Asteroid 2022 WD গ্রহাণু, পৃথিবীর বুকে ধেয়ে আসছে ঘণ্টায় 23852 কিমি গতি বেগে

Asteroid 2022 WD গ্রহাণু, পৃথিবীর বুকে ধেয়ে আসছে ঘণ্টায় 23852 কিমি গতি বেগে
Asteroid 2022 WD গ্রহাণু ছবি।


ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এক প্রকার নিয়ম করে পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগামী গ্রহাণু। এর মধ্যেই আবার খবর এল ভয়ানক গতিতে একটি বিশালাকার স্পেস রক পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে চলতি সপ্তাহেই। খুব সম্ভবত পৃথিবীতে খতরনাক সেই অ্যাস্টারয়েড ধেয়ে আসতে পারে। নাসা জানাচ্ছে যে, ওই গ্রহাণুর গতিবেগ ২৩৮৫২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। 

গ্রহাণু Asteroid 2022 WD পৃথিবীর খুব কাছাকাছি

পৃথিবীর ইতিহাসে বড় বড় ঘটনা ও দুর্ঘটনার মূলে ছিল এই গ্রহাণুরা এবং ভয়ঙ্কর ভাবে পৃথিবীর উপরে তাদের আছড়ে পড়া। চেলিয়াবিন্স্ক বিপর্যয় থেকে শুরু করে ডাইনোসরের বিলুপ্তির কারণও ছিল এই গ্রহাণুরাই। যখনই তারা পৃথিবীর উপরে আছড়ে পড়েছে তখনই জীবনকে প্রভাবিত করেছে।নাসা সব সময়ই এই গ্রহাণুগুলিকে পর্যবেক্ষণ করছে। প্যানস্টার্স ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে এবং নিওওয়াইজ় টেলিস্কোপ দ্বারা সংগৃহীত ডেটা অধ্যয়ন করে এই গ্রহাণুগুলির উপর নজর রাখে নাসা। 

এই প্রযুক্তিগুলির কিছু মহাকাশে থাকলেও কিছু আবার পৃথিবী থেকেও নিয়ন্ত্রিত হয়।নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কো-অর্ডিনেশন অফিস এই গ্রহাণু সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে। নাসা জানিয়েছে যে, গ্রহাণুটির নাম 2022 WD। ৫২ ফুটের এই সুবিশাল গ্রহাণুটি ২১ নভেম্বর পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যেতে পারে। পৃথিবী থেকে ৪.২ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে অ্যাস্টারয়েডটির বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলে জানিয়েছে নাসা। তবে তার গতিবেগ মারাত্মক শুনলেই ভ্রুকুঞ্চিত হতে পারে। Asteroid 2022 WD প্রতি ঘণ্টায় ২৩৮৫২ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: গ্যালাক্সির এক মহা সংঘর্ষ? ৫০ কোটি বছরে সঙ্গম সম্পূর্ণ হয়ে, একটি উপবৃত্তাকার গ্যালাক্সি তৈরি হবে

তবে এই গ্রহাণু পৃথিবীর উপরে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে গ্রহের মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে সঙ্গে মিথষ্ক্রিয়ার ফলে এর যাত্রাপথে সামান্য ত্রুটি হলেই গ্রহাণুটি বিপর্যয়কর পরিণতির সঙ্গে তার গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। নাসা আরোও বলছে যে, Asteroid 2022 WD অ্যাপোলো গ্রুপের অন্তর্গত।১৯৩০ সাল নাগাদ জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল রেইনমুথ দ্বারা আবিষ্কৃত বিশাল ১৮৬২ অ্যাপোলো গ্রহাণুর নাম অনুসারে নিয়ার আর্থ গ্রহাণুর একটি গ্রুপ এটি।

আরও পড়ুন: তারার জন্ম হয় মহাকাশে কীভাবে! তার ছবি তুলে দেখাল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

নাসা ইতিমধ্যেই একটি প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস খুলেছে। যা ওয়াশিংটন ডিসিতে স্পেস সংস্থাটির সদর দফতরের প্ল্যানেটারি সায়েন্স ডিভিশন দ্বারা পরিচালিত হয়। সম্ভাব্য বিপজ্জনক বস্তু (PHOs), বিশেষ করে গ্রহাণু এবং ধূমকেতুর ভয়ানক প্রবণতা সম্পর্কে প্রাথমিক সনাক্তকরণ নিশ্চিত করে এই প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url