সময় কি? ব্ল্যাক হোল-এর কাছে সময় কেন থেমে যায়

মডার্ন সাইন্স এবং অ্যাডভান্স টেকনোলজি সাহায্যে প্রকৃতির বহু নিয়মকে চেঞ্জ করতে পারলেও টাইম অর্থাৎ সময় কি আমরা এখনো পর্যন্ত ম্যানুপুলেট করতে পারনি । টাইম প্রকৃতির এমন এক সৃষ্টি যার নিজের সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা তা না হলে পিছিয়ে পড়তে হবে । কিন্তু সময়কে থামিয়ে দিতে পারে একমাত্র একটি শব্দ যার নাম ব্ল্যাকহোল।


সময় কি? ব্ল্যাক হোল-এর কাছে সময় কেন থেমে যায়
ব্ল্যাক হোল

সময় কি

 ব্ল্যাকহোলের গ্র্যাভিটেশনাল পাওয়ারফুল যে শুধু তাই নয় সময় থামিয়ে দেয়। ব্ল্যাক হোলের ভিতরে প্রবেশ করা হয় সময় তো হয়ে যায় কারণ ব্ল্যাকহোলের কোন অস্তিত্ব নেই । এই কথা বলেছিলেন মডার্ন সায়েন্টিস্ট স্টিফেন হকিংস এখন প্রশ্ন হল সত্যিই কি ব্ল্যাকহোল সময় দিতে পারে black-white করে আবার সময় থামিয়ে দেয় । এই কথা আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি কিন্তু সময় দিতে পারে যদি তাই হয় তবে আমি আপনাদের  জানব ।

বন্ধুরা  প্রথমে জানা যায় ইউনিভার্সের সময়ের উৎপত্তি কোন সময় থেকে হয়েছিল রিসার্চের এবং তাদের মতে বিগ ব্যাং এর পূর্বে সময় বলে কিছু ছিল না । আজকে ইউনিভার্স ছোট্ট একটি বিন্দুতে গিয়েছিল তারপর ঘটে সেই হিস্তরিক্যাল এভেন্ট এক্সপ্লোশন যার জন্ম হয় এবং ডাস্ট পার্টিকেলের আর এই ইভেন্টের সাথে জন্ম হয়েছিল । সময়ের আগেই টাইম অ্যাপস নয় বরং রিলেটিভ অর্থাৎ প্রতিটি স্থানে একই সময় থাকেনা । সিম্পল ভাবে বলতে গেলে আপনি ২ ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন মানে এই নয় যে ইউনিভার্সেল ঘন্টা সময় পার হয়েছে। ঠিক একই রকমভাবে স্পিডে ট্রাভেল করা স্পেসক্রাফট এর ভিতর বসে থাকা মানুষের কাছে টাইম স্লো হয়ে যায় । ঠিক সেই রকমই অধিকারভুক্ত এরিয়াতে সময়ের গতি সূত্র অনুযায়ী ইউনিভার্সিটি ব্ল্যাকহোলের কাছে অন্য স্থানের তুলনায় একদম ঠিক।

