পৃথিবীর প্রথম মহাকাশচারীর নাম কি
ইউরি আলেক্সেইভিচ্ গাগারিন (রুশ: Юрий Алексеевич Гагарин, ৯ মার্চ ১৯৩৪ – ২৭ মার্চ ১৯৬৮) একজন সোভিয়েত বৈমানিক এবং নভোচারী। তিনি সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি মহাকাশ ভ্রমণ করেন, তিনি ভস্টক নভোযানে করে ১৯৬১ সালের ১২ই এপ্রিল পৃথিবীর কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করেন ।
প্রথম মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিন |
পৃথিবীর প্রথম মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের রোমহর্ষক কাহিনী
মানুষের মহাকাশযাত্রার ইতিহাসে ইউরি গাগারিন এক অবিস্মরণীয় নাম প্রথমবারের মতো মহাকাশে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় নভোচারীর মহাকাশযাত্রা আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে যে ভয়াবহ প্রতিযোগিতা সূচনা করেছিল তারই সূত্র ধরে পরবর্তীতে একের পর এক মহাকাশ অভিযান চালানোর চেষ্টা করতে থাকে। দেশ দুটি যার ফলে মানুষ চাঁদে পা রেখেছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে বানিয়েছে মহাকাশ স্টেশন। ইউরি গ্যাগারিন নামের একটি মহাকাশযানে করে ১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। রাশিয়ার সময় সকাল ছটা তে মহাকাশযাত্রা তিনি শুরু করেন। প্রথমবারের মতো পৃথিবীর আকর্ষণের বাধন ছিরে বেরিয়ে যায়। তারপর পৃথিবীকে ঘিরে নির্দিষ্ট কক্ষপথে একবার ঘুরে নিয়ে আবারও প্রবেশ করে।
পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে রাশিয়ানদের সৌভাগ্য মহাকাশযানটি সেদিন পৃথিবীর বুকে সফলভাবেই নেমে এসেছিল। মোটাদাগে জায়গায় মহাকাশযাত্রার গল্প কিন্তু এটুকুই তবে এর মাঝে লুকিয়ে আছে মজার এবং দারুণ সব তথ্য। যেগুলো নিয়ে কথা না বললে এই মহাকাশযাত্রার গল্পটি অপূর্ণই থেকে যাবে। বিশেষ করে ইউড়ি গাগারিন মানুষটিকে ছিলেন এর আগে কেন কোন মহাকাশযান মানুষকে মহাকাশে নিয়ে যেতে পারেনি। তা নিয়ে কথা না বললে তো এই কাহিনীর কিছুই আসলে বলা হবে না। তাহলে চলুন এরকম কিছু তথ্য সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।
ইউরি গ্যাগারিনের পুড়ছিল ১০৮ মিনিট এখনকার হিসাবে কিন্তু খুবই অল্প। কিন্তু ১৯৬১ সালের প্রযুক্তির কথা বললে অনেক বেশি আসলে অন্যান্য দেশে এমন কি খোদাও তখন অভিকর্ষের বাধা উপেক্ষা করেন । পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়ার মত প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে পারেনি । এই ১০৮ মিনিটের মধ্যে মিশন পৃথিবীর চারপাশে একবার ঘুরে আসতে সময় লেগেছিল ঘণ্টারও কম সময়ে । কারণ মহাকাশযানটির ছিল প্রচণ্ড পৃথিবী ঘিরে ঘোড়ার বেশিরভাগ সময় জুড়ে বাসের গতি বেগ । প্রতি ঘন্টায় ১৭৫০০ মাইল এ সময় বৃত্তাকার একটি পথ ধরেছে এবং সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে । তারপর গতি বেগ কমে আসলে এটি আবার পৃথিবীর সীমানায় প্রবেশ করে ।
পৃথিবীর একপাক ঘুরে আসার জন্য ওয়ান মহাকাশযানকে যে উচ্চতায় উঠে যেতে হয়েছে সে জন্য নূন্যতম গতিবেগ ঘন্টায় ১৭৫০০ মাইল হওয়াটা ছিল বাধ্যতামূলক । এর মানে দাঁড়ায় মহাকাশযানটি কে প্রতি সেকেন্ডে ৫ মাইল পথ পাড়ি দিতে হয়েছে । মহাকাশের বাধা ছিঁড়ে পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে গিয়ে পৃথিবীতে ঘুরে আসতে হলে এরকম প্রচন্ড ব্যথা কাটা আবশ্যক । কিন্তু সে সময় এত শক্তিশালী আর কোন রকেট ছিলই না । এই মিশনের প্রস্তুতি হিসেবে মহাকাশযানে ব্যবহৃত প্রযুক্তিকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখা দরকার ছিল । সেজন্য এর একটি প্রোটোটাইপ ভস্রিকে নামে একটি মহাকাশযানে করে আইহোল ইভানোভিচ নামের মনুষ্য আকৃতির একটি মেয়ে এবং একটি কুকুরকে ঘুরে আসলে পাঠানো হয়েছিল ।
