নাসায় কর্মরত বাংলাদেশী
বাংলাদেশি মাহজাবীন কিভাবে পেল নাসায় চাকরি
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দিতে, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসায় প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে নিয়োগ পেলেন সিলেটের মাহজাবীন হক।নাসায় সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। চলতি বছরের ৭ অক্টোবর নিজের কর্মস্থলে যোগ দেবেন মাহজাবীন হক।মাহজাবীন এ বছরই মিশিগান রাজ্যের ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
মাহজাবীনের নাসায় কর্মরত ছবি। |
মাহজাবীনের জন্ম সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কদমরসুল গ্রামে। পড়াশোনা করেছেন সিলেটের খাজা বাড়ি স্কুল এন্ড কলেজে। ও লেভেল এবং এ লেভেল শেষ করেন এখান থেকেই।এরপর ২০০৯ সালে মা ও ভাইয়ের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান মাহজাবীন।প্রথম দু’বছর নিউ ইয়র্ক সিটিতে ছিলেন তারা। ২০১১ সালে মেশিনগানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করার পর তিনি ভর্তি হন হামট্রাম্ক হাই স্কুলে। সেখানকার পাঠ চুকিয়ে তিনি ওয়েইন স্টেইট কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ইউনির্ভাসিটিতে ভর্তি হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই মাহজাবীন দুই দফায় টেক্সাসের হিউস্টনে অবস্থিত নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করেন। প্রথম দফায় সেখানে ডাটা এনালিস্ট এবং দ্বিতীয় দফায় সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে মিশন কন্ট্রোলে কাজ করেন তিনি।দুই দফায় ৮ মাস ২টি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কাজ করার পর তিনি নাসার মিশন কন্ট্রোল সেন্টার (এমসিসি) এ সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে নাসায় চাকরি
মিশন কন্ট্রোল নাসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভবন। এখান থেকেই নাসার রকেট উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।মাহজাবীনের বাবা সৈয়দ এনামুল হক সিলেটের পূবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। মেয়ের প্রসঙ্গে বাবা এনামুল হক বলেন যে, লেখাপাড়ার পাশাপাশি ছবি আঁকা ও ফ্যাশন ডিজাইনেও মাহজাবীনের আগ্রহ রয়েছে। এছাড়া সে নাচেও আগ্রহী। ছোটবেলা থেকেই এগুলোর অনুশীলন করেছে মাহজাবীন।
আরও পড়ুন: ইসরো কি? ইসরো ফুল ফর্ম
ভালো সংগঠক হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে মেধাবী এই তরুণীর। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ২০১৬ সালে সহপাঠী ও বাঙালি শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠন করেন বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (বিএসএ)। শুরুতে এ সংগঠনের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরের বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।মাহজাবীন হক বর্তমানে স্থায়ীভাবে মিশিগানে বসবাস করছেন। সাথে আছেন মা ফেরদৌসী চৌধুরী ও একমাত্র ছোট ভাই সৈয়দ সামিউল হক। ভাই সামিউল হক বর্তমানে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন ।