মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দিতে, বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, মহাবিস্ফোরণের (বিগ ব্যাং) মাধ্যমে সৃষ্টির পর থেকেই প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে মহাবিশ্ব। নানা গবেষণায় সম্প্রসারণের গতিবেগ সম্পর্কেও ধারণা দেন তারা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে তা ।
মহাবিশ্ব ও সৌরজগৎ ছবি। |
মহাবিশ্ব কি
সকল গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি, ধূমকেতু, ব্ল্যাক হোল সহ সমস্ত মহাজাগতিক বস্তুকে একত্রে মহাবিশ্ব বলে। এমনকি সমস্ত মহাজাগতিক বস্তু যে অসীম শূন্যস্থানে বিরাজ করছে তা ও মহাবিশ্বের অংশ। তবে শুধু তাই নয় অসীম সংখ্যক মহাজাগতিক বস্তু বা মহাশূন্য সময়ও মহাবিশ্বের একটি অপরিহার্য অংশ।
মহাবিশ্বের প্রসারণ
প্রসারণ হচ্ছে মানে বৃদ্ধি লাভ করছে বা বেড়ে যাচ্ছে। মহাবিশ্ব প্রসারণ বলতে মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু কণাসহ মহাবিশ্বের সীমানা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সহজ কথায় মহাবিশ্ব ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের সৌরজগতের মতো আরও মহাবিশ্বে এমন অনেক কোটি কোটি গ্রহ উপগ্রহের কেন্দ্র রয়েছে যা নিয়ে গঠিত হয় গ্যালাক্সি।
বিজ্ঞানীদের অনুমানের চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ বেশি দ্রুতগতিতে প্রসারিত হচ্ছে মহাবিশ্ব।নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দাবি যে, হাবল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে তারা মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের এই গতিবেগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারস এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর জন্মের ১৩০০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বের ছবি তুলেছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির পদার্থ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী অ্যাডাম রেইসের নেতৃত্বে গবেষক দল পৃথিবীর কাছের ছায়াপথের ৭০টি নক্ষত্রের ওপর গবেষণা চালায়। তারা নক্ষত্রগুলোর বিচ্ছুরিত আলো উজ্জ্বলতা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাসায় কর্মরত বাংলাদেশী
মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী ছবি। |
টেলিস্কোপ হাবল কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান একেকটি নক্ষত্রকে ৯০ মিনিট করে পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন সময়ের ছবি তুলে রাখে। গবেষণায় পাওয়া তথ্যকে প্রায় নির্ভুল বলে উল্লেখ করেছেন অধ্যাপক রেইস। পাশাপাশি মহাকাশ নিয়ে গবেষণায় আর
নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বনের প্রতি গুরুত্ব দেন তিনি। তার মতে, অত্যাধুনিক তত্ত্ব ও যন্ত্রের ব্যবহারে মহাবিশ্ব সম্পর্কে আরও বেশি জানা সম্ভব হবে।