সেক্সে ভয়! নাসা মঙ্গলে কেন মহিলাদেরই পাঠাতে চাইছে?

সেক্সে ভয়! নাসা মঙ্গলে কেন মহিলাদেরই পাঠাতে চাইছে?
যে কারণে মঙ্গলে মহিলা পাঠাতে চাইছে নাসা।


ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: বিজ্ঞানীরা এখন আর চন্দ্রাভিযানেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছেন না। আর্টেমিস ১ মিশন সফল হওয়ার পর মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছে নাসা। সবদিক ঠিক থাকলে ৫০ বছর পর মঙ্গলে মানুষ পাঠাবে স্পেস স্টেশনটি। আর সেই মিশনে চাঁদে মহিলাদের পাঠাতে চলেছেন নাসা। 

মঙ্গলে কেন মহিলাদেরই পাঠাতে চাইছে নাসা

মার্কিন মহাকাশ সংস্থাটি চাইছে যে, ৫০ বছর পর মঙ্গল মিশনে মহিলা ক্রু মেম্বারকেই পাঠাতে। কিন্তু কেন সেই প্রশ্নও উঠছে। তবে হালফিলে নাসা এমনতর ঘোষণা করলেও। মঙ্গলে মহিলা পাঠানোর নাসার এহেন পরিকল্পনা অনেক দিন আগে থেকেই চলে আসছে। একাধিক প্রতিবেদন থেকে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছিল। কিন্তু কী কারণে এত বছর পর মঙ্গল মিশনে মহিলাদের পাঠাতে চাইছে নাসা।

নাসা আগেই জানিয়েছিল যে, আর্টেমিস ১ মিশন যাতে কোনও ক্রু মেম্বার পাঠানো হয়নি। সেই মিশনটি সফল হলেই আর্টেমিস ২ মিশনের জন্য কাজ শুরু করা হবে। এই মিশনেই মঙ্গলে মহিলা পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে নাসা। এখন আর্টেমিস ১ মিশন যখন সফল হয়েছে। জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে আর্টেমিস ২ মিশন নিয়ে।২০১৭ সালে একটি সমাবেশে ব্রিটিশ মহাকাশচারী হেলেন শারম্যান নাসারই একটি রিপোর্ট উল্লেখ করে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন: প্রাণের সন্ধান মঙ্গলে পেল নাসার পারসিভারেন্স রোভার? বড় রহস্যের উন্মোচন করলেন বিজ্ঞানীরা

নাসার ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, মঙ্গলগ্রহে প্রায় দেড় বছরের কাছাকাছি সময় ধরে থাকার ফলে মহিলা এবং পুরুষ উভয় নভোচারীই ব্যাপকভাবে উত্তেজিত হতে পারেন। অর্থাৎ পুরুষ এবং মহিলা দুই পক্ষই এই মিশনের জন্য প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিতে পারে।তাই সেরা বিকল্প হিসেবে কেবলই মহিলাদের একটি ক্রু মঙ্গলে পাঠাতে চাইছে নাসা। এ বিষয়ে নাসার যুক্তি দল হিসেবে মহিলারা পুরুষদের থেকে আরও উপযুক্ত। যদিও শারম্যান নিজেই নাসার রিপোর্টটিকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। 

আরও পড়ুন: প্রতি ঘণ্টায় ১২০ টি উল্কাপিণ্ড পড়বে পৃথিবীতে এই ডিসেম্বরে, এর নাম জেমিনিড আপনিও দেখতে পাবেন?

কয়েক বছর আগের এই রিপোর্ট তিনি নিজের চোখে দেখেননি বলেও দাবি করেছেন।তিনি আরও যোগ করে বললেন যে, নাসা কখনই এই রিপোর্ট প্রকাশ করেনি। যদিও তিনি নিজে থেকেও এমনটা চান । মঙ্গল মিশনে যেন মহিলাদের ক্রুদেরই পাঠায় নাসা। তার কারণ ব্যাখ্যায় তাঁর দাবি দীর্ঘ সময়ের জন্য মঙ্গল অভিযানে পুরুষ ও মহিলা উভয়ে থাকলে উত্তেজিত হয়ে যৌনতায় লিপ্ত হতে পারেন। এর ফলে একজন নারী যদি গর্ভবতী হয়ে পড়েন তাহলে তার সন্তানের উপর যে কী প্রভাব পড়তে পারে সে বিষয়ে অবগত নন বিজ্ঞানীরা।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url