নীহারিকা কিভাবে সৃষ্টি হয়? নীহারিকা থেকে তারা কিভাবে তৈরি হয়

নীহারিকা কিভাবে সৃষ্টি হয়? নীহারিকা থেকে তারা কিভাবে তৈরি হয়
নীহারিকা ছবি ।


হ্যালো বন্ধুরা মহাকাশে সবথেকে আকর্ষনীয় সুন্দর বস্তু হল নীহারিকা বা নেবুলা।নীহারিকা হচ্ছে এক প্রকার মহাজাগতিক মেঘ।এই বিশেষ মেঘ গঠিত হয় ধুলো ও গ্যাসের মিশ্রণে।প্রাচীনকালে মহাকাশ পর্যবেক্ষকরা আমাদের ছায়াপথের মিলকিওয়ের বাইরে অবস্থিত মহাকাশের সমস্ত জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক বস্তু নীহারিকা বলে মনে করতেন । এমনকি আমাদের প্রতিবেশী ছায়াপথ Andromeda Galaxy কেও ছায়াপথ না বলে নীহারিকা বলে ডাকা হতো ।

বিশশ্বতাদিতে শক্তিশালী টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের ফলে এই ধরনের ইতি ঘটে । নীহারিকা গঠন গ্রহ-নক্ষত্রের সৃষ্টি তে এর ভূমিকা বিচিএ রকম প্রভতি কারণে এরা জ্যোতিবিজ্ঞানীদের কাছে ব্যাপক কৌতূহল আগ্রহের বস্তু । সেই আগ্রহের বস্তু নিয়ে আজ আমরা জানবো ।

নীহারিকা কিভাবে গঠিত হয়?

জ্যোতিবিজ্ঞানীরা বলেছেন মহাকাশকে শূণস্থানকে শূণ বলা হলেও সেখানে আদতে নিরবিচ্ছিন্ন শূন্যতা বিরাজ করে না । মহাশূন্যে থাকা গ্যাস ও ধূলিকণা যাদের একত্তে Interstellar medium বলে ।এর শতকরা ৯৯ শতাংশ গঠিত হয় গ্যাস দিয়ে ।গ্যাসের শতকরা ৭৫ শতাংশ হাইড্রোজেন এবং ২৫% হিলিয়াম।গ্যাস গুলো চাজ পরমাণু অণু বা চাজ হিসেবে থাকতে পারে এরা খুব পাতলা ভাবে ছড়িয়ে থাকে । এক ঘন সেন্টিমিটার গ্যাসও এর মাধ্যমে গড়ে থাকে মাত্ত একটা পরমাণু।সেই তুলনায় পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে এক ঘন সেন্টিমিটারে প্রায় ৩০ কুইন্টিলিয়ন সংখ্য অণু থাকে ।

 Interstellar medium গুলো যখন মহাআকর্ষণ সংবদ্ধ দের মধ্যে দিয়ে যায় তখন নীহারিকা গঠিত হয় ।মহাআকর্ষনীও সংবদ্ধ হচ্ছে এমন একটা অবস্থা যখন Interstellar medium গুলো নিজেদের আকর্ষণ বলের প্রভাবে পরস্পর এক হয় ।এ প্রক্রিয়াতে নক্ষত্র গঠিত হয় আমাদের ছায়াপথ কালপুরূষ নীহারিকা এমন একটা উদাহরণ ।বেশিভাগ নীহারিকা অবিশ্বাশ রকমের বড় হয়।এদের ব্যাস হয় কয়ক এক আলোবষ থেকে কয়ক এক হাজার আলোবষ সমান।আধুনিক প্র্রযুক্তি ফলে নীহারিকা ছবিও দেখা যায় ।অপুরূপ সুন্দর সেই ছবি দেখলে চোখ কপালে উঠে যায়।


নীহারিকা কিভাবে সৃষ্টি হয়
নীহারিকা থেকে তারা যেভাবে তৈরি হয় ছবি ।

নীহারিকা পর্যবেক্ষনের ইতিহাস

১৫০ খ্রী:বিখ্যাত গ্রীক জ্যোতিবিজ্ঞানী টলেমি তার আলমাজেস্ট গ্রন্থে লিখেছেন তিনি পাচটা আপসা তারা দেখেছেন । তিনি ইও লিখেছেন বুসরা মেজরো এবং লিওলন নক্ষত্রমণ্ডলী মাঝে তারাবিহিন একটা মেঘাচ্ছন্ন এলাকা দেখেছেন । সর্বপ্রথম সত্তিকারের নীহারিকার কথা উল্লেখ করেন পার্শিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী আব্দুর রহমান আল-সুফি ।তিনি Andromeda Galaxy কাছে একটা মেঘাচ্ছন্ন এলাকা দেখতে পান । ১৬১০ সালে ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী পেইরেস্ক টেলিস্কোপ ব্যবহার করে কালপুরুষ নীহারিকা আবিষ্কার করেন ।১৭১৫ সালে এডমন্ড হ্যালি তার দেখা ছয়টা নীহারিকার কথা উল্লেখ করেন । এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অবদানে আবিষ্কৃত নীহারিকা সংখ্যা বেড়েই চলেছে ।এই সংখ্যা আরো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় ।

আরও পড়ুন: মহাকাশে দৈত্যাকার রক্তচক্ষু! ৭০০ আলোকবর্ষ দূরে হেলিক্স নেবুলার ছবি পাঠাল নাসা, Giant Space Eye

আরও পড়ুন: মহাকাশে আগুন ছুঁড়ে মারছে নক্ষত্র!পৃথিবীর জন্য কোন অশনি সংকেত পেলেন বিজ্ঞানীরা?

উইলিয়াম হাশেল তার বোনের পর্যবেক্ষণের ফলে এভাবে হাজারখানেক নীহারিকা দেখা পাওয়া যায় ।তবে তখনও পুরোপুরি জানাছিল না নীহারিকা আসলে কী? তারাদের সাথে এদের সম্পর্কে বা কী? জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডমন্ড হাবাল এবং সেইফার অনেক নীহারিকা এবং নক্ষত্রের বর্ণালীর সংগ্রহ করেন এবং তা পর্যবেক্ষণ করেন ।১৯২২ সালে গবেষণালব্ধ তথ্যের উপর ভিত্তি করে হাবল ঘোষণা করেন দেনযে নীহারিকা আসলে নক্ষত্রের সাথে সম্পর্কিত । এদের আলো নক্ষত্র থেকে আসে । হাবলের ঘোষণা পর সব বিতরকের অবসান ঘটে ।

একটা তারা যখন জন্ম নেয় তখন যে উপাদান গুলো প্রয়োজন পড়ে নক্ষত্রের মৃত্য সময় সেই একই উপাদান গুলো ছড়িয়ে পড়ে ।আর এই উপাদানগুলো নীহারিকা থাকে । নীহারিকাতে নক্ষত্রের জন্ম আবার নীহারিকাতে নক্ষত্রের মৃত্য ।নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত সুবিশাল মহাকাশের সুন্দরয্য রাজিতে নীহারিকা অবদান অপরসীম।আপনার অন্য কোনো তথ্য জানা থাকলে সেটা আমাকে কমেন্ট করে ।ভালো লাগলে একটা লাইক করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন ।

ধন্যবাদ বন্ধুরা ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url