প্লুটো গ্রহের উপগ্রহ কয়টি? প্লুটো গ্রহ নয় কেন
প্লুটো গ্রহ
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দিতে, প্লুটো আবিস্কৃত হয় ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে। বিজ্ঞানী ক্লাইড ডব্লিউ টমবাউ এটি আবিষ্কার করেন। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এর সময় লাগে (পৃথিবীর হিসাবে) ২৪৮ বছর। সূর্য থেকে প্লুটোর দূরত্ব প্রায় ৬০০ কোটি কিলোমিটার। প্লুটোর গতি কক্ষপথে মাত্র ৪.৭ কিলোমিটার।প্লুটোর ব্যাস ২,৩৭৬.৬ কিলোমিটার। প্লুটোর পাঁচটি উপগ্রহ রয়েছে। প্লুটোতে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস রয়েছে। কয়েক বছর একে গ্রহ এর তালিকায় রাখা হলেও একে ২০০৯ সাল থেকে বামন গ্রহ ধরা হয়ে থাকে।একে গ্রহের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে অনেক দেশে আন্দোলনও হয়েছে।
প্লুটো গ্রহ আবিষ্কার
ক্লাইড টমবাউ ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের এরিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফ্ল্যাগস্টাফে অবস্থিত লওয়েল অবজারভেটরিতে যোগদান করেন। সেখানে ১৩ পলক তুলক দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে জানুয়ারি মাসে মিথুন নক্ষত্রপুঞ্জের তোলা দুটো ছবি তুলনা করেন ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখ বিকেল চারটায়। মার্চের ১৩ তারিখে তিনি নিশ্চিত করেন ওটা একটি গ্রহ।
প্লুটো গ্রহের নামকরণ
আবিষ্কৃত এই মহাকাশীয় বস্তুপিন্ডটিকে রোমক মৃত্যু আর প্রেতলোকের দেবতার নামে গ্রহ হিসেবে নামকরণ করা হয় প্লুটো। পুরাণ মতে, প্লুটো গ্রিক হেডেস হচ্ছে নিম্নতর জগতের (পাতালপুরী বা মৃতপুরী) দেবতা। সে স্যাটার্নের (গ্রিক ক্রোনাস বাংলা শনি) পুত্র, জুপিটার (গ্রিক জিউস, বাংলা বৃহস্পতি) ও নেপচুনের(গ্রিক পসাইডন) ভাই এবং প্রসপারপাইনের(গ্রিক পার্সিফোন) স্বামী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-সিম, ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
প্লুটো গ্রহের উপগ্রহ
এপর্যন্ত প্লুটো'র পাঁচটি প্রাকৃতিক উপগ্রহ রয়েছে: ১। শ্যারন যা ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যামস ক্রিস্টি প্রথম শনাক্ত করেন। ২।নিক্স ৩। হাইড্রা আরো দুটো তুলনামূলক ছোট উপগ্রহ দুটোই ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে আবিষ্কৃত হয়। এরপর ৪।S/2011 (134340) 1 (সাময়িক বা প্রাথমিক নাম, P4 নামেও পরিচিত)। ২০১১ সালে হাবল টেলিস্কোপ কর্তৃক শনাক্ত করা হয়। এবং সর্বশেষ আবিষ্কৃত উপগ্রহটি হলো ৫। S/2012 (134340) 1 P5 নামেও পরিচিত। যা ২০১২ সালে আবিষ্কৃত হয়। পরবর্তীতে P4 এর নাম কার্বেরস ও P5 এর নাম স্টিক্স দেয়া হয়েছে ৷ধন্যবাদ বন্ধুরা ।