চাঁদের আকার কিভাবে পরিবর্তন হয়
হাই ফ্রেন্ডস আমাদের পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ । এই চাঁদ হলো একমাত্র যে কিনা রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করে চলে । এই চাঁদ খুবই সুন্দর লাগে যখন পূর্নিমা রাতের এটি সমপূণ থালার মত লাগে । আমার এটা ছোটবেলায় খুব মনে আছে যে মা আমাকে আদর করে বলতো আমার ছেলে দেখতে একদম তাদের মতো হয়েছে । আমার সাথে করবে জীবনে কখনো কখনো আমাদের সবারই মা আমাদের চাঁদ সঙ্গে কম্পেয়ার করেছে । কিন্তু আপনি জানেন কি এই চাঁদ যে এত সুন্দর লাগে কিন্তু তার নিজের না । আসলে আমার ছোট থেকে জানি চাঁদের কোন নিজস্ব আলো নেই । চাঁদ সূর্যের আলোয় নিজেকে আলোকিত করে । চাঁদ দেখতে মোটেও সুন্দর নয় আসলে সূর্যের আলো পড়ার কারণে চাঁদকে সুন্দর দেখায় ।কারণ চাঁদের গায়ে অনেক গত আছে যেগুলি আমরা খালি চোখে দেখে বুঝতে পারি না । আমরা সবাই জানি সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় কিন্তু এবার প্রশ্ন আসতে পারে তো চাঁদ-তা আকার পরিবর্তন করে কিভাবে এবং এর চাঁদ ডুবে যায় কোথায় ।
তো বন্ধুরা আজকের পোষ্টে আলোচনা করবো ।চাঁদের আকার কিভাবে পরিবর্তন হয় এবং কিভাবে চাঁদ সূর্য থেকে আলো নিয়ে নিজেকে আলোচিত করে । এ সমস্ত কিছু জানবো আজকের এই পোষ্টে মাধ্যমে । এবং আশা করব চাঁদের ব্যাপারে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ।
চাঁদের আকার পরিবর্তন |
চাঁদের আকার পরিবর্তন
বন্ধুরা আমাদের চাঁদ পছন্দ গল্পের কবিতায় আমরা সবাই চাঁদকে পছন্দ করি । চাঁদ হলো পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ । উপগ্রহ কি ? একটু বলি উপগ্রহ হল এমন একটি অবজেক্ট যেটি অন্য কোনো এক অবজেক্টকে প্রদক্ষিণ করে ।চাঁদ হল পৃথিবীর একমাত্র অবজেক্টিভ যেটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেন । চাঁদের এই পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে ২৭.৩ দুই দিন সময় লাগে । ঠিক তেমনি পৃথিবীও হল সূর্যের উপগ্রহ যেটি সূর্যকে নিয়মিত প্রদক্ষিণ করতে থাকে । পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা সময় লাগে । চাঁদের কোন নিজস্ব আলো নেই চাঁদ সূর্যের আলোয় নিজেকে আলোচিত করে । বা সূর্যের আলো চাঁদ থেকে রিফ্লেক্ট হয়ে পৃথিবীতে আসে এবং আমরা উজ্জ্বল চাঁদ দেখছি ।
তো প্রশ্ন আসবে চাঁদ তাহলে ডুবে কেন আসলে চাঁদ ডুবে না । সূর্যের আলো যখন চাঁদের উল্টোদিকে পরে বা চাঁদ যখন সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝখানে আছে তখন সূর্যের অন্যদিকে আলো পরে । এবং অন্ধকার দিক পৃথিবীর দিকে থাকে । যে আসলে কেন চাঁদের আকার পরিবর্তন হয় ।
চাঁদের দশা কেন পরিবর্তন হয়?