 কিন্তু কেমন ভাবে জানেন সর্বকালের মহান সাইন্টিস্ট স্যার আইজ্যাক নিউটন বলেছিলেন টাইম অ্যাপস হলিউড অর্থাৎ ব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি স্থানে এবং প্রতিষ্ঠানের সেম থাকে । এর অর্থ আমার সামনে কোন ঘটনা তিনটের সময় করলে তা ব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি স্থানে একই সময়ে ঘটবে । কিন্তু সত্যি কি তা হয় চলুন আরেকটু ডিটেইলস জানা যায় মনে করুন একটি বোম ব্লাস্ট হলো দুটি ব্যক্তি সেই বোম ব্লাস্ট পয়েন্ট থেকে দেখেন এবং কুড়ি সেকেন্ড স্টেজে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই এক্সপ্লোশন থেকে বেরোনো লাইট প্রথম ব্যক্তির কাছে পৌঁছাতে সময় লাগবে ১০ সেকেন্ড আর দ্বিতীয় ব্যক্তির কাছে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে । প্রথম ব্যক্তির কাছে বোম ব্লাস্ট এর টাইমিং জানতে চাওয়া হলে দক্ষিণ-পূর্বে বলবে আর দ্বিতীয় ব্যক্তির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সেখানে বলবে ।এখন প্রশ্ন হলো দুজনের মধ্যে সব থেকে মজার বিষয় হলো এখানে দুজনে সঠিক বলছে ।যদি সময় ১০৮ হতো তাহলে এটি পসিবল হতো না সে ক্ষেত্রে দুজনের কাছে এক্সপ্লোশন একই সময় আর দুজনেই একই সময় সেই এক্সপ্লোশন কে এর থেকে প্রমাণ হয় । নিউটন বলেছিলেন ১১৬ নয় বরং রিলেটিভ তাই সময় রেফারেন্স ফ্রেম এর ওপর নির্ভর করে এই বিষয়টিকে ।

 আরো সঠিকভাবে প্রয়োগ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এক্স করেছেন এদের মধ্যে কিছু এক্সপেরিমেন্ট দেখা যাক এটমিক ক্লক সিনক্রোনাইজ করার পর এক দিকে পৃথিবি তে রাখা হলো । আর দ্বিতীয় থেকে পৃথিবীতে অরবিট করার স্যাটেলাইট রেখে দেওয়া হলো । এর কিছুদিন পর তাহলে দেখা যায় পৃথিবীর উপর স্যাটেলাইট লোকেশন পৃথিবীতে থাকা তুলনায় অনেক বেশি ছিল থেকে জানা যায় । এই দৃশ্যের কারণ পৃথিবীতে স্বার্থের জন্য পৃথিবীতে থাকা ঘড়ির সময় কিছু ন্যানো সেকেন্ড কমে গিয়েছিল যাকে আমরা টাইম ডাইলেশন বলে থাকি । ঠিক একই রকমভাবে হাই স্পিড এর জন্য টাইম ডাইলেশন হয়ে থাকে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছিল ।এই প্রক্রিয়ায় পার্টিকেলের ৯৯.৯ থাকে যাই হোক লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে এবং


সময় কি ব্ল্যাক হোল-এর কাছে সময় কেন থেমে যায় 1
ব্ল্যাক হোল

ব্ল্যাক হোল কিভাবে তৈরি হয়

এই প্রক্রিয়ায় পার্টিকেলের স্ট্রিটলাইট স্পিডে 99.9 পার্সেন্ট থাকে যাই হোক লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে এবং টাইম ডাইলেশন দুটি সম্পূর্ণ আলাদা । টপিকস এর উপর সেপারেট আমরা অবশ্যই নিয়ে আসব। এই সকল এক্সপেরিমেন্ট থেকে আর কোন সন্দেহ থাকে না । যে টাইম রিলেটেড প্রতিদিন আলাদা আলাদা স্থান আলাদা আলাদা সিচুয়েশানে ব্ল্যাক হোলের ভিতরে যায় । তা বোঝার জন্য এটি সম্পর্কে কিছু বেসিক আইডিয়া থাকা প্রয়োজন ।আইনস্টাইন বলেছিলেন স্পেস এবং একে অপরের সাথে ইন্টারকানেক্ট ইন এন্ড স্পেস স্পেস থাকা প্রতিটি অনুস্বারের করে যদি কোনো বস্তু বড় হয় তবে তাকে বেশি কার আর যদি ছোট হয় তাহলে করবে এটিকে ভালভাবে পড়ুন ।ও একটি চাদর এর উদাহরণ নিতে পারেন চাদরকে স্পেস-টাইম মনে করুন যদি এর ওপর একটি বড় বল রাখা হয় তাহলে চাদর ভিতরে ঢুকে যাবে । আর যদি ছোট বলেই চাদরের উপর রাখা হয় তাতেও চাদর একটু হলেও ভিতরে ঢুকে যাবে । কিন্তু এর এফেক্ট বলে তুলনায় কম হবে যেহেতু বড় চাদর কে বেশি ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছে তাই ছোটবোনটিও তার দিকে ঝুঁকে পড়বে ।

আরও পড়ুন: পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে কত বছর আগে বা মানুষ কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল?

