Comet Leonard: নাসার ক্যামেরায় ধরা পড়ল ধূমকেতু লিওনার্ড

Comet Leonard: নাসার ক্যামেরায় ধরা পড়ল ধূমকেতু লিওনার্ড দেখুন ছবি
নাসার ক্যামেরায় ধরা পড়ল ধূমকেতু লিওনার্ড


হ্যালো বন্ধুরা কমেট লিওনার্ড বা ধুমকেতু লিওন সম্পর্কে আপনাদেরকে আগেই জানিয়ে ছিলাম । এবার নাসার ক্যামেরা ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ধরা পড়ল সেই লিওনার্ড ধুমকেতু । এবং সেই ছবি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন । সূর্যের দিকে এগিয়ে আস্তে আস্তে তার উত্তরোত্তর উজ্জ্বল হয়ে ওঠার কথা ছিল ।

কিন্তু নভেম্বরের শেষ দিকে তা হঠাৎ হয়ে পড়ে নিভু নিভু । হারিয়ে ফেলে প্রত্যাশিত উজ্জ্বল ফলে হতাশ হয়ে পড়েছিল অনেকেই । তবে আবার বোধহয় উজ্জ্বলো কিছুটা ফিরে পেয়েছে সেই আগন্তক । সূর্য প্রণাম করতে আসা সেই মহাজাগতিক আগন্তুককে । এরপর থেকে আকাশে শুক্র গ্রহের মানে যাকে আমরা শুকতারা বলে জানি । 

তার একটু বাদিক ঘেসে থাকা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে । তবে বলে রাখি যে ভারতে ও বাংলাদেশের আকাশ এতটাই কুয়াশাচ্ছন্ন খালি চোখে দেখা পাওয়া খুবই মুশকিল । সে মহাজাগতিক আগুন্তুক আদতেই এই ধুমকেতু ।যার নাম লিওনার্ড । জ্যোতির্বিজ্ঞানের খাতায়-কলমে তার নাম অবশ্য C/ 2021 A 1 ।

এই ধূমকেতুটি এই বছরের জানুয়ারিতে আবিষ্কার করেন মাউন্ট লেবন অবজারভেটরি জ্যোতির্বিজ্ঞানী লিওনার্ড । তাই ধূমকেতুটির ডাকনাম দেওয়া হয়েছে তারই নামে লিওনার্ড । নাসা জানিয়েছে, ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে এই আগুন্তুককে আকাশে সূর্যোদয়ের সামান্য আগে দেখা গেলও । এবার তাকে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিম আকাশে ।সন্ধ্যা নেমে আসার পর ।

শুক্রগ্রহের ঠিক নিচে একটু বায়দিক ঘেসে । তবে শনিবার ছিল পূর্ণিমা চাঁদের আলোয় লিওনের কিছুটা ঢাকা পড়ে গিয়েছিল সেইরকম জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা । এরপরও লিওনার্ড আমাদের চোখে তুলে ধরার বড় ভূমিকা নিতে পারে শুকতারা । আকাশের সবথেকে উজ্জ্বল তারা টিকে চিনে নিতে আমাদের কোনো অসুবিধা হয় না । বলেই তার নিচে একটু বায়দিক ঘেসে  থাকা লিওনের ওপর আমাদের নজর এড়িয়ে যেতে পারে না ।

এ রকমই জানিয়েছেন বা এ রকমই বিশ্বাস জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের । জানুয়ারি ৩ তারিখে লিওনার্ড পৌঁছাবে সূর্যের সবথেকে কাছে । তখন সূর্য থেকে ধূমকেতুটি দূরত্ব হবে ৯ কোটি ২০ লক্ষ কিলোমিটার । তবে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে ধূমকেতুটি রওনা হবে সৌরমন্ডল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে । সূর্যের দিকে এগিয়ে আসতে আসতে ও ধূমকেতুটি মাঝেমধ্যে নিভু নিভু হয়ে পড়েছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দেখেছেন ।

এর কারণে ধূমকেতুটির মাথার দিকের একটি অংশ থেকে ছিটকে সূর্যের টানে বেরিয়ে এসেছিল তার বেশ কয়েকটি পাথুরে দেহাংশ । প্রসঙ্গত সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এলে ধুমকেতু যত কাছে আসছে ততই সূর্যের টানে তার ভিতরে থাকা বরফ বেরিয়ে এসে ছড়িয়ে পড়ে মহাকাশে । তাতে তার লেজ তৈরি হয় আর তা উত্তরোত্তর আকাশে বড় হয়ে ওঠে । তো বন্ধুরা সবাই লাইক ও শেয়ার অবশ্যই করবেন আর কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাবেন ।

 ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url