মঙ্গল গ্রহে যাওয়া প্রথম নারী

 কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনাকে যদি এই পৃথিবী থেকে ৯৪ কোটি কিলোমিটার দূরে মঙ্গল গ্রহে একা রেখে আসা হয়? তাহলে কেমন হবে শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্য যে ২০৩৩ সালে প্রথম মানুষ হিসেবে এলিজা কার্সন নামে এই মেয়েটি একা যাবে মঙ্গল গ্রহে । সাত বছর বয়সে বাবা তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন আলবামার একটি এসপেস ক্যাম্পে সেই ক্যাম্পের অভিজ্ঞতার তাকে এমন ভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল যে তার ভাবনার জগৎ তাই অন্য শিশুদের চাইতে আলাদা হয়ে যায় ।


মঙ্গল গ্রহে যাওয়া প্রথম নারী এলিজা কার্সন
এলিজা কার্সন 

এলিজা কার্সন

এলিজার যখন ৯ বছর বয়স তখন তার সাথে দেখা হয়  ৪১ মহাকাশচারীরা মাসের এই নারী মহাকাশচারী তাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন । ছোটবেলাতেই তিনি মহাকাশে যাওয়া স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন । এই কথাটা নিজের চোখে মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন কি আর ও করেছিলো । ১২ বছর বয়সে এলিজা সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে আলবামা কানাডার কুইবেক ও তুরস্কের ইজমির বিভিন্ন অংশ নেয় । মহাকাশের বেসিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন মিশন কিভাবে পরিচালিত হয় তা শিখে নিয়েছে । এলিজা মহাকর্ষ শূন্যস্থানে চলাচল করার পদ্ধতি স্থানে থাকা শিখে নিয়েছে । এলিজা অর্জন করেছে বিশেষ মুহূর্তে জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা । রোবটিক্স বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নিজে একটি রকেট বানিয়েছে  এলিজা । শুধু তাই নয় নাসা থেকে তাকে ব্লুবেরি নামক একটি কলম দেওয়া হয়েছে । 

যেহেতু এলিজা মঙ্গলে গেলে আর ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম তাই নাসা কাছে সে কোন প্রকার যৌন তাইয়্যেবা সন্তান ধারণের নিষেধাজ্ঞা পত্রে স্বাক্ষর করেছে । কারণ এর আগে একটা কুকুরকে স্পুটনিক' মহাকাশে পাঠানো হয় তখন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা জানতো না যে কিভাবে এসে আবার পৃথিবীতে ফেরত আনতে হয় । শুধু আটকে সফলভাবে উড়ানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল । তারাও ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর জেএসসি করে চাঁদে পাঠানো হয় । হয়তো জানতেই হবে তার জীবনের শেষদিন অবশেষে ইঞ্জিনিয়ারিং এর ত্রুটি থাকার কারণেই বেশি রাগ ধরে যায় । আর আগুনে ঝলসে মারা যায় তাই হয়তো হারিয়ে যেতে পারে এলিজা । আরে লিজাকে একবার মঙ্গল গ্রহে পাঠানো হলে তাকে আবার কিভাবে যে পৃথিবীতে আনা হবে তার বাস্তব অভিজ্ঞতার কাছে অফিশিয়ালি । ১৮ বছরের আগে কাউকে নভোচারী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ দেয় না তবে এর ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানা হয়নি ।

