সমুদ্র থেকে কিভাবে খনিজ তেল তোলা হয়
খনিজ তেল
পৃথিবীর পেট্রোলিয়াম ইন্দুষ্ট্রি লাভ করে বা লোস করে কাঁচা তেলের দামের উপর নির্ভর করে । আর প্রতি ব্যারেল কাঁচা তেলের দাম ইতিহাসে অনেক কিছু চেঞ্জ করেছে । কিছু দেশ খুব দ্রুতগতিতে উন্নতি করেছে আবার কিছু দেশের অবনতি ঘটেছে ।এই পেট্রোলিয়ামের দাম আমাদের বারবার ভাবতে বাধ্য করেছে । যে আমরা কিভাবে এবং কোথা থেকে আমাদের এনার্জি ডিমান্ডকে পূরণ করতে পারব । যদিও সারা পৃথিবীতে তেলের দাম মোটামুটি একই রকম থাকে ।কিন্তু তার স্বত্তেও সেই থেকে কোথা থেকে তোলা হচ্ছে তার ওপর পেট্রোলিয়াম এর দাম প্রচুর পরিমাণে ভ্যারি করে । ১ ব্যারেল পেট্রোলিয়ামকে এক্সট্রাক্ট করে একটা দেশের যে খরচ হয় অন্য দেশের খরচ তার থেকে অনেক গুন আলাদা হতে পারে । এমনকি একই দেশের মধ্যে ও পেট্রোলিয়াম তোলার পদ্ধতি উপর ভিত্তি করে কাঁচা তেলের দাম বিভিন্ন রকমের হতে পারে ।
একটা দেশের ক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ পেট্রোলিয়ামকে মাটির তলা থেকে তুলতে কম খরচা হতে পারে ।আর কিছু পরিমাণ পেট্রোলিয়ামকে তুলতে বেশি খরচ হতে পারে ।তবে সেই খরচ গুলোকে এভারেজ হিসেবে ধরে তবে তাদের পার ব্যারেল পেট্রোলিয়ামকে দামকে নির্ধারিত করতে হয় ।এবং সারা পৃথিবীতে যে এভারেজ দাম চলচ্ছে সবসময় পারব্যারেল দাম তার নিচেই রাখতে হয় ।এই কারণে প্রত্যেকটা দেশের মাটির তলা থেকে তেল বের করার একটা ক্যাপাসিটি হয় ।যার থেকে বেশি তারা ইচ্ছা করলেও বের করতে পারে না । আর যদি বের করে ফেলে তবে তাদের সেটাকে লোসে সেটাকে বিক্রি করতে হয় ।তার কারণ হলো খনিজ তেল বিভিন্ন জায়গাতে পাওয়া যায় ।
এটা সমতলভূমির কোন মাঠের বড় রোড়ে পাশে পাওয়া যেতে পারে । আবার কখনোবা গভীর সমুদ্রের মাঝখানে পাওয়া যেতে পারে । এবার এই দুটো জায়গাকে দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন জায়গায় খনিজ তেল বের করা টাকা বেশি খরচ হতে পারে ।অতীতে যখন পেট্রোলিয়াম এর দাম অনেক কম ছিল তখন সমতলভূমি ছেড়ে সমুদ্রের মাঝখানে পুলিশদের বের করাটা একেবারেই লাভজনক ছিল না । কিন্তু যখন পেট্রোলিয়াম এর দাম ধীরে ধীরে বেড়েছে চলছে ।\
সমুদ্র থেকে তেল তোলা পদ্ধিত |
সমুদ্র থেকে তেল তোলা পদ্ধিত
তেল তিনটি সাধারণ পদ্ধতি দ্বারা নিষ্কাশন করা হয়: রেন্ডারিং, পশু পণ্য এবং অলিজিনাস ফলের সাথে ব্যবহার করা হয়; যান্ত্রিক চাপ, তেল-বহনকারী বীজ এবং বাদাম জন্য; এবং উদ্বায়ী দ্রাবক দিয়ে নিষ্কাশন, চাপ দিয়ে সম্ভব তুলনায় আরো সম্পূর্ণ নিষ্কাশনের জন্য বড় আকারের অপারেশনে নিযুক্ত।
