১ ঘণ্টায় বিশ্বপাড়ি দেবে চীনের নতুন বিমান, Hypersonic plane
দুপাশে ডানা দেখে মনে হবে যেন ঘুড়ি আকাশে উড়ছে । এর সঙ্গে যুক্ত চীনা কর্মকর্তাদের আশা ২০৩৫ সালের মধ্যে আকাশে উড়বে এই বিমান । ২০৪৫ সালের মধ্যে এর ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ১০০ যাত্রীতে । তবে কি উদ্দেশে এই বিমান তৈরি করা হচ্ছে সে সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি ।
মঙ্গল গ্রহ এবং চন্দ্র অভিযানের সঙ্গে জড়িত চীনের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় এই বিমানের আদিরূপ প্রকাশ করা হয়েছে । বিমানটি তৈরি করা হচ্ছে বোয়িং মান্তা এক্স ৪৭সি এর ডিজাইনে। এই প্রকল্পটি অনেক বেশি ব্যয়বহুল বলে ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ।
আরও পড়ুন: এরোপ্লেন কে আবিষ্কার করেন?
নাসার হাইপারসোনিক প্রোগ্রামের সাবেক প্রকৌশলী মিং হান টাং।তিনিই টু স্টেজ ভেহিক্যাল (টিএসভি) এক্স-প্লেন প্রযুক্তির ডিজাইন করেন । এতে তিনি ব্যবহার করেছেন দুটি আলাদা ইঞ্জিন। এর সঙ্গে নতুন এক এরোডিনামিক মডেল ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা প্রমাণ করে দেখাতে চেয়েছেন চীনের সর্বশেষ মহাকাশ মিশন কতটা কার্যকর। এই বিমানটি অতি উচ্চতায় কেমন পারফরম করে। পরীক্ষায় তারা দেখতে পেয়েছেন এত গতিতে চলার ফলে বিমানটি অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠবে ।
আরও পড়ুন: Nasa Solar Probe: সূর্যকে ছুঁয়ে ফেলল নাসা,কাছের নক্ষত্রকে আরও কাছ থেকে জানার দরজা খুলে গেলো
ফলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে একে কার্যকর করার চেষ্টা হচ্ছে ।বিজ্ঞানীদের মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে এই নতুন বিমান প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেছে দেশটির সরকার । তবে ঠিক কি কারণে তৈরি করা হচ্ছে এটি সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার চীনের করবেন তা এখনও পরিষ্কার নয় । যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর আপত্তির কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রবেশাধিকার নেই । দেশটির সামরিক তৎপরতা নিয়ে সংস থাকার কারণেই এই আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা । তবে এ কারণেই থেমে নেই চীনের মহাকাশ বিষয়ক গবেষণা এর সংক্রান্ত প্রকল্প গুলো ।