সূর্যের চেয়েও ১০ গুণ ভারী নক্ষত্রে বিস্ফোরণ! ছবি দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা

সূর্যের চেয়েও ১০ গুণ ভারী নক্ষত্রে বিস্ফোরণ! ছবি দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা
সূর্যের চেয়েও ১০ গুণ ভারী নক্ষত্র ছবি ।


হ্যালো বন্ধুরা এ এক মহাজাগতিক বিস্ময়! এই প্রথমবার বিজ্ঞানীরা চাক্ষুষ করলেন মহাকাশে ঘটে চলা সেই ঘটনা যা যুগের পর যুগ ধরে ঘটে চলেছে তার আপন নিয়মে। আর তার ছবি দেখেই বিস্মিয়ের শেষ নেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। সূর্যের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বড় একটি নক্ষত্র ক্রমশ সংকোচন-প্রসারণের টানাটানির লড়াইয়ে নিজেই নিজেকে ধ্বংস করে এগিয়ে গেল পরবর্তী পর্যায় সুপারনোভার দিকে। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ধৈর্য ধরে যৌথ পর্যবেক্ষণের পর এই ছবি চাক্ষুষ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবার নক্ষত্রটির নতুন দশা অর্থাৎ সুপারনোভার  গঠনের পদ্ধতিটিও তাঁরা পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছেন বলে খবর।

বিজ্ঞান বলে মহাকাশে ভারী নক্ষত্রগুলির এটাই ভবিতব্য। নিজেদের ভারে আর নিজেরাই অবস্থানে থাকতে পারে না। তখন প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এগিয়ে নতুন পর্যায়েরল দিকে। তখন তারা ক্রমশ সংকোচন প্রসারণের মাধ্যমে পরিণত হয় সুপারনোভায়। যুগ যুগ ধরে মহাশূন্যে তারাদের এভাবেই মৃত্যু এবং পুনর্জন্ম হচ্ছে। বিজ্ঞানের পড়ুয়ামাত্রই এই তত্ত্ব জানা। কিন্তু স্বচক্ষে এই ভাড়াগড়ার খেলা দেখার তো কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তবে বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির দুরন্ত গতিতে আর কিছুই বোধহয় অসম্ভব নয়। স্বচক্ষে না হোক অন্তত ক্যামেরার চোখ দিয়ে এবার দেখা গেল সূর্যের চেয়ে ১০ গুণ ভারী নক্ষত্রের প্রবল বিস্ফোরণ। দেখা গেল মহাকাশে কীভাবে ধীরে ধীরে নিজেকে সে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: Nasa Solar Probe: সূর্যকে ছুঁয়ে ফেলল নাসা,কাছের নক্ষত্রকে আরও কাছ থেকে জানার দরজা খুলে গেলো

গত ১৩০ দিন ধরে বার্কলে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটানা নজর রেখেছিলেন ওই বিশালাকার নক্ষত্রটির দিকে। আর আশ্চর্যজনকভাবে তাঁরা খেয়াল করেন যে বিস্ফোরণের সময় ব্যতিক্রমীভাবে কোনও শব্দ নেই। বিশেষত ধ্বংসের ঠিক আগের মুহূর্তে বলা যায় না যে কখন এক মহাজাগতিক বদল ঘটে যাবে।

আরও পড়ুন: সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা কোনটি । Sirius star

সম্প্রতি অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে তাঁদের এই পর্যবেক্ষণের কথা প্রকাশিত হয়েছে। এর মূল প্রতিবেদক তথা বিজ্ঞানী উইন জ্যাকবসন-গালান লিখেছেন এই ঘটনা তারার জন্ম নিয়ে আমাদের চিরাচরিত ধারণাকে বদলে দিল। একটা বড়সড় তারা ধ্বংস হয়ে কীভাবে নতুন তারার জন্ম দেয় তা আগে কখনও দেখা যায়নি। আমরা এই প্রথম দেখলাম একটা লালচে বিশালাকার নক্ষত্র কীভাবে নিজে নিজে বিস্ফোরণ ঘটাল। আরেক প্রতিবেদক রাফায়েলা মারগুতির মতে মনে হচ্ছিল একটা টাইম বোমা দেখছি। একটু একটু করে বিস্ফোরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা মৃতপ্রায় নক্ষত্র অনেকটা আলো ছড়িয়ে, সশব্দে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শক্তি উৎপন্ন করেই যে স্রেফ মৃত্যুর পথে এগিয়ে যায় না । তা আগে আমরা কখনও ভাবতেই পারিনি। এভাবে নিঃশব্দেও মহাকাশে চলে ভাঙাগড়ার খেলা যা আমরা দেখি ।

ধন্যবাদ বন্ধুরা

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url