চাঁদের মাটিতে চিনা রকেট আছড়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিল বেজিং
২০১৪ সালে লঞ্চ হওয়া চিনের চাঙ্গে ৫-টিওয়ান এর বুস্টার ছবি। |
হ্যালো বন্ধুরা,আর মাত্র দিন কয়েকের অপেক্ষা। আগামী ৪ মার্চ চাঁদের প্রত্যন্ত এলাকায় আছড়ে পড়বে একটি রকেট। এমন আশঙ্কা আগে থেকেই প্রকাশ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে, ওই রকেট চিনের । ২০১৪ সালে লঞ্চ হওয়া চিনের চাঙ্গে ৫-টিওয়ান এর বুস্টার। কিন্তু বিজ্ঞানীদের এই দাবি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে বেজিং। তাদের সাফ কথা যে, রকেট চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে চলেছে সেটা তাদের নয়।
চিনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চন্দ্রাভিযান কর্মসূচির অংশ হিসাবে মহাকাশে যাত্রা করেছিল চাঙ্গে ৫-টিওয়ান। আরও স্পষ্ট করে বললে যে, বেজিংয়ের লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রাম এর অংশ নয়।চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে একথা জানানো হয়েছে।প্রথমে বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল যে,চাঁদে আছড়ে পড়ে যে রকেট ধ্বংস হতে চলেছে। তা আদপে স্পেস এক্সের রকেটেরই একটি অংশ।
মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায় স্পেসজাংক বা মহাকাশের বর্জ্য। সাত বছর আগে রকেটটি পাড়ি দিয়েছিল মহাকাশে। অভিযান শেষে সেই মহাকাশেই তাকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল।জানা গিয়েছে। ২০১৪ সালে চিনের ওই মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। চিনের চন্দ্রাভিযানের অংশ ছিল ওই মহাকাশযান। সেটিরই বুস্টার ছিল ০৬৫বি নামের ওই রকেট । এবার সেটিই আছড়ে পড়বে চন্দ্রপৃষ্ঠে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বিপদে কারন সূর্যের তাপে মার্চে সম্প্রচারে বিঘ্ন
গত মাসে নাসা জানিয়েছিল, তারা ওই রকেটটির দিকে নজর রেখেছে। সেটি চাঁদে আছড়ে পড়লে যে গহ্বরটি তৈরি হবে সেটিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা।এভাবে কোনও রকেটের চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ার ঘটনা বেশ বিরল। তবে এর আগেও এমন ঘটেছে।
আরও পড়ুন: আরেকটি মহাকাশ স্টেশন, তিয়ানগাং, এই বছর পৃথিবীর কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করা হবে
তবে সেক্ষেত্রে পৃথিবীর আবহাওয়ামণ্ডলে অনেক সময় কোনও রকেট ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে সেটিকে চাঁদের মাটির সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটানো হয়। তবে সেটি যেহেতু নিয়ন্ত্রিত সংঘর্ষ তাই তেমন আশঙ্কা তৈরি হয়নি কখনওই। তাই এবারের সংঘর্ষের দিকে বিশেষ নজর বিজ্ঞানীদের। তবে বেজিংয়ের দাবি, তাদের রকেটের এভাবে চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ার কোনও আশঙ্কাই নেই।
ধন্যবাদ বন্ধুরা ।