পাথরের ধাক্কায় মঙ্গল গ্রহে ভূমিকম্প! অবাক বিজ্ঞানীমহল
ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: মঙ্গল গ্রহ আজও আমাদের অজানা এক জগৎ । তবে নাসা সহ বিশ্বের বেশ কিছু মহাকাশ সংস্থা এই গ্রহের কিছু ছবি তুলে ধরেছিল। আর সেই ছবিগুলি আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, মঙ্গল গ্রহ ভিতর কি কি আছে। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর নাসার স্পেসক্রাফ্ট ইনসাইট মঙ্গল গ্রহে পৌঁছেছিল।চিত্তাকর্ষক কিছু ছবিও তুলে এনেছিল রোবটিক মহাকাশযানটি। এমনকি মিশনটি অনেক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণও বলে মনে করা হয়েছিল। তবে ইনসাইট যে শুধুই মঙ্গল গ্রহের ভূমিকম্প সম্পর্কে জানিয়েছিল এমনটা নয় লাল গ্রহের পৃষ্ঠতল কেমন হতে পারে সে সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছিল।
তুষারপাত মঙ্গলে
২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর ইনসাইটের মাটির নীচে মঙ্গল গ্রহের পৃথিবী কেঁপে উঠেছিল। তাই বিজ্ঞানীরা প্রথমে ভেবেছিলেন এটি কেবল আর একটি ভূমিকম্প হবে। চার মাত্রার এই ভূমিকম্পটি আসলে একটি মহাকাশ পাথরের সংঘর্ষের ফলে হয়েছিল। এই শিলাটি দুই হাজার মাইল দূরে মঙ্গলের পৃষ্ঠে আঘাত হানে। ঘটনাটি মঙ্গলের গরম বিষুবরেখার কাছাকাছি একটি বড় গর্ত তৈরি করেছে। এই লাইনে গর্তের কারণে চকচকে বরফের টুকরো দৃশ্যমান ছিল।
জীবের উপর অধ্যয়ন মঙ্গলে
গবেষকরা মঙ্গল গ্রহে একটি জীবাণু পরীক্ষা করেছেন। এই জীবের নাম ছিল কোনান দ্য ব্যাকটেরিয়াম। এই পরীক্ষার পরে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছিলেন যে, মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠের নীচে অনুরূপ একটি জীব বিকাশ করছে এবং গভীর ঘুমে রয়েছে। যা এখানে কঠোর পরিস্থিতি সহ্য করতে পারে।
আরও পড়ুন: ৫৯ বছর পর পৃথিবীর অনেকটা কাছে এল বৃহস্পতি, এমনটা আর ১০৭ বছরে হবে না
নাসার অন্তর্দৃষ্টি কী হবে মঙ্গল নিয়ে
নাসা আরও বলেছে যে, তাদের মিশন ইনসাইট মঙ্গল গ্রহে উৎক্ষেপণ গ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করবে। এই অভিযানকে এক নতুন যুগের সূচনা বলে অভিহিত করা হয়েছে নাসার তরফে। মঙ্গলে এক বছর পৃথিবীর দুই বছরের সমান। নাসা বলছে যে, মঙ্গল গ্রহের পুরো এক বছর ধরে বিজ্ঞানীরা এখানে এর গতি ও তাপমাত্রা সম্পর্কিত দিকগুলো নিয়ে গবেষণা করেন।
আরও পড়ুন: অন্তহীন ব্ল্যাক হোলে মিশছে ছায়াপথ, অভূত ছবি তুলল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