-138C এবং কেপলার-138D সংক্রান্ত তথ্যঃ

এই সৌরজগতের বাইরে নতুন দু’টি গ্রহের প্রথমটির নাম কেপলার-138C৷ এটি পৃথিবী থেকে ৪৭০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। নিজের নক্ষত্রকে প্রতি ৩৫ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে। গ্রহটির ব্যাস পৃথিবীর তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। গবেষকেরা জানিয়েছেন ।সেখানকার পৃষ্ঠতল পাথুরে হওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ।

আরও পড়ুন: কসমিক কিহোল কি! এর রহস্যময় ছবি তুলল হাবল স্পেস টেলিস্কোপ

দ্বিতীয় গ্রহটির নাম কেপলার-138D। এটির আকার পৃথিবীর তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ বেশি। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ১,১০০ আলোকবর্ষ। নিজের নক্ষত্রকে একবার প্রদক্ষিণ করতে ১১২ দিন সময় নেয়। সেখানেও পাথুরে পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা বেশি।এদের আবিষ্কারে ভূমিকা রেখেছে নাসার হাবল আর অবসের থাকা স্পিটজার টেলিস্কোপ। গবেষকদের দাবি। 8টির মধ্যে দু’টির গঠন বৈশিষ্ট্য পৃথিবীর সঙ্গে অনেকটাই মেলে এবং মনে করা হচ্ছে ওই গ্রহ দু’টিতে জলের কোনও অভাব নেই। বরং বলা যেতে পারে জলের এক অনন্য জগত রয়েছে ওই দুই গ্রহে।

আরও পড়ুন: সাইপ্রাসে সেই চাঁদের পাথরের প্রদর্শনী! যা ৫০ বছর আগে মানুষের হাত ধরে পৃথিবীতে এসেছিল

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url