প্রথম মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের জন্ম
সফল হওয়ার জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছিল ১৯৯৩ সালে অনুষ্ঠিত এক নিলামে ৯৯৫১০ বিক্রি হয় ইউরি গ্যাগারিন । যখন মহাকাশে যাত্রা করেন তখন তার বয়স ছিল ২৭ বছর । ১৯৩৪ সালের ৯ মার্চ রাশির জাতকের কাছে কোন নামের এক গ্রামে তার জন্ম । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অন্যদের মতোই তার পরিবারকে অসম্ভব কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে । জার্মান এক অফিসার তাদের ঘরের দখল নিয়ে ছিল ফলে প্রায় এক বছরের মতো মাটির ঘরে বসবাস করতে হয়েছিল ।তাদের তারও করুন ১৯৪৩ সালে নাসিরা তার দুই ভাইকে দাস হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল । যুদ্ধ শেষে তারা মুক্তি পেয়েছিলেন অবশ্য পরে ১৯৪৬ সালে আবারও ফিরে আসে ।
পরিবার জানা যায় ছোটবেলা থেকেই মহাকাশযাত্রা স্বপ্ন দেখেছিলেন তবে তার ছোটবেলায় মানুষ মহাকাশযাত্রার কথা সে ভেবেছে বলে মনে হয় না ।সফল দের কে নিয়ে এরকম কল্পকথা ছড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক সে সময়ে অবস্থা বিবেচনা করলে ছোটবেলাতে কিউরি মহাকাশযাত্রা স্বপ্ন দেখেছিলেন । তবে তার ছোটবেলায় মানুষ মহাকাশযাত্রার কিভাবে ভেবেছে বলে মনে হয়না সফলদের কে নিয়ে এরকম কল্পকথা ছড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক । সে সময়ে অবস্থা বিবেচনা করলে মনে হয় মহাকাশযাত্রা না হলেও বৈমানিক হবার স্বপ্ন কিন্তু তার ছিল । সেই ধারাবাহিকতায় এবার শীতে বছর খানেকের জন্য একটি ভোকেশনাল স্কুলে পড়াশোনা করে হাতে কলমে কাজ শিখেছেন ।
তারপর তারা তাদের একটি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় পড়ার সুযোগ পেয়ে যান । সেখানে পড়ার সময় শখের বশে বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন । ১৯৫৫ সালে কারিগরি বিদ্যালয় পড়াশুনা শেষ করে ওরেনবার্গ এর পাইলট স্কুলে ভর্তি হন । ইউড়ি গাগারিন সেখানে তিনি যুদ্ধ বিমান চালনার প্রশিক্ষণ নেন সেখানে ভ্যালেন্টিনা গড়েছে হওয়ার সাথে তার পরিচয় কিছু ঘটনা ঘটে পরিচালনায় উই লাভ করেন । এবং ভ্যালেন্টিনা সাথে সেই বছরই তার বিয়ে হয় এরপর তাকে অবস্থিত নিয়োগ করা হয় ।
এই এলাকায় বিমান চালানো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল নিজের কাজে দারুন মুন্সিয়ানার পরিচয় দেন । ইউরি গ্যাগারিন ১৯৫৭ সালের ৫ ই নভেম্বর ইউরি গ্যাগারিন বিমান বাহিনীতে লেফটেন্যান্ট পদ লাভ করেন । ১৯৫৯ সালের ৬ নভেম্বর তিনি সিনিয়র লেফটেন্যান্ট পদে উন্নীত হন ।পরের বছর ১৯৬০সালে আরো ১৯ জন বৈমানিকের সাথে মহাকাশ যাত্রার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন । এর মধ্যে থেকেই ইউরি গ্যাগারিন এবং নির্মাণ টিটুকে দ্বিতীয় পর্যায় নির্বাচন করা হয় । এর পেছনের কারণ তাদের উচ্চতা লম্বা নয় বরং তুলনামূলকভাবে অন্যদের চেয়ে খাটো হওয়ার ফলেই নির্বাচিত হয়েছিলেন ।
এর উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ২ ইঞ্চি ছোট ঘরে বেশ ভালোভাবে এগিয়ে ছিলেন তিনি । সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি শারীরিক ক্ষমতা ইত্যাদি মিলে শেষ পর্যন্ত তিনি প্রথম মহাকাশ যাত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন । তাছাড়া প্রথম ধাপে নির্বাচন এর মধ্যেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন ইউরি । একটি ভোটাভুটি করা হয়েছিল এই কাকে মহাকাশযাত্রা জন্য সবচেয়ে যোগ্য মনে করেন । এর মাঝে ১৭ টি ভোট পড়েছিল ইউরি গ্যাগারিনের পক্ষে ।