প্রথম থেকেই প্রতিষ্ঠানটি এলিজাকে মানুষের ভবিষ্যৎ মঙ্গল অভিযানের জন্য শক্ত-সমর্থ করে তৈরি করতে চেয়েছে ।২০৩৩ সালে যখন মঙ্গল গ্রহে প্রথমবার মানুষ পাঠানোর অভিযান শুরু হবে তখনই এলিজা বয়স হবে ৩০ বছর । এই জন্য যথাযথ বয়স হয়তো আর ফিরে আসবে না । এই পৃথিবীতে আর মাত্র ১৪ বছর পরে একমাত্র নিঃসঙ্গ মানুষ হিসেবে কোটি কোটি মাইল দূরের লোহার মরিচার ঢাকা প্রচন্ড শীত ও নিষ্প্রাণ গ্রহের ক্ষীয়মান নীল নক্ষত্র নিয়ে হারিয়ে যাবে ।তবে তাতে সে মোটেও ভীত নয় ভাবতে অবাক লাগে মানুষের স্বপ্ন কত বিশাল এলিজা কার্সন আমাদেরকে স্বপ্ন দেখতে শেখায় । শেষে জীবনের আরেক নাম-ই স্বপ্ন আর সেই স্বপ্ন পূরণে জীবনকে নিঃশেষ করে দেয়া এক ধরনের সার্থকতা হয়তো । পৃথিবীতে আর ফিরে আসা হবে না তাজানা সত্ত্বেও এলিজা কার্সন এই মঙ্গল গ্রহে একা যাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়।


মঙ্গল গ্রহে যাওয়া প্রথম নারী এলিজা কার্সন 2

এই মেয়েটি প্রথম ব্যক্তি হতে পারে


এলিজা কার্সন মঙ্গল গ্রহে কেন যেতে চায়

বন্ধুরা ছোটবেলায় আমরা সুপারহিরো রাজপুত্র রাজকন্যার কাটুন এবং এনিমেটেড সিনেমা দেখি আর তাদের মত হওয়ার অথবা তাদের দুনিয়াতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি । এরকম একটি স্বপ্ন ১৯ বছরের স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রোগ্রামটি দেখতে পারেনি । তাদের বাড়ির পিছন থেকে বিভিন্ন সময় মঙ্গল গ্রহে গিয়ে ছিল । একদিন আমি ওখানে যাব ৩ বছরের ছোট্ট তখনই মহাকাশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় এলিজা ।মঙ্গল গ্রহের ভিডিও দেখতে শুরু করে এমনকি নিজের ঘরে দেয়ালগুলোতে মঙ্গল গ্রহের ছবি । আর শুধু তাই নয় সেটা স্বপ্নের দুনিয়ায় নজর রাখার জন্য একটি টেলিস্কোপে একবার মঙ্গল গ্রহে পৌঁছানোর পর । আর কোনো দিনই হয়তো সে পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারবে না । কিন্তু তা সত্ত্বেও যে পৃথিবী ছেড়ে ১৮২ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত । 

তার স্বপ্নের দুনিয়া মঙ্গল গ্রহে রাখতে চাই সে যেন মঙ্গল গ্রহে প্রথম স্বপ্ন পূরণের জন্য আমেরিকান স্ক্স্যন্সসে ২০০৩ সালে নাসা মঙ্গল গ্রহে মিশনের পরিকল্পনা করেছে । আর এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য তারা ঈসাকে ট্রেনিং দিয়ে প্রস্তুত করছে । ২০০১ সালের ১০ মার্চ আমেরিকার জন্ম হয়েছিল এলিজা ।এখন তার বয়স ২০ বছর আমেরিকার মহাকাশ যাত্রীর সাথে সাথে একজন পাবলিক স্পিকার । মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করার পেছনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে । ২০০৮ সালে তিনি মেয়েকে তার প্রথম এক্সপ্রেস ক্যাম্পের জন্য আমার হাতে নিয়ে যান  তখন তার বয়স মাত্র ৭ বছর । রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে তারপর থেকে তুর্কি এবং কানাডার কোন স্থানে অবস্থিত ম্যাচুয়েট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একমাত্র ব্যক্তি । 

