এরোপ্লেন কে আবিষ্কার করেন?
এরোপ্লেন |
এরোপ্লেন আবিষ্কার
প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ যখন পাখিদের আকাশে উড়তে দেখতো তখন তাদের ইচ্ছে হতো পাখিদের মতো আকাশে ওড়া । কিন্তু আজ থেকে এক হাজার বছর আগে কেউ কখনো ভাবতেও পারেনি যে ভবিষ্যতের দিনে এরোপ্লেনে করে যাত্রা করা এতটা সহজ ও সুরক্ষিত হয়ে যাবে ।১৫ শতাব্দী থেকে বৈজ্ঞানিক ইঞ্জিনিয়াররা আকাশে উড়ন্ত পাখিদের দেখে তাদের উপর বিভিন্ন ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করেন ।
এবং আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখেন আর তাদের এই স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য তারা নিজেদের পুরো জীবন আবিষ্কারের পেছনে লাগিয়ে দিয়েছিলেন । তাদের মধ্যে কয়েকজন সফল হয়েছিলেন আবার কয়েকজন অসফল হয়েছিলেন ।উড়োজাহাজ আবিষ্কারের কাহিনী অনেক বড় প্লেন এর মতো বারবার চালিয়ে দেখা যেত না । একবার আকাশে ওড়া নেই তা কিছুক্ষণের মধ্যেই মাটিতে ভেঙে পড়ে যেত আর সাথে সাথে তো তাই একটু করে বানিয়ে টেস্ট করা যেত না । একেবারে পারফেক্ট বানাতে হত সাধারণভাবে যে দুই ভাইকে এর আবিষ্কারক হিসেবে জানা যায় তাদের নাম হল উরিভি রাইট এবং উইলবার রাইট ।
তবে এ ছাড়াও আরো অনেক ইঞ্জিনিয়াররা এরোপ্লেন বানানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তারা এই এরোপ্লেন কে আকাশে উড়ানোর সময় কোন কোন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে নিজেদের জীবন হারিয়েছিলেন ।বন্ধুরা আমি আপনাদের সাথে আজকের পোষ্টে আবিষ্কারের ইতিহাস এবং সেই আবিষ্কারের জন্য নিজেদের জীবন অতিবাহিত করা মহান কিছু বৈজ্ঞানিক এর বিষয়ে আপনাদের জানাব ।
লিওনার্দো দা
আবিষ্কারকের তালিকা প্রথম লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ১৪৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । তিনি একজন মহা চিত্তার তবে তাকে পুরো পৃথিবী শুধুমাত্র একজন চিত্রকার ছিলেন । হিসেবে এমনটা নয় তিনি সে সময় একজন গবেষক ও ছিলেন তার তৈরি প্রত্যেকটি পেইন্টিং কিছু না কিছু রহস্য লুকিয়ে থাকত । আর এইসব দেখে অবাক হয়ে যেত লিওনার্দো দা ভিঞ্চি কে পৃথিবীর প্রথম মানুষ বলা হয় উড়োজাহাজের প্রথম স্বপ্ন দেখেছিলেন । এবং সেটাকে বাস্তবায়ন করেছিলেন তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে তিনি দিনরাত এক করে দিয়েছিলেন ।
লিওনার্দো দা ভিঞ্চির সম্বন্ধে দিয়েছিলেন আর পরবর্তীকালে এই থিওরির উপর কাজ করেই অনেক সফল এরোপ্লেন আবিষ্কার করেছিলেন । তাদের মধ্যে প্রথমটি হলো ফেলাং মেশিং দেশের সবথেকে শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার বলে মানা হয় । পাখি কিভাবে আকাশে উড়ে আর কিভাবে মাটিতে নেমে আসে অনেক সময় ধরে তিনি করেছিলেন । এরপর তিনি কাঠের সাহায্যে একটি স্লাইড দিয়ে তৈরি করেছিলেন এতে পুলিশের ব্যবহার করা হয়েছিল যাতে সহজে আকাশে উড়া যায় । আর সামনের দিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সাইকেলের রিং লাগানো ছিল আবিষ্কারের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়ে যায় ।
২০০ রামে ১৫১৯ সালে তিনি মারা যান । আবিষ্কার করার জন্য তিনি আরেকটি মেশিনে তৈরি করেছিলেন আর এই মেশিনের সাথে অনেকটা ম্যাচ করে তৃতীয় ধাপের পেইন্টিং এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম উল্লেখ করেন । তাদের মত ছিল এই পেইন্টিং এর সাথে সাথে তিনি আরো অনেক জরুরী তথ্য দিয়েছিলেন । ১৫১৯ সালের মৃত্যুর পরে প্লেন বানানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তারা কেউই সফল হননি । আবিষ্কার হয়ে গিয়েছিল আবিষ্কার করেন তাদের নাম ছিল এবং ব্যবহার করা হয়েছিল । আরে ডায়ামিটার ১০ মিটার পর্যন্ত রাখা হয়েছিল ।
১৯ সেপ্টেম্বর ১৭৮৩ সালে এই বেলুনের এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য একটি মুরগি হাঁস আরেকটি ছাগলকে হাওয়ায় উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল । ১৫ মিনিট পর্যন্ত ছিল তারপর সেটি মাটিতে পড়ে যায় । এরপর যে মানুষকে বসিয়ে আকাশে উড়ানোর কথা চিন্তা করেন এর প্রায় এক মাস পর ২১ নভেম্বর ১৭৮৩ সালে একজন বৈজ্ঞানিক এবং একজন অধিকারী প্রথম হট এয়ার বেলুন যাত্রা করেন । তারা প্রায় ২৫ মিনিট ধরে ৯ মিটার পর্যন্ত যেতে পেরেছিলেন ।