সমুদ্রের মাঝখানে তেল তোলার পদ্ধতি অপশনগুলো একটা হাইকোর্ট হায়রে স্ক্যান খনিজ তেল তোলার মেথড কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে । যে পৃথিবীর সমুদ্র গুলো ১৯ দলের একটা বিশাল ভান্ডার । এ কারণে সমতলভূমিতে যদি কোনো কষ্টই না পাওয়া যায় তখন বড় বড় কোম্পানিগুলো সমুদ্রের মাঝখানে যায় । কিন্তু কাজ করা শুরু করার আগে কোম্পানিগুলোকে জানতে হবে যে এগজ্যাক্টলি কোন জায়গাটায় তাদের যেতে হবে । কারণ সমুদ্র একটা বিশাল জায়গা তবে সমুদ্রের মাঝখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এক সঙ্গে জোট বেঁধে থাকে ।
মানে সিঙ্গেল প্লাটফর্ম এক জায়গায় থাকে না । সেখানে আশেপাশে আরও প্লাটফর্ম থাকে তবে কোথায় বানাতে হবে তার জন্য জিওলজিস্ট বিভিন্ন জাহাজের সাহায্যে স্যাটেলাইট ইমেজ এর সাহায্যে দেখে থাকে । তারপর যখনই তারা ডিসাইড করে ফেলবে যে কোন জায়গায় দাঁড়াতে পারে তখন গুলোকে নিয়ে গিয়ে ওখানে ইন্সটল করা হয় । তবে যে জায়গায় এদেরকে ইন্সটল করা হয় বহু বছর ধরে তারা সেই এক জায়গাতেই থাকে । তাদেরকে একটা অনেক সময় ধরে অপারেট করার জন্যই তৈরি করা হয় । তবে কোনোভাবেই এটা একটা জাহাজের মত কাজ করে না ।
মোটামুটি ভাবে এখানে যারা কাজ করে তারা প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা কাজ করে । কন্টিনিউয়াসলি ২০০ থেকে ৩০০ জন পর্যন্ত কাজ করে । তারপর আবার কাজ শুরু করে এর ফলে রাখা সম্ভব যেহেতু সেখানে অতিরিক্ত জায়গা থাকে না । তবে সমস্যা হলো এই পদ্ধতির ফলে উপকূলবর্তী শহর থেকে যাতায়াত করতে হয় আর এর জন্য তারা হেলিকপ্টার কে বেশি প্রচার করে ট্রান্সপোর্টেশন এর জন্য । হেলিকপ্টার হেলিকপ্টার যে কারণে গত কয়েক দশকে অনেক কোম্পানি এই কাজের জন্য এগিয়ে এসেছেন । এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটা বড় কোম্পানি হলো এভিয়েশন হেলিকপ্টার কে অপারেট করে মেনলি কল করার জন্য ।
ইউনাইটেড কিংডম এর নাম উপকূলবর্তী শহর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এতদিন এয়ারপোর্ট এয়ারপোর্ট থেকে খুব কমই এরোপ্লেন ইউরোপের কোন জায়গাতেই যায় । তবে এই পৃথিবীর সবথেকে বেশি হেলিকপ্টার প্রতিদিন প্রায় ১০০ হেলিকপ্টার এখান থেকে উড়ে এদের মধ্যে বেশির ভাগটাই নোটগুলোকে সার্চ করে । তবে এই শহরের সঙ্গে আরও একটা ভাবে জড়িত এখানে সমুদ্রবন্দরে সেই সমস্ত জাহাজগুলো এসে দাঁড়ায় করে । তবে যেগুলো আছে সেখান থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল উপকূলে চলে আসে । কিন্তু যারা কাজ করে তাদের প্রয়োজন হয় মেডিকেল সাপ্লাই এর প্রয়োজন হয় । এমনকি এসএমএস করার জন্য বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট দরকার হয় ।