যে যোগ দিয়েছিল আর ওয়েবসাইটেও এবং অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্ম এ ব্যবহৃত হয় । তিনি মেয়েকে উৎসাহিত করতে এবং তার স্বপ্ন পূরণের জন্য এবং আছেন এভাবেই আমরা একটি ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছেন । সমস্ত অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রথম বছরেই এডভান্স দেয় এবং মাত্র ১৬ বছর বয়সে এলেকশন কমিশন দ্বারা চালিত একনিষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করে । ১৮ বছর বয়সে লাইসেন্স ট্রেনিং অফিস ট্রেনিং ট্রেনিং এর জন্য দরখাস্ত বাতিল করে দিয়েছিল । ১৮ বছর বয়স না হলে যোগদান করার ছাড়পত্র মেলে না । তবে নাসায় কাজ করছে তাকে স্পেস ট্রেনিংয়ের জন্য ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে থেকেই সাহায্য করছে । 

কেননা ২০৩৩ সালে নাসা মঙ্গল গ্রহে মানুষ কিভাবে ৩২ বছর একজন মহাকাশচারী আদর্শ সময় । ২০৩৩ কমিশন দুই থেকে তিন বছরের জন্য হবে তখনই চার বছর হয়ে যাবে । তাই ২০৩৩ সালে মঙ্গলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে । মঙ্গল গ্রহে যাবে তাই নয় ওখানে দুই থেকে তিন বছর থাকবে । একা থাকবে না তার সাথেই থাকবে ওখানে থাকার জায়গা তৈরি করবে নিজেদের জন্য খাবার তৈরি করবে । এবং অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে আর শুধু তাই নয় জীবনের অস্তিত্ব আছে কিনা তার খোঁজে চালাবে । মঙ্গল গ্রহের সবথেকে বড় সমস্যা হল ওখানকার আবহাওয়া ওখানে প্রায় সব সময় ধরে চলতে থাকে । কখনো কখনো এতটাই বেড়ে যায় যে গ্রহটি ঘিরে ফেলে একের বিপরীতে গিয়ে কাজ করা এবং টিকে থাকার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে । তার সাথে নাসার বিভিন্ন রকম মেশিন চালানো হচ্ছে ইন্টারভিউতে জানিয়েছিলেন যে মঙ্গল গ্রহে অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই কম ।

ওখানে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ৯০% তাই আমাকে কমেন্ট যুক্ত পরিবেশে টিকে থাকার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ট্রেনিং এর সময় একবার অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়া হয়েছিল । অর্থাৎ আমাদের হাইপোক্সিয়া অবস্থায় রাখা হয়েছিল যাতে লক্ষ্য করা যায় অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে আমার কি পরিস্থিতি হয় । এই অবস্থায় আমার মধ্যে ইউফোরিয়া দেখা যায় । সাধারণত প্রচন্ড হাসি এবং হাসিটা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায় আমার শুন্য হয়ে গিয়েছিল । এ এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা একটি বই লিখেছেন এবং তিনি নিজে সেটা প্রকাশ করেছেন ।

বইটির নাম দিয়েছেন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি নিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে সক্ষম হবে । জানা নেই তবে বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির বর্তমানে যে জায়গায় পৌঁছে গেছে তাতে আস্থা রাখা যেতে পারে । যে মঙ্গলবারে চলেছে প্রথম সফলভাবে পৃথিবীতে আসবে এই আশা রাখি সমগ্র পৃথিবীর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এর ফলে আমরা মঙ্গল গ্রহকে আরও কাছ থেকে জানতে পারবো । বিভিন্ন খুঁটিনাটি তথ্য এখন ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে । বন্ধুরা শেষ পর্যন্ত শক্তি হবে আপনার কি মনে হয় আপনার মতামত আমাকে কমেন্ট করে জানান ।ভালো লাগলে একটা লাইক করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন ।

মঙ্গলের মাটিতে কি জল? আসল সত্যি টা কি এই জানুন

মঙ্গলের মাটিতেই মৃত্যু হল ইঞ্জেনুইটির হেলিকপ্টারে

মঙ্গলের মাটিতে রয়েছে ডাইনোসরের ডিম ছড়িয়ে আছে পাথরের টেবিল?


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url