অটো লেলিন
অটো লেলিন ১৮৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন । ১৮৭০ সালে রয়েল টেকনিক্যাল একাডেমী বার্লিন থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করেছিলেন । ১৮৯১ সালে তিনি তার প্রথম এক্সিডেন্ট করেছিলেন প্রথম তিনি গ্লাডিয়েটর এর সাহায্যে প্রায় ২৫ মিনিট পর্যন্ত আকাশে উঠতে পেরেছিলেন । ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি আলাদা আলাদা টেকনিকের সাহায্যে আকাশে ওড়ার যন্ত্র আবিষ্কার করেন । তারা এই পাঁচ বছরের এক্সপেরিমেন্ট এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিনি আড়াইশো মিটার পর্যন্ত উঠতে পেরেছিলেন । তিনি পুরো ২০০০ বার সাহায্যে আকাশে উড়ে ছিলেন । ১৮৯৬ সালে তিনি যখন নিয়ে আকাশে করছিলেন তিনি তাদের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন । তখন তিনি প্রায় ১৫ মিটার উঁচু থেকে মাটিতে পড়ে যান এই এক্সিডেন্ট এর ফলে তার ঘাড়ের হাড় ভেঙে যায় । আর একদিন পর তার মৃত্যু হয় ।
এলবাট ডুমন
১৮৭৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এরোপ্লেনে জন্মদাতা বলে মানা হয় । কাজ করতে করতে এরোপ্লেন আবিষ্কারের কথা ভাবেন তার বানানো প্রথম যন্ত্রটি প্রথমে হট এয়ার বেলুন আকাশে উড়ানো হয়েছিল । তার সাথে এই যন্ত্রটি আকাশে ওড়ানো হয় ১৮৯৮ সালে তিনি তার প্রথম চেষ্টা করেছিলেন তারপর অক্টোবর ১৯৭১ সালে তিনি তার শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার কে আকাশে পুরো পৃথিবীতে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন । তিনি ফ্রান্সের প্যারিসে আকাশে উড়িয়ে পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন ।
উইল রাইট ও ব্রাদার্স
১৯৭১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অপ্রিল। ১৮৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন উইল রাইট ব্রাদার্স নামে এর আবিষ্কারক হিসেবে জানা হয় ।১৭ ডিসেম্বর ১৯০৩ সালে পৃথিবীর সবথেকে প্রথম সাকসেসফুল আবিষ্কার করেছিলেন । ছোটবেলা থেকে আকাশে ওড়ার খুব ইচ্ছে ছিল তারা পাখিদের আকাশে উড়তে দেখে নিজেরা উড়তে চাইত । তবে এই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য তাদের কাছে সেই পরিমাণ টাকা ছিল না । ওকে দেখে খুবই আগ্রহী হয় তারা শুরুর দিকে উঠিয়ে আকাশে উড়ে বেড়াতো তারা একটি সাইকেলের দোকানে কাজ করতো ।
আরও পড়ুন: গবেষণা সমস্যা কাকে বলে?
আর সেখান থেকেই তাদের মাথায় আসে ছিল কিন্তু তা ঠিক টাইমে নির্দিষ্ট জায়গায় খুব কঠিন দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে ১৯০০ সালে একটি জায়গায় গিয়ে তাদের এক্সপেরিমেন্ট শুরু করে । এরপর ১৯০৩ সালে ইঞ্জিন সাহায্যে একটি উড়োজাহাজ আকাশে ওড়ায় । কিন্তু এটি মাত্র ৬ সেকেন্ড পর্যন্ত আকাশে উঠতে পেরেছিল । ইঞ্জিন এর সাহায্যে প্রথম এরোপ্লেন তৈরি হয়েছিল এরপর চতুর্থ প্রচেষ্টায় আকাশে উড়েছিল । ৮৩৫ ফুট পর্যন্ত যেতে পেরেছিল এরপর তারা বারবার এই এক্সপেরিমেন্ট করতে থাকে । একসময় সাকসেসফুল হয় আর তারা প্রায় ৩৫ মাইল প্রতি ঘন্টায় উড়িয়ে ছিল । কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই দুই ভাই এর সম্বন্ধে কেউ কিছুই জানত না ।
আরও পড়ুন: ১ ঘণ্টায় বিশ্বপাড়ি দেবে চীনের নতুন বিমান, Hypersonic plane
আর না কোন সংবাদপত্রে এই দুই ভাইয়ের কথা কখনো উল্লেখ করা হয় । ১৯৬০ সালে ফ্রান্সে যায় যেখানে বসে পুরো দুনিয়ার সামনে ৯১ মিনিটে পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করেছিল । এই ঘটনার পর তাদের বেশ কিছু পুরুষ্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয় । এরপর থেকে ১৯৭৯ সালের দিকে বেশ কিছুদিন বানানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছিল । আর ১৯০৯ সালের পর্যন্ত লম্বা দূরত্ব অতিক্রম করেছিল । এরপর ১৯১৯ সালে প্রথম এরোপ্লেন কে আবিষ্কার করেছিল । এরপর থেকে আর অভিনয়ের মাধ্যমে আধুনিক আবিষ্কার হয়েছে । তো কেমন লাগলো পোষ্টি আমাকে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন । যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি লাইক করে দিন আর বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে দিন । দেখা হবে পরের ততই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।