এই আকার পরিবর্তন কে বিজ্ঞানীরা আটি ভাগে ভাগ করেছে । এই ভাগগুলোকে লুনার প্রেস বলা হয় ।
১। নিউ মুন
প্রথম প্রেস অর্থাৎ প্রথম ভাগ কে বলা হয় নিউ মুন । এই সময় পৃথিবী থেকে সূর্য চাঁদের উল্টোদিকে থাকে এবং তার অপজিট সাইডের আলো পড়ে । তখনকার আলো পৃথিবীতে আসছে না তাই চাঁদকে আমরা দেখতে পাই না ।
২। ভ্যাকসিন ক্রিসেন্ট মুন
এবার শ্রেষ্ঠ যার নাম ভ্যাকসিন ক্রিসেন্ট মুন । এটির সময় চাঁদ পৃথিবী থেকে ৪৫ ডিগ্রি কোণে থাকে । এবং এই প্রেস চাঁদের সূর্যের আলো অল্প এরিয়াতে পড়ে । এবং আমরা চাঁদকে ছোট ভাবে দেখতে পাই ।
৩। হটস্পট মুন
থার্ড ফেজ এর নাম হটস্পট মুন । এর কোন প্রায় ৯০ ডিগ্রি এই প্রেস এ সূর্যের আলো তাদের অর্ধেকের এরিয়াতে পড়ে ।এবং আমরা চাঁদ অর্ধেক ভাবে দেখতে পাই ।চাঁদ কে অর্ধেক দেখা যায় ।
৪। ওয়াক্সিং ডিমাস মুন
ফোর প্রেস ওয়াক্সিং ডিমাস মুন । যেটি ১৩৫ ডিগ্রি কোণে এই প্রেস চাঁদের সূর্যের আলোর তার প্রায় ৭৫% অংশে পড়ে । এবং আমরা চাঁদকে অর্ধেকের বেশি দেখতে পাই ।
৫। ফুলমুন
ফাইভ পেজ এটি হলো ফুলমুন এই সময় চাঁদ পৃথিবীর ১৮০ডিগ্রিতে থাকে । এবং সূর্যের আলো চাঁদ এর পুরো এরিয়াতে পড়ে এবং আমরা চাঁদকে সম্পূর্ণ গোলাকার দেখতে পাই । এবং এই সময় পূর্ণিমা হয় ।পূর্ণিমা এই জন্য হয় ।
আরও পড়ুন: গ্রহাণুর উপর হামলা চালাতে চায় নাসা পাঠাতে চলেছে মহাকাশযান মিশন ডার্ট
৬। ওয়ারিংবিভাগী মুন
এটি হলো ওয়ারিংবিভাগী মুন এখানে চাঁদ পৃথিবী থেকে ২২৫ ডিগ্রি কোণে থাকে । এবং তার ২৫ শতাংশ মত অংশ সূর্যের আলো পড়ে না । এবং আমরা তার বাকি অংশ দেখতে পাই ।
৭।প্লাস ওয়াটার মুন
প্লাস ওয়াটার মুন এই সময় চাঁদ পৃথিবীর ২৭০ ডিগ্রি কোণে থাকে । এবং চাঁদ সূর্যের আলো অর্ধেক অংশে পড়ে এবং আমরা অর্ধেক দেখতে পাই ।
আরও পড়ুন: চাঁদে দুটি বড় কাঁচের গোলক কোথা থেকে এলো?কৌতূহলে বিজ্ঞানীরা
৮। ওয়ানিং ক্রিসেন্ট মুন
ফাইনাল প্রেস যার নাম ওয়ানিং ক্রিসেন্ট মুন । ৩১৫ ডিগ্রী কোণে থাকে এখানে ২৫ শতাংশ চাঁদের আলো পড়ে । এবং আমরা তার অংশ দেখতে পাই ।
তো বন্ধুরা এভাবে চাঁদের আকার পরিবর্তন হয় এবং আমাদের যত ভুল ধারণা যে চাঁদ ডুবে যায় এসব কিছু না ।আসলে চাঁদের আলো যতটুকু এরিয়াতে পরে পৃথিবী থেকে কতটুকু এরিয়া দেখা যায় । এবং এভাবে আমরা বলে থাকি তার ছোট এবং বড় বা ডুবে যায় । তো বন্ধুরা এই ছিল চাঁদের আকার পরিবর্তন নিয়ে সম্পূর্ণ ইনফর্মেশন তো বন্ধুরা পোষ্টেটি কেমন লেগেছে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন । ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
ধন্যবাদ ।