চাঁদের দেশের ইতিহাস , The history of the moon
তারা মনে করত যে, চাঁদ প্রত্যেক রাত্রি মরে ছায়ার জগতে চলে যায় ছবি। |
চাঁদের ইতিহাস
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দিতে, চাঁদ ইতিহাস প্রাচীনকালে সংস্কৃতি ছিল বিরল, বেশির ভাগ মানুষেরই নির্দিষ্ট কোনো বাসস্থান ছিল না। তারা মনে করত যে, চাঁদ প্রত্যেক রাত্রি মরে ছায়ার জগতে চলে যায়। অন্যান্য সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করত যে চাঁদ সূর্যকে পিছু করছে।পিথাগোরাসের সময়, চাঁদকে একটি গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মধ্যযুগে কিছু মানুষ বিশ্বাস করত যে চাঁদ হয়তো একটি নির্ভুলভাবে মসৃণ গোলক যা অ্যারিস্টটলের তত্ত্ব সমর্থন করত।এবং অন্যান্যরা মনে করত সেখানে সাগর আছে। ১৬০৯ সালে গ্যালিলিও যখন তাঁর দূরবীক্ষণ চাঁদের দিকে ধরলেন তিনি দেখলেন যে চাঁদের উপরিতল মসৃণ ছিল না। তা ক্ষুদ্র কালো রেখা, উপত্যকা, পর্বত এবং খাদের গঠিত হয়। সেই মুহূর্ত থেকে তিনি অনুভব করতে শুরু করেন যে এটি পৃথিবীর মতোই একটি কঠিন গলিত পদার্থ ছিল যা পরে এই রূপ নেয়। ১৯২০ সালেও মনে করত যে, চাঁদের শ্বাস গ্রহণের উপযোগী বায়ুমণ্ডল আছে (অথবা ঐ সময় বিজ্ঞানের কাল্পনিক বানোয়াট গল্প বলত) এবং কিছু জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি ক্ষুদ্র বায়ু স্তরের উপস্থিতি আছে বলে অনুমান করত কারণ চাঁদ পর্যবেক্ষণ সময় তারা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু উড়ন্ত বস্তু দেখে ছিল। 2.5 মিনিটে চাঁদের ইতিহাস উদাহরণ হিসেবে জ্যোতির্বিজ্ঞানী আলফন্স ফ্রেসার তাঁর গবেষণামূলক আলোচনা গ্রন্থে চাঁদের অনাকাঙ্ক্ষিত উড়ন্ত বস্তু সম্পর্কে লিখেন।
চাঁদের আয়তন
পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব হচ্ছে ৩৮৪,৩৯৯ কিলোমিটার বা প্রায় ২৩৮,৮৫৫ মাইল ।যা পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ৩০ গুণ। চাঁদের ব্যাস প্রায় ৩,৪৭৪.২০৬ কিলোমিটার বা ২,১৫৯ মাইল। যা পৃথিবীর ব্যাসের এক-চতুর্থাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। এর অর্থ দাড়াচ্ছে যে,চাঁদের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ৫০ ভাগের ১ ভাগ।
চাঁদ পৃথিবী থেকে কত গুন বড়
ভর পৃথিবীর মাত্র ১.২ ভাগ। মানে পৃথিবীর ভর চাঁদের ৮১ গুণ। চাঁদের প্রতি ঘন সেন্টিমিটার আয়তন জায়গার গড় ভর ৩.৩৪ গ্রাম। পৃথিবীর ক্ষেত্রে যেটা গড়ে ৫.৫১৪ গ্রাম।
চাঁদ উঠার কতদিন পর পূর্ণিমা হয়
চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ, এটি প্রতি ২৭.৩২১ দিনে পৃথিবীর চারদিকে একটি পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করে। প্রতি ২৯.৫ দিন পরপর চন্দ্র কলা ফিরে আসে অর্থাৎ একই কার্যক্রিয় আবার ঘটে এবং নতুন চাঁদ দেখা যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদে যা অক্সিজেন সঞ্চিত রয়েছে, তা প্রায় ৮ বিলিয়ন মানুষ কে এক লক্ষ বছর ধরে অক্সিজেন দেওয়া যাবে
চাঁদের দেশের প্রতীকী ছবি। |
চাঁদের দেশের ইতিহাস
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই ১০:৫৬ পিএম EDT (স্থানাংকিত আন্তর্জাতিক সময় বা ইউটিসি (UTC) সময় অনুযায়ী ১৯৬৯ সালের ২১ জুলাই ০২:৫৬) মার্কিন মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ এর মধ্যে মানুষ চাঁদের বুকে ছয়বার অবতরণ করেন এবং অসংখ্যবার মনুষ্যবিহীন অবতরণ ঘটে।
ধন্যবাদ বন্ধুরা ।