সত্যি কি হোয়াইট হোল হয়?

আমাদের ইউনিভার্স আর রহস্যের একটি গভীর সম্পর্ক আছে । ইউনিভার্স যেমন দেখা যায় আসলে সেটা ঐ রকমটা নয় । আমরা আজ পর্যন্ত ইউনিভার্সের সম্পর্কে যতটাই খোঁজ করিনা কেন কিন্তু আমরা আজও এটা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে সক্ষম হয়নি । আমরা আমাদের ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে যতটুকু জানতে পেরেছি তা এই সমস্ত মহান শব্দের কারণে । যারা ম্যাথমেটিক্স এর সাহায্যে আমাদের এই ইউনিভার্সের সম্পর্কে আমাদেরকে জানতে সাহায্য করেছে । বন্ধুরা আজকের এই পোষ্টে আমরা হোয়াইট হলে সম্পর্কে জানব । কিন্তু  হোয়াইট হোল সম্পর্কে জানতে গেলে আপনাকে ব্ল্যাকহোলের সম্পর্কে কিছুটা জানতে হবে ।

আমাদের এই ইউনিভার্সিটির সবথেকে রহস্যময় জিনিস হল ব্ল্যাক হোল । ব্ল্যাকহোলের এমন একটি স্থান যেখানে এতটাই অধিক হয়েছে ওই স্থান থেকে কোনকিছুই বাইরে বেরোতে পারে না । দ্রুতগতিতে ট্রাভেল করে সেটা ওইখান থেকে বাইরে আসতে পারে না । আর এই কারনেই আমরা ব্ল্যাকহোল কে দেখতে পারিনা । আমরা যা দেখি সেটা হচ্ছে ব্ল্যাকহোলের বাইরের অংশকে ইভেন্ট হরাইজন বলা হয়ে থাকে । কিন্তু বন্ধুরা কঠিন হলেও সত্য তাই আমরা আজ পর্যন্ত ব্ল্যাকহোল কে দেখতে পাইনি । 

আর আমাদের কাছে এতটা আধুনিক টেলিস্কোপ নিচে যেটার সাহায্যে আমরা ব্ল্যাকহোল কে দেখতে পারবো আর আমরা ব্ল্যাক হোলের যে সমস্ত পিকচার এবং ভিডিও এখন দেখতে পাচ্ছি না । এগুলো অনুমান করা এবং আর্টিস্ট দ্বারা তৈরি করা একটি চিত্র মাত্র । যেটা আমাদেরকে এটাই বুঝাতে এরকমটা হবে ব্ল্যাকহোলের এই ইমেজটি হওয়ার পূর্বে ব্ল্যাক হোল শুধুমাত্র দিয়েছিল । কিন্তু এটা প্রমাণ করেছে বাস্তবে ব্ল্যাক হোল আছে আর আমরা বাস্তবে এটাকে না দেখলেও এর চারপাশে পরিবর্তন এবং প্রভাবকে অধ্যায়ন করে ব্ল্যাকহোলের সম্পর্কে একটি অনুমান করতে পারি । ব্ল্যাকহোল আদৌ হতে পারে এই ধরনের বিচার সর্বপ্রথম সতেরশো চুরাশি রেখেছিলেন । 


সত্যি কি হোয়াইট হোল হয়?
হোয়াইট হোল

হোয়াইট হোল

ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি'র পদার্থবিজ্ঞানী সিন ক্যারল হোয়াইট হোলকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন, ব্লাক হোল হলো এমন একটি জায়গা যেখানে কেউ একবার গেলে আর ফিরে আসতে পারবে না । হোয়াইট হোল হলো এমন একটি জায়গা যেখান থেকে কেউ একবার বের হলে আর সেখানে ফিরে যেতে পারেনা।১৯১৫ সালে মহান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন থিওরি অফ রিলেটিভিটি স্থানের কথা কল্পনা করেন । যার গ্রাভিটি লাইট কেও হার মানাবে কিন্তু এর সাথেই আইনস্টাইনের থিওরি অনুসারে এমন কিছু স্থানে তিনি কল্পনা করেন ।

