ডাইনোসর ছিল যাদের জলখাবার,এমন দৈত্যাকার কুমিরের সন্ধান পাওয়া গেছে
সারকোসুকাস প্রাগৈতিহাসিক সেই জগতের একমাত্র শাসক তারাই ছিল ছবি। |
হ্যালো বন্ধুরা সে ছিল এক অন্য পৃথিবী। থেকে থেকে এই নীল গ্রহের মাটি কেঁপে উঠত অতিকায় ডাইনোসরদের পদভারে। কিন্তু প্রাগৈতিহাসিক সেই জগতের একমাত্র শাসক কি তারাই ছিল। না বিশালাকার প্রাণীদের সেই জমানায় এমন প্রাণীও ছিল, যাদের কাছে ডাইনোরা ছিল স্রেফ জলখাবার, এমনই দাবি গবেষকদের। মিলেছে এমনই এক আশ্চর্য প্রাণীর দেহাবশেষ। যার পেটের মধ্যে রয়ে গিয়েছে একটি আস্ত ডাইনোসর। সেই প্রাণীটি ছিল আজকের কুমিরদেরই পূর্বপুরুষ।
সারকোসুকাস রাক্ষুসে কুমির
যদিও ধারে ভারে তাদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে তারা। নাম সারকোসুকাস ।কেমন ছিল এই রাক্ষুসে কুমিররা। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে, আজকের কুমিরদের চেয়ে কয়েকগুণ ভারী এবং বিশালাকার ছিল এরা। মোটামুটি সাড়ে ৯ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াত। সারকোসুকাসের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৩১ ফুট। দেহের ওজন ছিল সাড়ে তিন হাজার কেজিরও বেশি। চোয়ালের উপরের পাটিতে ছিল ৩৫টি দাঁত। আর নিচের পাটিতে ৩১টি। মোট দাঁত ছিল ৬৬টি দাঁতে মুহূর্তে শিকারকে চিবিয়ে খেতে । খুব ভয়ংকর ছিল এই রাক্ষুসে কুমির।
আরও পড়ুন: আরেকটি মহাকাশ স্টেশন, তিয়ানগাং, এই বছর পৃথিবীর কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করা হবে
দূরবীনের মতো চোখ ছিল তাদের। ফলে রাতের অন্ধকারেও দিব্যি শিকার ধরতে পটু ছিল তারা। আর এহেন কুমিররা ছিল সেযুগের ডাইনোসরদেরও যম। তেমনই প্রমাণ মিলল সাম্প্রতিক আবিষ্কারে। পূর্ণবয়স্ক থেরোপড ডাইনোসরকে অনায়াসে কাবু করতে পারত তারা।
আরও পড়ুন: ছায়াপথে মিলল রহস্যময় আগন্তুকের সন্ধান, ঘড়ি ধরে ১৮ মিনিট ১৮ সেকেন্ড অন্তর অন্তর সংকেত
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর গোন্ডওয়ানা রিসার্চ -এর জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, এই সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র। যা থেকে জানা যাচ্ছে যে, অস্ট্রেলিয়ায় প্রাপ্ত ওই কুমিরের কঙ্কালের কথা। ওই কঙ্কালটিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্ক্যান করে এর ত্রিমাত্রিক শরীরকে ফিরিয়ে এনেছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে সেই প্রাগৈতিহাসিক কুমিরদের কাণ্ডকারখানা আরও ভাল করে বোঝা সম্ভব হয়েছে।
ধন্যবাদ বন্ধুরা ।