শুক্র গ্রহে অভিযান চালাবে ভারতের ইসরো, ২০২৪- এ উৎক্ষেপণ মহাকাশযানের

শুক্র গ্রহে অভিযান চালাবে ভারতের ইসরো, ২০২৪- এ উৎক্ষেপণ মহাকাশযানের
 শুক্র গ্রহে অভিযান চালাবে ভারতের ইসরো, ২০২৪- এ উৎক্ষেপণ মহাকাশযানের প্রতীক ছবি।


ন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দিতে, শুক্র গ্রহের এবার অভিযান চালাবে ইসরো, ২০২৪ সালে এ মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ হতে চলেছে । চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহে অভিযান এর পর এবার ইসরো শুক্র গ্রহে অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রহ হল এই শুক্রগ্রহ।এবার সেই গ্রহ পর্যবেক্ষণের জন্যই মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে ইসরো। 

শুক্র গ্রহে অভিযান ইসরোর

জানা গিয়েছে যে, শুক্র গ্রহের চারপাশে অরবিট অর্থাৎ কক্ষপথে এই স্পেসক্রাফট বা মহাকাশযান ঘুরবে। শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠদেশের তলদেশে কি কি সঞ্চিত রয়েছে তা জানার জন্যই পাঠানো হবে এই মহাকাশযান। এর পাশাপাশি শুক্রগ্রহের সালফিউরিক অ্যাসিড যুক্ত মেঘ দেখা যায়। তার মধ্যে কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে সেটাও জানা যাবে এই মহাকাশযানে মাধ্যমে। ইসরো চেয়ারম্যান ডক্টর সোমনাথ সারাদিন ব্যাপী একটি মিটিংয়ের পর জানিয়েছেন শুক্র গ্রহে এই অভিযান হচ্ছেই। আপাতত একটি প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করা হবে এবং অর্থের প্রয়োজন সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।

শোনা যাচ্ছে যে, সম্ভবত ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এই মহাকাশযান পাঠানো হবে। বর্তমানে ডক্টর সোমনাথ বিজ্ঞানীদের শুক্র গ্রহ অভিযানের দিকে নজর রাখতে বলেছেন।এর পাশাপাশি ইসরোর চেয়ারম্যান এ কথাও বলেছেন যে, বর্তমানে ভারতের কাছে যে ক্ষমতা রয়েছে তার মাধ্যমে খুব অল্পসময়ের মধ্যেই শুক্র গ্রহে অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে ভারত। আপাতত ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসেই পাখির চোখ করেছেন বিজ্ঞানীরা ।কারণ ওই সময় পৃথিবী এবং শুক্র গ্রহ এমনভাবে এলাইন হবে অর্থাৎ এক সরলরেখায় সারিবদ্ধ হবে ।যে খুব সামান্য পরিমাণ প্রপেল্যান্ট ব্যবহারের মাধ্যমে স্পেসক্রাফট প্রতিবেশী গ্রহের কক্ষপথের পাঠানো সম্ভব হবে ।এর পরবর্তী সময়ে ২০৩১ সালে এরকম সুযোগ পাবেন বিজ্ঞানীরা। 

আরও পড়ুন: চাঁদে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা মার্কিন বিজ্ঞানীদের! গোপন তথ্য ফাঁশ

ইসরোর বিজ্ঞানীরা শুক্র গ্রহের অভিযান নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী তারা বলছেন যে, চন্দ্রযান ওয়ান কিংবা মার্স অরবিটার মিশনের মাধ্যমে যে সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছিল, শুক্র গ্রহের অভিযান এর ক্ষেত্রেও তেমন সাফল্য আসতে চলেছে। এই অভিযানে মূলত শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠদেশের তলদেশে কি কি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। পর্যবেক্ষণ চালানো হবে শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠদেশে। এখানে অ্যাক্টিভ ভলকানো হটস্পট এবং লাভা ফ্লো, গঠনের খুঁটিনাটি, কমোজিশন, আবহাওয়া, বায়ুপ্রবাহ,ভেনাসিয়ান পর্যবেক্ষণ করা হবে।

আরও পড়ুন: সৌরজগতেই রয়েছে দ্বিতীয় পৃথিবী, খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা

শুক্র গ্রহের অভিযানের কারণ কি

ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন, আমেরিকাও শুক্র গ্রহ অভিযানের পরিকল্পনা করছে। এই গ্রহের অতিরিক্ত উত্তপ্ত মূলত আকর্ষণের কারণ ।আর কেন এই গ্রহের উষ্ণতা এতো মারাত্মক সেটাই অনুধাবনের চেষ্টা চালাচ্ছেন বৈজ্ঞানিকরা। অন্যদিকে মনে করা হয় যে শুক্রগ্রহ একদিন পৃথিবীর মতোই ছিল। অনেক বিজ্ঞানী শুক্র গ্রহকে পৃথিবীর জমজ বলে থাকেন। কিন্তু আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই শুক্রগ্রহ প্রাণের বসবাসযোগ্য হয়ে ওঠেনি। আর সেই জন্যই শুক্রগ্রহ বেশি করে পর্যবেক্ষণ এবং আবিষ্কার করা প্রয়োজন।

ধন্যবাদ বন্ধুরা 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url