জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের প্রথম চমক, এক ছবিতেই ধরা পড়ল হাজার ছায়াপথ
এক ছবিতেই ধরা পড়ল হাজার ছায়াপথ ছবি। |
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দিতে, গত ডিসেম্বরেই মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ । তারও আগে থেকে এই শক্তিশালী টেলিস্কোপকে নিয়ে তীব্র কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। মহাকাশ গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা করেছে জেমস। এবার সে ছবি পাঠাল এক অতি উজ্জ্বল তারার। কেবল ওই তারাটিই নয় ছবিটিতে ধরা পড়ল অসংখ্য ছায়াপথের ছবিও। যা দেখে তাক লেগে গেল নেটিজেনদের।
HD 84406 নামের ওই নক্ষত্রটির ছবিতে দেখা মিলেছে ১ হাজার আদিম ছায়াপথের। একটি সিঙ্গল ফ্রেমের মধ্যে এতগুলি ছায়াপথের ছবি নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ। তবে এই ছবি কোনও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষার অন্তর্গত নয়। নেহাতই টেস্ট শট।বিশ্ব মহাকাশ গবেষণায় এই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের গুরুত্ব ঠিক কতটা কয়েকটি তথ্য না জানলে ঠিক উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।
১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি এই টেলিস্কোপটি তৈরি হয়েছে। মহাকাশের এই খুব শক্তিশালী টেলিস্কোপটি বানাতে নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি। পৃথিবী থেকে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে এই টেলিস্কোপ।
আরও পড়ুন: এক আলোকবর্ষ সমান কত দিন?
তিন দশক ধরে মহাকাশে মানুষের চোখ হয়ে অবস্থান করেছে হাবল। এবার তার জায়গায় এসেছে জেমস। এই নয়া টেলিস্কোপ আকারে এতই বড় যে, চালু অবস্থায় তাকে মহাকাশে পাঠানো সম্ভব ছিল না। ফলে মহাকাশে নিজের অবস্থানে পৌঁছনোর পরেই ধীরে ধীরে তাকে কর্মক্ষম করে তোলার কাজ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ১৫ লক্ষ কিমি পাড়ি মহাকাশ দূরবিন জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ
অবশেষে সেটির সোনালি আয়নার প্যানেলটি খুলে যেতেই কর্মক্ষম হয়ে ওঠে এই অতিকায় টেলিস্কোপ। বিজ্ঞানীদের অনেক আশা জেমসকে ঘিরে। হয়তো মহাকাশের কতই না রহস্য উন্মোচিত হবে এই টেলিস্কোপের সাহায্যে। বহু অব্যাখ্যাত মহাজাগতিক কাণ্ডকারখানার স্বরূপ বোঝা সম্ভব হবে। নতুন ছবিটিকে ঘিরে সেই আশা আরও জোরাল হল।
ধন্যবাদ বন্ধুরা ।