রেখেই আমরা গ্রাভিটি অর্থাৎ মধ্যাকর্ষণ শক্তি বলি এই উদাহরণটি সূর্য মনে করুন আর ছোট বোলটিকে পৃথিবী এবার আপনারা বুঝতে পারবেন পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। এবার আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই ভাবছেন যদি বলো তাহলে তো পৃথিবী সূর্যের সাথে করা উচিত নাকি পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করা ।এর কারণ হলো পৃথিবী আকারে ছোট হলেও স্পেস-টাইম কিছুটা হলেও করেছে যার জন্য এর এক শিশুর ওপর ঠিক রয়েছে । সিম্পল ভাবে বলতে গেলে বেশি ম্যাচ এবং ডেনসিটি যুক্ত সবচেয়ে বেশি কাজ করবে যার জন্য সেই অবজেক্টিভিটি বেশি হবে । তাই স্বাভাবিকভাবে সবচেয়ে বেশি করবে ব্ল্যাক হোল । 

আরও পড়ুন: ব্ল্যাক হোল কিভাবে তৈরি হয়

আমাদের ইউনিভার্সিটি সাইন্স সাবজেক্ট অবজেক্ট এতটাই বেশি যে এখান থেকে ফিরে আসতে পারে না এর কারণ ব্ল্যাক হোল । কিভাবে শিকার করে কিন্তু এরশাদের টাইম এর কি সম্পর্ক তা বোঝার জন্য স্পিডের ইকুয়েশন জানা প্রয়োজন। স্কুলে আমরা সকলেই পড়েছি স্পিড ইজ টু ডিসটেন্স বাই ট্রেন স্পিড বলতে কী বোঝানো হয়েছে? যার গতি প্রায় তিন লাখ কিলো মিটার পার সেকেন্ড কিন্তু এই ধারণাকে সহজ করে বোঝার জন্য ২লাখ কিলো মিটার পাঁচ সেকেন্ড ধরে যাক এবার যাওয়া যাক । ডিসটেন্স মনে করা যায় এবং  ডিসটেন্স কিলোমিটার এর ক্ষেত্রে টাইম আসবে আর সেকেন্ড নরমাল স্পেন্সের কিন্তু ব্ল্যাকলিস্টে ভর এবং বিয়ের ডিসটেন্স প্রথমে থেকে অনেক বেড়ে যাবে মনে করা যায় ।এই ডিসটেন্স কিলোমিটার হয়ে গেছে সে ক্ষেত্রে যেহেতু ফ্রি টাইম লাগবে ১০ সেকেন্ড স্পেস ডিসটেন্স যেতে সময় লেগেছিল ।

আর সেকেন্ড অপরদিকে ব্ল্যাকহোল এক্ষেত্রে 10 সেকেন্ড সময় লেগেছে অর্থাৎ টাইম হয়ে গিয়েছে ।আইনস্টাইনের থিওরি অনুযায়ী সব ডেট ফিক্সড করে যার জন্য এই থেকে যখন লাইট পাস করে তখন তা বন্ধ হয়ে যায় ।যার জন্য লাইটের দিরেকশন চেঞ্জ হয় এমনকি গ্র্যাভিটেশনাল লেঞ্জিং পদ্ধতিতেও তার এই থিওরি কে সঠিক বলে প্রমাণ করা হয়েছে। গ্র্যাভিটেশনাল ইঞ্জিন সম্পর্কে ডিটেইলস জানতে চাইলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান ।আমরা একটি আলাদা সেপারেট পোষ্ট নিয়ে আসব ।আর হ্যা পোষ্ট কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না ।ভাল লাগলে একটা লাইক বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার এই ধরনের পোষ্ট পেতে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। সঙ্গে থাকুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url