আর সেই সবকিছু সাপ্লাই করে এই জাহাজগুলোকে সাধারণত ছোট এবং সহজ হয় এই কারণে উপকূল সব সময় বিজিপি থাকে । কখনো হেলিকপ্টারটি কখনো জাহাজের সাপ্লাই করা হচ্ছে যাতে নড়তে থাকা শতাধিক কন্টিনিউয়াসলি নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে । সাধারণত তিন ধরনের কাজ হয় প্রথমত প্রোডাকশন মানে যে সমস্ত খনিজ তেলের সঙ্গে সরাসরি ভাবে যুক্ত থাকে । তারপর মেনটেনেন্স গুলোতে এবং এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট কে মেনটেন করে এরপর তাকে সার্ভিস মানে যারা কাজ করে । তাদের খাওয়া-দাওয়া এবং বিভিন্ন দরকার মেনটেন করে বড় বড় কোম্পানিগুলো । সবসময় চেষ্টা করে যাতে গুলোতে কাজ করার লোক এদের সংখ্যা সবসময় মিনিমাম রাখা যায় । সমস্ত ওয়াতের ট্রানস্পর্ট করা এবং তাদের জন্য সাপ্লাই সব সময় মেইনটেইন করা অনেক এক্সপেন্সিভ । তার সাথে আরও একটা জিনিস আছে এখানে যারা কাজ করে তাদের স্যালারি সমতল ভূমিতে ফিল্ডে কাজ করে ।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর প্রথম মহাকাশচারীর নাম কি
যারা তাদের থেকে অনেক বেশি হয় এমনকি বলতে পারেন একটু বেশি হয় এজন্য বেশিরভাগ ম্যানেজমেন্ট এবং সেগুলো ভূপৃষ্ঠে কোন অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মধ্যেই হয়ে থাকে । যদিও উপকূল থেকে কয়েক দিনের মধ্যেই থাকে কিন্তু তা সত্ত্বেও সাপ্লাই পৌঁছানো এখানে অনেক কস্টলি এই কারণে খাওয়ার জল এবং বিদ্যুৎ তারা নিজেরাই তৈরি করে নেয় । আপনারা দেখেও বুঝতে পারবেন যে তৈরি করতে প্রচুর টাকা খরচা হয় এর কারণ হলো সমুদ্রের উপরে আমরা যেটুকু অংশ দেখতে পায় সমুদ্রের নিচের অংশটা সমুদ্রের তলা থেকে এমনকি কয়েক হাজার ফুট পর্যন্ত ড্রিল করে । সেখান থেকে তেল বের করে নিতে পারে আর তার জন্য সেইরকম ইকুপমেন্ট ও তাদের কাছে থাকে । কিছু কিছু প্ল্যাটফর্ম আছে যারা সমুদ্রের উপরে ভেসে থাকে ।
প্লাটফর্ম
তেল বের করে নিতে পারে আর তার জন্য সেইরকম ইকুইপমেন্টও তাদের কাছে থাকে কিছু কিছু প্ল্যাটফর্ম আছে যারা সমুদ্রের উপরে ভেসে থাকে । তবে এমন কিছু প্ল্যাটফর্ম আছে যারা সমুদ্রের তলা থেকে একেবারে টাওয়ারের মতো করে তৈরি করা থাকে । পৃথিবীর সবথেকে লম্বা প্লাটফর্ম হল পেট্রোনিয়াস প্লাটফর্ম ২০২০ সালে বুর্জ খালিফা তৈরি হওয়ার আগে এটাই ছিল । পৃথিবীর সবথেকে উঁচু স্ট্যান্ডিং স্ট্রাকচার প্লাটফ্রম তৈরি করতে খরচ হয় এমন কিছু কিছু প্ল্যাটফর্ম আছে যাদের তৈরি অস্ট্রেলিয়ান ডলারের কাছাকাছি চলে যেতে পারে । তবে এখানে একটা প্রশ্ন আমাদের মনের মধ্যে উঠে আসে এত খরচ আর এত এরপরেও এগুলো কি লাভজনক আনসার হতে পারে । একটা শর্তে আর একটা লঙ্কেশ্বর দেখতে গেলে কোনোভাবেই কতটা লাভজনক নয় ।
আরও পড়ুন: পৃথিবীতে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ গণবিলুপ্তির পর্ব, হুঁশিয়ারি গবেষণায়
