SpaceX: বিশ্বের শক্তিশালী মহাকাশযান স্টারশিপ
বিশ্বের শক্তিশালী মহাকাশযান স্টারশিপ ছবি ।
হ্যালো বন্ধুরা মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসবাস নিয়ে জল্পনা কল্পনার কোনো শেষ নেই ।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ ছেড়ে কেন এই লাল গ্রহে মানুষের এত আগ্রহ । এর অন্যতম কারণ হলো পৃথিবীর সাথে মঙ্গল গ্রহের অনেক মিল রয়েছে । যেমন সেখানে রয়েছে পাহাড়-পর্বত এমনকি আছে বায়ুমণ্ডলও । শুধু তাই নয় প্রাণ বাঁচানোর একমাত্র উপায় পানীয় পাওয়া যাবে ওই গ্রহে ।এতকিছু থাকার পরে কে না চাইবে লাল গ্রহে গিয়ে একটু ঠুয় মেরে আসতে ।
মানুষের সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার ঘোষণা দিলেন স্পেসএক্স ও টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক । আগামী এক দশকের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন এই শীর্ষ ধনী । সম্প্রতি প্রকাশিত লেক্স ফেথম্যনের পথকাষ্টে তিনি এই মন্তব্য করেছেন । সবকিছু ঠিক থাকলে পাঁচ বছরের মধ্যে আর যদি তা না হয় তাহলে দশ বছর লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ইলন মাস্ক ।
স্পেসএক্স এর চারশিপ নামে যে মহাকাশযান নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ইলন মাস্ক ।সেটি এ পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে জটিল ও অত্যাধুনিক রকেট । প্রতিষ্ঠানটির দাবি এটি পৃথিবীর কক্ষপথে ১০০ মেট্রিক টন বহন করে নিয়ে যেতে পারবেন । পাশাপাশি এই মহাকাশযান পৃথিবীর কক্ষপথ চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে কুরু ও কারগো বহন করতে পারবে । বর্তমানে রকেটের খরচ বহন করাকেই প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা ।
শুধু স্পেসএক্স অদূর ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছার চেষ্টা করছে না যুক্তরাষ্ট্র সরকারেরও নজোর রয়েছে লালগ্রহের ।গেলে বছর ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গল গ্রহে ওভার মিশন পাঠিয়ে ছিল নাসা ।এবছর নাসা আর একটি মিশন পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে । ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলপৃষ্ঠে মানব অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন ।
তবে মঙ্গল গ্রহে বসবাস এক্ষেত্রে অনেক বাধা রয়েছে সেখানে তাপমাত্রা রেস রেকর্ড করা হয়েছে - ৫৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে -১৫৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত । যা যেকোনো মানুষের জন্য সহ্য করা একেবারেই অসম্ভব । তবে ভবিষ্যতে হয়তো বিশেষ উপায়ে এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসবাস উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে । এমনটাই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা ।
ধন্যবাদ বন্ধুরা