যেটা ব্ল্যাকহোলের থেকেও অধিক রহস্যময় হতে পারে । আর এটাই হলো অধিকাংশ বিজ্ঞানী বলে সিদ্ধান্ত কিন্তু তারা মানতে চান না । এমনটা এই কারণে এটা আমাদের প্রত্যেকের নিয়মের বিরুদ্ধে । একটি ব্ল্যাকহোল তার আশেপাশের সব বস্তু তে তার ভেতরে নিয়ে নেয় এবং তার ভেতর থেকে কোনকিছুই বাইরে আসতে পারে না । কিন্তু একটু হোয়াইট হল তার সম্পূর্ণ বিপরীত কাজ করেন । এখানে নেট থেকে বাইরে আসতে পারে কিন্তু কোনোভাবেই এর ভেতরে যেতে পারে না । কিছু বিজ্ঞানী বলেন বাস্তবে সম্ভব নয় কিন্তু এমন কিছু তথ্য অস্তিত্ব হওয়ার থেকেই ইশারা করছে ।

 কেননা black-white হলে একে অপরের সাথে জুড়ে আছে । এর জন্য হোয়াইট হোল কিভাবে সৃষ্টি হয় তাকে বোঝার জন্য আপনাদেরকে ব্ল্যাকহোলের জন্মের সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে হবে । আমাদের সূর্যের থেকেও কয়েক গুণ বড় তারা যখন জ্বালানি শেষ হয়ে যায় তখন সেটার মধ্যে গ্রাভিটি আসনের মধ্যে থাকা ব্যালান্স নষ্ট হয়ে যায় । যার কারণে তারা হয়ে যায় আর তখন একটি মহা বিস্ফোরণ হয় সেটাকে বলা হয়ে থাকে সুপার্ণভা । আর এই সুপারনোভার পর ওই তারানকোর গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স এর কারণে অধিকাংশ হয়ে যায় আর অবশেষে একটি ইনফাইনাইট এনসিটি বিন্দুতে পরিণত হয় । 

যেটা কে বলা হয় গ্র্যাভিটেশনাল সিঙ্গুলারিটি একটি সিম্পল এতটাই অধিক হয় যে কোন কিছুর থেকে বাইরে আসতে পারে না । এবং এটাকে আমরা বলি ব্ল্যাক হোল আমরা ব্ল্যাকহোল কে দেখতে পাই না কারণ ব্ল্যাকহোল থেকে কোন আলো রিফ্লেক্ট হয়ে বাইরে বেরোতে পারে না । আর হ্যাঁ বন্ধুরা আমরা ব্ল্যাকহোলের সম্পর্কে শুধুমাত্র এটুকুই জানি এর থেকে অধিক তথ্য আমাদের জানা নেই আমরা জানি না ।

থিওরি অনুসারে হোয়াইট হোল

ব্ল্যাক হোলের ভিতরে কি আছে আর ব্ল্যাক হলে চলা মেয়েটার কোথায় চলে যায় । কিন্তু হ্যাঁ বন্ধুরা আমাদের কাছে এমন কিছু থ্রি আছে যা আমাদেরকে এই ব্যপারগুলো বুঝতে সাহায্য করবে । প্রথম থেকেই অনুসারে ব্ল্যাকহোল টাইম টোটাল হতে পারে যা আমাদেরকে সময় যাত্রা করাতে পারে । দ্বিতীয় থিওরি অনুসারে ব্ল্যাকহোল হতে পারে যা মহাশূন্যের অনেক দূরের দূরত্বকে একে অপরের সাথে জড়িয়ে রেখেছে । 

