ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারের পা ধরে রেখেছে নাকি এলিয়েন! এমনি তথ্য মঙ্গল গ্রহ নিয়ে
নাসার ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার ছবি। |
ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: নাসার প্রকৌশলীরা যখন এই ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারটি উড়িয়েছিল তখন সেই সময় তাঁরা এর পায়ের সঙ্গে একটি রহস্যময় বস্তুকে ঝুলতে দেখেছিলেন। জিনিসটি অনেকটাই সুতোর মতো দেখাচ্ছিল। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ওই বস্তুটিকে এলিয়েন আখ্যা দিয়েছেন।
নাসার হেলিকপ্টারের পা ধরে রেখেছে এলিয়েন
প্রাণের সন্ধানে মঙ্গলে গিয়েছে নাসার পার্সিভারেন্স রোভার এবং ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার জেজ়োরে ক্রেটার। এর মধ্যেই ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারকে ঘিরে একটি চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। গত সেপ্টেম্বরে নাসার বিজ্ঞানীরা এই ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারকে। সেটি হল ইনজেনুইটির ৩৩ তম ফ্লাইট। আর ঠিক এই সময়েই নাসার ইঞ্জিনিয়াররা রহস্যমস একটি জিনিস দেখতে পান।
এ প্রসঙ্গে একটা বিষয় জেনে রাখা ভাল যে, মঙ্গল গ্রহে অবতরণের জন্য এই ছোট হেলিকপ্টারটির ৪টি পা রয়েছে। তাঁরা এর পায়ের সঙ্গে একটি রহস্যময় বস্তুকে ঝুলতে দেখেছিলেন। জিনিসটি অনেকটাই সুতোর মতো দেখাচ্ছিল। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ওই বস্তুটিকে এলিয়েন আখ্যা দিয়েছেন।একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন যে, এলিয়েন তার পায়ের নীচে একটি সুতো বেঁধে রেখে ওই হেলিকপ্টারে ঝুলছে।
মিশনের ন্যাভিক্যাম এটির ফুটেজ রেকর্ড করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছেন যে, হেলিকপ্টারের পায়ে আটকে থাকা কিছু থ্রেডের মতো ধ্বংসাবশেষ।যা ফ্লাইট ওড়ার সময় পিছনে পড়ে যায়। এটি বিমানের কিছু ধ্বংসাবশেষ হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। অতীতেও বিমানের এরকম ধ্বংসাবশেষ দেখা গিয়েছে।ফ্লাইট থেকে সমস্ত টেলিমেট্রি এবং ফ্লাইট-পরবর্তী অনুসন্ধান থেকে জানা গিয়েছে। হেলিকপ্টারের কোনও ক্ষতি হয়নি তা দেখাও যায়নি।
আরও পড়ুন: যেন ভিনগ্রহীদের যান? চাকায় চলা রোভার নয়, এ বার উড়ন্ত চাকি যাবে চাঁদে ও গ্রহাণুতে
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির কর্মকর্তারা লিখেছেন যে, ইনজেনুইটি এবং পার্সিভারেন্স মার্স ২০২০ টিম ধ্বংসাবশেষের উৎস বোঝার জন্য কাজ করছে। ইনজেনুইটি ইঞ্জিনিয়াররা এখন বর্ধিত মিশনের সঙ্গে একটি ভাল ফ্লাইট ওড়াতে সক্ষম হয়েছেন। ড্রোনটি মঙ্গল গ্রহে প্রথম এবং পাঁচটি ফ্লাইটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: চাঁদের জন্ম থিয়া ধাক্কায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই! নতুন তথ্য উঠে এল গবেষণায়
নাসার পার্সিভারেন্স রোভার মঙ্গল গ্রহে জীবনের চিহ্নের নমুনা খুঁজছে। বিজ্ঞানীরা জানতে চান প্রাচীনকালে মঙ্গলে প্রাণ ছিল কি না। এর মাধ্যমে তারা জানতে পারবেন। এখানে প্রাণের সম্ভাবনা আছে কি না। ইতিমধ্যেই ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার অধ্যবসায় জন্য একটি পরীক্ষা স্কাউট হিসেবে কাজ করছে।