যতটা সমতলভূমির অয়েলফিল্ড গুলো রাশিয়ার মধ্যে তেলের দাম কমানো নিয়ে বিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে এবং কোভিদ নাইনটিন শুরু হওয়ার পর পেট্রোল এর ডিমান্ড অনেক কমে গেছে । যে কারণে মনে হয় না এখন অর্থাৎ বর্তমানে পৃথিবীর কোন বক্সগুলো প্রফিট করতে পারছে । তাছাড়া আমেরিকা এবং এর মতো বড়-বড় কান্ট্রিতে সেলেরিও অনেক হাই হয় । যে কারণে এই অপশন গুলো থেকে পেট্রোল বের করার থেকে বাইরে থেকে পেট্রোলিয়াম কিনে নেওয়া যায় । তাদের কাছে লাভজনক মনে করুন যদি ভারতের মতো দেশের সমুদ্র উপকূলীয় যদি খনিজ তেল পাওয়া যায় তবুও সেখানে অপব্যবহার করে গড়ে তোলার থেকে সৌদি আরব দেশগুলো থেকে তেল কেনাটা ভারতের কাছে বেশি লাভজনক হবে । তবে এই প্লাটফর্ম করতেও পারে এই কারণে এগুলোকে এখনো জীবিত রাখা হয়েছে ।
সমুদ্র থেকে তেল তোলা পদ্ধিত |
খয় ক্ষতি
সারা পৃথিবীতে যখন খনিজ তেলের ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে তখন সমতলভূমিতে ধাকা অন্ড কোনভাবে পূর্ণ করতে পারবে না । এখনই কোম্পানিগুলোকে যেতে হবে সমুদ্রের মাঝখানে তাছাড়াও কোন দেশ যদি মনে করে যে তারা বাইরে থেকে পেট্রোলিয়াম না কিনে নিজেদের দেশেই দমেস্টিক্যালি প্রডিউস করবে তবুও তাদের কাজে লাগতে পারে ।তবে কয়েক দশক আগে থেকে যখন অফসোর অপারেট করা শুরু করেছিল তখন বড় বড় কোম্পানিগুলো আরো একটা খরচ হওয়ার কথা ভাবেনি যেটা বর্তমানে তাদের ভাবতে হচ্ছে । এটা তখন তারা বুঝতে পারে যখন বৃদ্ধি কোম্পানির ডিলার নামক একটা আগুন লেগে যায় এক্সপ্লোশন হয় । এবং তার সাথে সাথে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ব্যারেল সমুদ্রের মধ্যে ছড়িয়ে যায় । প্রায় এক দশক পরেও এই দুর্ঘটনার জন্য যে কত ক্ষতি হয়েছিল সেটা বের করা সম্ভব হয়নি । বি, পি কম্পানিকে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন ডলার খরচা করতে হয়েছিল ।
সমূদ্র পরিস্কার করার জন্য যেটা সেই সময়কার তাদের কোম্পানির প্রায় তিন বছরের ছিল । এটা কোনোভাবেই কেউ বলতে পারে না হয়তো এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক রকম হতে পারে হয়তো বিভিন্ন দেশের সরকারের ওপর অনেক গুরুত্ব দিতে পারে । তবে সমুদ্রে এই প্রোডাক্টটি আপনি মেনে নিতে পারেন । এই দুর্ঘটনাগুলো একটা বড় কোম্পানির ইমেজ এমনভাবে খারাপ করতে পারে । সেই ভাবে এনভারমেন্ট কেউ নষ্ট করতে পারে । আর এই সব কিছু একটা ভালো বিজনেস এর জন্য কোনোভাবেই ঠিক নয় এ কারণে গত এক দশকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে খুব একটা বেশি ইনক্রিজ দেখা যায়নি । তবে এর ফিউচার কবে এবং কিভাবে পাল্টাবে পাল্টাবে কিনা সেটা এখন আমরা সেই ভাবে বলতে পারবো না । কারণ দ্রুত পরিবর্তন হওয়া এই পৃথিবীতে আমরা কিভাবে এবং কোথা থেকে আমাদের এনার্জি পূরণ করব সেটাও খুব দ্রুতগতিতে পাল্টে যাচ্ছে । তো বন্ধুরা আপনার কী মনে হয় সেটা কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন । লাইক এবং বন্ধুদের সঙ্গে অবশ্যই শেয়ার করবেন ।
আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