যার ব্যবহার করে আমরা আলোর থেকেও দ্রুত গতিতে টাইম ট্রাভেল করতে পারি । কিন্তু বন্ধুরা একটি এমনও আছে যেটার উপরে বিজ্ঞানীরা পূর্ব থেকেই বিশ্বাস করে আসছেন । আর সেটা হলো যে জিনিস ব্ল্যাকহোলের ভেতরে যায় তার সব সময়ের জন্যই এর ভেতরে আটকে যায় ব্ল্যাক হলে । যাওয়া কোন বস্তুকে বিজ্ঞানীরা একটি নাম দিয়েছেন সেটা হল ইনফর্মেশন দশক থেকে এটা মেনে আসছেন ।যখনই কোন ইনফরমেশন ব্ল্যাক হোলের ভিতরে চলে যায় চিরতরের জন্য হারিয়ে যায় কিন্তু একটি এমনও আছে । আর যে তাকে বেশ কিছু তথ্য দ্বারা প্রমাণ করা হয়েছে ।

আর সেটা হল ইনফর্মেশন কিভাবে রিকভার করা যেতে পারে আর এখান থেকেই হোয়াইট হলে সিদ্ধান্ত সামনে আসে । আসলে ইনফর্মেশন কে সবসময় ব্ল্যাক হোলের ভিতরে কি হারিয়ে যাওয়া একটি মৌলিক সমস্যাকে তুলে ধরে । কেননা আলবার্ট আইনস্টাইন আর আইজ্যাক নিউটন দুজনই মনে করতেন না তৈরি করা যায় না । কখনো নষ্ট করা যায় এটা শুধুমাত্র রুপের পরিবর্তন করা যেতে পারে চলুন মনে করি ব্ল্যাকহোল ইনফর্মেশন কে সিন্দুকের মতো করে তথ্যকে তার ভেতরে লুকিয়ে রাখে । 

কিন্তু ১৯৭৫ সালে আমাদের মহান বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং তার যুক্তি দিয়ে রাখেন । যাতে সম্পূর্ণ পৃথিবীর সব বিজ্ঞানী সঠিক মনে করেন তিনি বলেন ব্ল্যাকহোল এনার্জি দিয়ে করেন আর অফিসের শুরু হয়েছে । দেখেছেন সময়ের সাথে সাথে ব্ল্যাকহোলের হয়ে যায় তিনি বলেন ব্ল্যাকহোল এনার্জি ক্রেডিট করে এর মানে এটাও ব্রহ্মাণ্ডে চিরস্থায়ী নয় । এখানে প্রশ্ন আসে যদি ব্ল্যাক হোয়াইট হয়ে যায় তাহলে ঐ সমস্ত মেয়েদের কি হয় । যা ব্ল্যাকহোলের ভেতরে ছিল এইখানে দিয়েছেন এই নিয়মটি বিরোধিতা করে ।

মেয়েটার কখনো নষ্ট করা যায় না আর বর্তমানে এটাই বিজ্ঞানীদের মধ্যে একটি আলোচনার বিষয় । কিন্তু এটা থেকে একটি সম্ভাব্য উত্তর এটা হতে পারে না । সে সময় হয়ে যায় আর যখন হয় তখন সে তার ভেতরে থাকা সব ইনফরমেশন কে বাইরে বের করে দেয় । যদি এই সম্ভাবনাটি সত্যি হয় তাহলে এটা উত্তর হতে পারে ব্ল্যাকহোলের ভেতরের সব মেকি হয়ে থাকে কেননা এটার মানে এটাই হবে ডিপ্রেশনের ।সময়ে ইনফর্মেশন নষ্ট হয় না সেগুলো রিকভার করা যেতে পারে । কিন্তু কিছু বিজ্ঞানী এর থেকেও কিছুটা এগিয়ে ভাবছেন তারা মনে করছেন ব্ল্যাকহোল আর হোয়াইট হল একে অপরের সাথে জুড়ে আছে । 

যে স্পেস থাকে একে অপরের সাথে জুড়ে দেয় আর আমরা যদি কোন ব্ল্যাকহোলে যেতে পারি তাহলে আমরা আলোর থেকে অধিক দ্রুতগতিতে মহাশূন্যের অন্য কোন প্রান্তে চলে যাবো । আর না হয় অন্য কোন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা মনে করেন । আসলে একটি হোয়াইট হলে ছিল একটি ব্ল্যাকহোল নষ্ট হওয়ার সময় জন্ম নিয়েছিল । আর এর ভেতর থেকে বের হওয়ার থেকে আমাদের এই ইউনিভার্সের জন্ম হয়েছে ।

