এলিয়েনদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এখনই প্রস্তুতি নিন, বিজ্ঞানীরা কড়া সতর্কবার্তা দিল

এলিয়েনদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এখনই প্রস্তুতি নিন, বিজ্ঞানীরা কড়া সতর্কবার্তা দিল
এলিয়েনদের ছবি।


ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহে প্রাণের সন্ধানে সদা ব্যস্ত থাকেন বিজ্ঞানীরা। তার প্রয়োজনও আছে। কারণ একদিন পৃথিবী শেষ হয়ে গেলে মানুষ অন্য গ্রহে যাতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে। অনেক বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে, যদি অন্য গ্রহে প্রাণের বিকাশ ঘটতে পারে। তাহলে সেখানে এলিয়েনদের অস্তিত্ব থাকাও সম্ভব। 

এলিয়েনদের সঙ্গে কেন মোকাবিলা করতে হবে পৃথিবীবাসীর

স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ ইউনিভার্সিটির একটি দল পরিকল্পনা করতে চায় যে, এলিয়েনরা পৃথিবীতে এলে কীভাবে তাদের মোকাবিলা করা যায়। বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে তাঁরা শক্তিশালী প্রোটোকল এবং চুক্তিগুলিকে একত্রিত করতে চান। পাশাপাশি এলিয়েন সভ্যতার কোনও প্রমাণের মূল্যায়নও করা হবে।প্রাথমিক কাজটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।যা অন্যান্য গ্রহে এলিয়েনদের অনুসন্ধানে নিবেদিত বা SETI। এই SETI পোস্ট-ডিটেকশন হাবের কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং সমন্বয়কারী ডঃ জন এলিয়ট বলেছেন। 

সায়েন্স ফিকশন ফিল্মগুলি এলিয়েন জীবন এবং তাদের প্রভাবের অনুসন্ধানে পূর্ণ। কিন্তু তাদের মানবিক প্রভাব সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনার বাইরে যেতে হবে।তিনি আরও যোগ করে বলছেন যে, আমাদের বিশেষজ্ঞমহলের জ্ঞানের সমন্বয় করতে হবে শুধুমাত্র প্রমাণের মূল্যায়নের জন্য নয়। মানব সমাজের প্রতিক্রিয়াও বিবেচনা করতে হবে কারণ এই ভাবেই আমাদের বোধগম্যতা বাড়বে।ডঃ জন এলিয়টের কথায় প্রস্তুতির জন্য এটাই উপযুক্ত সময়। এলিয়েনের সঙ্গে যুক্ত সংকেত হচ্ছে অর্থ একত্রিত করা এবং স্ক্যান করা এটি একটি বিস্তৃত এবং সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। 

আরও পড়ুন: এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ করল জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা! ১৮০০ রেডিও সিগন্যাল পেল র্বিজ্ঞানীরা

এলিয়েনদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এখনই প্রস্তুতি নিন, বিজ্ঞানীরা কড়া সতর্কবার্তা দিল ১


এগুলো বোঝার সময় বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের জ্ঞানের বিকাশ হবে। এদিকে আবার গবেষক দলটি বলছে যে, এলিয়েনদের সন্ধান মিললে কী হবে সে দিকে খুব সীমিত মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। গ্রহাণুর প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য জাতিসংঘের পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু এলিয়েনদের জন্য এরকম কোনও পদ্ধতি নেই।চলতি বছরের জুন মাসে নাসা ঘোষণা করেছিল UFO নিয়ে তারা প্রথম গবেষণা শুরু করছে। বিজ্ঞানীরা এই সময়ে ইউএফও-র বর্তমান ডেটা ভাল করে খুঁটিয়ে দেখছেন। 

আরও পড়ুন: কসমিক কিহোল কি! এর রহস্যময় ছবি তুলল হাবল স্পেস টেলিস্কোপ

এতে তিনি জানার চেষ্টা করছেন যে, কোনটি ইউএফও সম্পর্কিত ঘটনা আর কোনটি স্বাভাবিক এবং কোনটি সম্পর্কে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন নেই। হাবের গবেষকরা লিখেছেন যে, দূরবর্তী নক্ষত্রের কাছাকাছি হাজার হাজার গ্রহ রয়েছে। মঙ্গল গ্রহের কাছাকাছি প্রাণের খোঁজ করা হচ্ছে। যদি জীবাণুগত দিক থেকে জীবনের সন্ধান মেলে। তাহলে অন্যরকম উদ্বেগ থাকবে এবং মানুষ তার জন্য প্রায় প্রস্তুত। কিন্তু যদি একটি বুদ্ধিমান প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়। তবে এখনও আমরা তার জন্য প্রস্তুত নই।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url