ক্যাপসুল বর্তমানে সাধারণ আকৃতির মহাকাশযান বানানো হয় সেসব মহাকাশযানের নির্দিষ্ট চোখা মাথা থাকে। মহাকাশের বাঁধন ছেড়ে বেরোনোর জন্য তাকে অনেক বেশি চাপ সহ্য করতে হয় । গোলাকৃতির মহাকাশযানের ক্ষেত্রে সুবিধা হলো এর নির্দিষ্ট কোন সেন্টার অফ গ্রাভিটি নেই । যখন যেদিকে ফিরি থাকবে সেভাবে সবটুকু পৃষ্ঠতলের মহাকর্ষ চাপ টুকু ছড়িয়ে যাবে । ফলে কোন একটি বিন্দুতে মহাকাশযানকে অনেক বেশি চাপ সহ্য করতে হবে না । সেজন্য আসলে ভস্টক ওয়ান প্রয়োজনীয় গতি বেগে ছুটে পেরেছিল এবং ভেতরের একমাত্র যাত্রীটি যাত্রার সময় বেশ আরামই ছিলেন । অনেকেই হয়তো ভাবছেন এখন তাহলে মহাকাশযান এভাবে ডিজাইন করা বা বানানো হয় না ।
আরও পড়ুন: মহাকাশ সম্পর্কে অজানা তথ্য বিজ্ঞানের জানা অজানা তথ্য
কেন আসলে সব কিছুতেই একটা কিন্তু থাকে গোলাকৃতি সমস্যা হলো ফিরেছেন আমার ক্ষেত্রে এটি অনুপোযোগী । তাছাড়া বর্তমান মহাকাশযানগুলো তে ফিরে এসেছেন আমার জন্য রাস্তার থাকে যার ভূপৃষ্ঠে কাছাকাছি চলে এলো । রাস্তার চালু হয়ে যায় এবং ওপরের দিকে বলপ্রয়োগ করে ফলে মহাকাশযানের গতি ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে এবং যানটি নিরাপদের নামতে পারে । কিন্তু সেরকম কোনো কাজ ছিল না হলে বাঁচতে চাইলে ঘরের একমাত্র উপায় ছিল ।উপরে থাকতেই প্যারাসুট নিয়ে থেকে বেরিয়ে যাওয়া তাই করেছিলেন ।
আরও পড়ুন: বড় আকার থেকে ছোট আকার কিভাবে করা যায় তা নিয়ে পর্যালোচনা করছে বিজ্ঞান
কিন্তু সে সময় প্রথম অনুষ্ঠান সফল মহাকাশ অভিযান হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য সফলভাবে যাত্রীসহ মহাকাশযানটির নেমে আসা গুরুত্বপূর্ণ ছিল । ফলে রাশিয়ানরা তাদের অফিশিয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য গোপন করে গিয়েছিল । পরবর্তীতে যাত্রীসহ নেমে আসার নিয়ম শিথিল পরের আসি আসল সত্যটি ফাঁস করে এখনো রয়ে গেছে ইউরি গ্যাগারিনের । সম্মানে অবস্থিত নদীর নাম রাখা হয়েছে এর আগে একই লঞ্চ থেকে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ।রাশিয়ার ফেডারেল স্পেস এজেন্সির দায়িত্বে থাকলেও মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্রটির আসলে কিন্তু কাজাকিস্তানের অবস্থিত ছিল । তবে এখন কাজাকিস্তান স্বাধীন রাষ্ট্র রাশিয়ান সরকার এখনো এখান থেকে মহাকাশ যান উৎক্ষেপণ করে ।
প্রথম মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিন ছবি। |
এমনকি এ বছরের জুলাই এবং সেপ্টেম্বর দুটো মহাকাশযান থেকে কিন্তু যাত্রা করেছে । প্রকৃতি মাঝে মাঝে বড় নির্মম আচরণ করে মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পর শিউলীর স্বপ্ন জুড়ে ছিল ফের মহাকাশযাত্রা । কিন্তু এটাই তার কাল হয়ে দাঁড়ালো অসম্ভব বিখ্যাত হয়ে যাওয়ায় রাশিয়ার জন্য তিনি এত বেশি মূল্যবান হয়ে গিয়েছিলেন যে রাশিয়া আমরা তাকে আরেকবার মহাকাশে পাঠানোর ঝুঁকি নিতে কোনভাবেই রাজি ছিলেন না । এসময় ইউরি গ্যাগারিন স্টার সিটি মহাকাশচারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন সেই সঙ্গে ফাইটার পাইলট হিসেবে আবারো কাজ শুরু করেন । বিমান বাহিনীর পদোন্নতি ১৯৬৬ সালের ৬ নভেম্বর বিমানবাহিনীর কর্নেল পদে ভূষিত হন ।
ইউড়ি গাগারিন পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালের দিকে রাশিয়ান সরকার তাকে আরেকবার মহাকাশে পাঠাতে রাজি হয় । তখন অনুষ্ঠানের কোনো কিছু সেভাবে নির্ধারিত হয়নি । নিয়মিত নির্মম পরিহাস একটি সাধারণ রুটিন প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ইউড়ি গাগারিন । দিনটি ছিল সাতাশে মার্চ হাজার ১৯৬৮ তাকে সমাহিত করা হয় । তো বন্ধুরা এই ছিল পৃথিবীর প্রথম মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের অজানা-অচেনা কাহিনী । আমরা জানি মহাকাশ নিয়ে আপনারা ভালো লাগে । কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না । লাইক ও শেয়ার অবশ্যই করবেন আর কমেন্ট বক্সে জানাবেন আপনার মুলোবান মতামত