তুই মনে করেন বিগ ব্যাংক ও আসলে একটি হোয়াইট হলে ছিল । একটি ব্ল্যাকহোল নষ্ট হওয়ার সময় জন্ম নিয়েছিল আর এর ভেতর থেকে বের হওয়ার পর থেকেই আমাদের এই ইউনিভার্সের জন্ম হয়েছে । যদি এই তিন সঠিক হয় তাহলে হতে পারে আসলে ইউনিভার্স আমাদের এই ইউনিভার্সিটি থেকেও অনেক বড় । আর আমাদের সম্পূর্ণ ইউনিভার্সিটি ব্ল্যাকহোলের ভেতরে মজুদ আছে । যেটা কিনা এই বিশাল ইউনিভার্সের ছোট্ট একটি অংশ । 

সত্যি উর্ধে ব্লাকহোলের মতন এতটাই রহস্যময় চেয়ে আমাদের মনে বারবার একটি প্রশ্ন উঠে আসে । সত্যি কি হোয়াইট হোল আছে অনেকটা সময় ধরে বিজ্ঞানীরা এটা বিশ্বাস করছেন না ।হোয়াইট হলে কিছু হয় কিন্তু বন্ধুরা ইদানীং কিছুটা হলেও পরিবর্তন এসেছে । আমাদের পৃথিবী এবং সূর্য অবজেক্টের মহাশূন্যে ঘটনা ঘটনা থেকে নজর রেখে চলেছে । যেমন রেফারেন্স ২০০৬ সালে ব্লাস্ট কে দেখা যায় ।

কিন্তু এইখানে প্লাস্টিকের পরম্পরাগত খামারের সাথে তেমন মিলছিল না । অসাধারণ রূপে এই গ্লাসটি সাধারণের থেকে কিছুটা লম্বা সময় ধরে চলে প্রায় একশো দুই সেকেন্ড পর্যন্ত । জার্মানে ছিল হয়তো এটা কোন বড় ধরনের সুপার্ণভা এক্সপ্লোশন হয়েছিল । কিন্তু সবথেকে অবাক করা বিষয় এটাই যে স্থানটিতে কোন প্রকার সুপার লোভা বিস্ফোরণ হয় । যা থেকে এটা আসবে বিজ্ঞানীদের কাছে এই প্লাস্টিক সম্পর্কে তেমন কোনো আয় ছিল না । সত্যিটা কি ছিল কিন্তু এই ঘটনা হওয়ার পাঁচ বছর পর বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দেন ২০০৬ সালে দেখা হলে জন্মের সময় হয়েছিল । আর যেটা ১০২ সেকেন্ড পর্যন্ত উপস্থিতি ছিল । 

এবং তার ভেতরে থাকে বাইরে বের করে দেয় আর সমাপ্ত হয়ে যায় । এই সিদ্ধান্তটি কি জানেন না কিন্তু বন্ধুরা যদি হয় দলের সম্পর্কে বলি তাহলে এটাই তার বড় প্রমাণ হতে পারে । যে টা এটাই বোঝাই যে এসএমএস থেকে বড় এবং রহস্যময় জিনিস এই হোয়াইট হল বাস্তব হতে পারে । তো বন্ধুরা আপনাদের কি মনে হয় সত্যি কি হতে পারে সেটা আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন । নেক্সট টাইম এরকম কোন সাইন্টিফিক এবং আপনাদের সামনে হাজির হবো ।

থ্যাঙ্কস ।

কিভাবে তৈরী হচ্ছে কৃত্রিম ব্ল‍্যাক হোল ।

সময় কি? ব্ল্যাক হোল-এর কাছে সময় কেন থেমে যায় কেন


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url