পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র থেকে ভয়ঙ্কর এক শব্দ আসছে!

পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র থেকে ভয়ঙ্কর এক শব্দ আসছে!
পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ছবি।


ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: চৌম্বক ক্ষেত্র এমনই এক জটিল এবং গতিশীল বুদবুদ যা পৃথিবীকে মহাজাগতিক বিকিরণ থেকে নিরাপদ রাখে। পাশাপাশি সূর্য থেকে প্রবাহিত শক্তিশালী বায়ুবাহিত চার্জযুক্ত কণাগুলি পৃথিবীতে আসতে পারে না এই চৌম্বকীয় ক্ষেত্রর কারণেই। কিন্তু সেই চৌম্বক ক্ষেত্রের শব্দ কেমন তা কি আগে কখনও শুনেছেন? বিজ্ঞানীরা এই প্রথমবার প্রকাশ করলেন পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের শব্দ ঠিক কীরকম হয়। 

পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র এত গুরুত্ব কেন

ডেনমার্ক টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ম্যাগনেটিক সিগন্যালগুলিকে শব্দে রূপান্তরিত করেছেন। আর সেই শব্দ সত্যিই ভয়ঙ্কর । চৌম্বক ক্ষেত্রটি মূলত সুপারহিটেড ঘূর্ণায়মান তরল লোহার সমুদ্র দ্বারা উৎপন্ন হয়। যা প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার বাইরের কোর তৈরি করে।যদিও এটি গ্রহের নীচে উৎপন্ন হয়।

তবে এর প্রভাব আমাদের উপরে বায়ুমণ্ডলেও দেখা যায়। যখন সূর্য থেকে আধানযুক্ত কণাগুলি পরমাণু এবং অণুর সঙ্গে সংঘর্ষ লিপ্ত হয়। প্রধানত অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন উপরের বায়ুমণ্ডলে সংঘর্ষের কিছু শক্তি সবুজ নীল আলোতে রূপান্তরিত হয়। যা অরোরা বোরিয়ালিস হিসেবে দেখা যায়।২০১৩ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তরফে লঞ্চ করা একটি সোয়ার্ম স্যাটেলাইটের ট্রায়ো ব্যবহার করে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের রহস্য উন্মোচন করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। 

পৃথিবীর কেবল মূল থেকে নয় এমনকি ম্যান্টেল ক্রাস্ট এবং মহাসাগর ও সেই সঙ্গে আয়নোস্ফিয়ার এবং ম্যাগনেটোস্ফিয়ার থেকেও এমন চৌম্বকীয় সংকেতগুলিকে সঠিকভাবে পরিমাপ করে কীভাবে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়। তা আরও ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করছেন তাঁরা।ডেনমার্ক টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজ়িশিয়ান এবং প্রজেক্ট সাপোর্টার ক্লাস নিয়েলসন বলছেন যে, ড, দলটি ESA-র সোয়ার্ম স্যাটেলাইট সেই সঙ্গে অন্যান্য উৎস থেকে ডেটা ব্যবহার করেছে। 

আরও পড়ুন: আরেকটি মহাকাশ স্টেশন, তিয়ানগাং, এই বছর পৃথিবীর কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করা হবে

পৃথিবীর মূল ক্ষেত্রের একটি সোনিক উপস্থাপনাকে ম্যানিপুলেট এবং নিয়ন্ত্রণ করতে এই চৌম্বক সংকেতগুলি ব্যবহার করেছে। শিল্প এবং বিজ্ঞানকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে প্রকল্পটি অবশ্যই একটি ফলপ্রসূ হয়েছে।এদিকে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) বলেছে যে, ধারণাটি সবাইকে মনে করিয়ে দেয় যে চৌম্বক ক্ষেত্র বিদ্যমান। যদিও এর গর্জন কিছুটা অস্বস্তিকর হলেও পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব এর উপরেই নির্ভরশীল।

আরও পড়ুন: নতুন এক উল্কা আতঙ্ক বাড়াচ্ছে পৃথিবীর


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url