বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে নেই কোনও রহস্যই! দাবি অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীর

বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে নেই কোনও রহস্যই! দাবি অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীর
বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে নেই কোনও রহস্যই দাবি অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানী কার্ল ক্রুসজেলনিকি ছবি।


ন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দিতে, দশকের পর দশক ধরে রহস্যাবৃত যে বারমুডা ট্র্যাঙ্গেল। তাতে নাকি আদৌ কোনও রহস্য নেই। ত্রিভুজ আকারের দ্বীপাঞ্চলে ঢুকতেই হারিয়ে যায় জাহাজ ও বিমান। ধ্বংসাবশেষও পাওয়া যায় না। সমস্ত অস্তিত্ব নিয়েই লোপাট হয়ে যায় সেসব। এমনকী জাহাজ বা বিমানযাত্রীদেরও কোনও চিহ্ন থাকে না। ফ্লোরিডা-বারমুডা-পুয়ের্তো রিকোর মাঝের ওই ভূখণ্ড নিয়ে এই কাহিনি বছরের পর বছর বিস্ময়ের উদ্রেক করেছে জনগণের।তবে রহস্যের জট খুলতে পারেননি কেউই।

বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে নিয়ে কার্ল ক্রুসজেলনিকি দাবি

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার এক বিজ্ঞানী দাবি করেন যে, কোনও রহস্যই নেই বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে। সেখান থেকে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটছে স্রেফ বাস্তব কারণে। তাঁর এই দাবি ঘিরে বেশ শোরগোল পড়েছে বিজ্ঞানী মহলে।বিজ্ঞানীর নাম কার্ল ক্রুসজেলনিকি। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তিনি। বারমুডা ট্র্যাঙ্গেল রহস্য নিয়ে আলোচনায় কার্ল দাবি করেছেন ওখানে কোনও রহস্য নেই। বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে তাঁর ব্যাখ্যা করেন বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলের অবস্থান নিরক্ষীয়  অঞ্চলের খুব কাছে। 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কখন অশনি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে ও কতটা ক্ষয় ক্ষতি হতে পারে

অর্থাৎ পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে। সেই কারণে এখানে ট্রাফিক অর্থাৎ যানজট তৈরি হয়। পৃথিবীর অন্যান্য যে কোনও ট্রাফিক জ্যামে পড়লে যেভাবে মানুষজন দিশেহারা ও বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন এখানেই ঠিক তেমনটাই ঘটে থাকে। মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর হিসেব দাখিল করে কার্ল এই দাবি করেছেন। বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে তাই উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় কোনও রহস্য নেই।যতটা সহজভাবে কার্ল এর ব্যাখ্যা করছেন, ততটা ঘটনাপ্রবাহ সহজ সরলও নয়। বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলের কাছে নিখোঁজ হওয়ার সময় প্রত্যেক জাহাজ কিংবা বিমানের মূল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর আর কোনও খোঁজই মেলে না।

আরও পড়ুন: বৃহস্পতির জমজের সন্ধান, ১৭ হাজার আলোকবর্ষ দূরে কে২-২০১৬

বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে কেন হয় এমন ঘটনা 

এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে অনেকে অনেক তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন। কারও মতে, ওই ত্রিভূজ খণ্ড আসলে বিরাট এক প্রাকৃতিক চৌম্বক ক্ষেত্র। তা যে কোনও লোহার সামগ্রীকে গিলে নেয়। ফলে সেসবের আর হদিশ মেলে না। কেউ বলেন যে, এই এলাকায় অগ্নিবলয় রয়েছে তাতেই সব ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, তাহলে ধ্বংসাবশেষ মিলবে না কেন! এমনিই নানা প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর নেই। কার্লের নয়া ব্যাখ্যা সেসব উত্তর কতটা দিতে পারল তা অবশ্য আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে।

ধন্যবাদ বন্ধুরা 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url