বিশ্বের প্রথম মহিলা মহাকাশচারীর নাম কি

 

ভ্যালেন্তিনা নিকোলায়েভা তেরেশকোভা


বিশ্বের প্রথম মহিলা মহাকাশচারীর নাম 

মহাকাশে বিশ্বের প্রথম নারী সোভিয়েত মহাকাশচারী ভ্যালেন্তিনা নিকোলায়েভা তেরেশকোভা ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জুন মহাকাশ যাত্রা করেন।১৬ ই জুন  ১৯৬৬ সাল বাস্তবায়নের কসমোড্রোম যেটি বর্তমানে কাজাখস্তানে সেখান থেকে স্থানীয় সময় ঠিক বারোটা বেজে ৩৫ মিনিট ৫২ সেকেন্ডে গর্জে উঠল।উড়াল দিলো মহাকাশ পানে ভেতরে থাকা আরোহী চিৎকার করে বলে উঠলেন আকাশ তুমি টুপি খুলে অভিবাদন করতে তৈরি হয় আমি আসছি। 

এদিকে রেডিও মতে বিশেষ ঘোষণা করা হলো বলা হলো মানব ইতিহাসে প্রথম একজন নারী মহাকাশ গমন করছেন। তিনি সোভিয়েতের নাগরিক হিসাবে নিয়ে ছুটছেন ঊর্ধ্বমুখে। মহাকাশচারী যখন পৃথিবী কে কেন্দ্র করে চক্কর দিচ্ছে সেই সময় রেডিওতে প্রচারিত খবরের ভূপৃষ্ঠে থাকা অন্যান্য সকলের সাথে প্রথম জানতে পারলেন।তার জন্মদাত্রী মা । 

এখনো পর্যন্ত ৫৩৪ জন মহাকাশচারী মহাকাশ ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে নারী মহাকাশচারী হচ্ছেন ৫৭ জন। ১৯৬২ সালের ১৬ ই ফেব্রুয়ারি শহীদ প্রকৌশলী মহাকাশে প্রথম নারী নভোচারী পাঠানোর চিন্তাভাবনা করেন। এবং এ জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয় ৪০০ জন মহিলাকে ৪০০ জনের মধ্যে থেকে নির্বাচিত করা হয় তাতিয়ানাঃ কান্না ভ্যালেন্তিনা। মা মারিয়া বা এবং ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা এদের মধ্যে ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা প্রথম নারী নভোচারী হিসেবে ১৯৬৬ সালের ১৬ জুন মহাকাশে পাড়ি জমান । ১৯৫৯ সালে স্থানীয় একটি ক্লাবের স্কাই ডাইভিং এর জন্য প্রশিক্ষণ নেন । ১৯৫৯ সালের একুশে মেয়ে তিনি প্রথম আকাশ থেকে লাভ দেন দেওয়া পর  তিনি কমিউনিস্ট লীগ ছিলেন এবং প্যারাসুট থেকে ঝাঁপ দিয়ে বিশেষ কৃতিত্ব লাভ করেন।

মোট ১২৬ পাত্রী প্যারাসুট থেকে লাফিয়ে ছিলেন তেরেসকোভা সৌখিন প্যারাসুট আরো হিসেবে অংশ নেন তাই তাকে মহাশূন্য প্রকল্পে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল । সাফল্যজনকভাবে তিনি প্রশিক্ষণ শেষ করেন ১৯৬৩ সালে নভোযানে করে সর্বপ্রথম নারী হিসেবে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন । আর তারই নাম ছিল তিনি মোট ৪৯ বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছিলেন । ভ্যালেন্টিনা বেশ কিছু সমস্যা অত্যন্ত দারুণভাবে সামাল দিয়েছিলেন । মহাকাশের বেশ কিছু সময় পর দেখা গেল যে মহাকাশযানটি ধীরে ধীরে কক্ষপথ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে । 

যেখানে কক্ষপথের থাকতে হলে এটিকে কাছাকাছি আসতে হবে ভ্যালেন্টিনা ভোল্টি চিহ্নিত করলেন এবং পৃথিবীতে সমস্যা সমাধানের জন্য সংকেত পাঠালেন । এই অভিযানের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের অনুরোধে তিনি ৩০ বছর তথ্যটি গোপন রেখেছিলেন । এ তথ্য জানানোর সময় তাদের একটি হাস্যকর ভুল একথাও বলেন তাহলে তার সাথে কোন টুথব্রাশ দেওয়া হয়নি । সত্তর ঘন্টা ৫০ মিনিটে তিনি ৪৯ বার প্রদক্ষিণ করেন ভ্যালেন্টিনা । যতটুকু সময় মহাকাশে ছিলেন সেই সময় আমেরিকার মহাকাশচারীদের মহাকাশে থাকার চেয়েও বেশি ছিল ভ্যালেন্টিনা । অভিযান টেস্টের রেজাল্ট কে সমর্থন করে যাতে প্রমাণ হয় মহাকাশে পুরুষ ও নারীর শারীরিক এবং মানসিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতা একই এতে দেখা যায় । নারীর ক্ষেত্রে অভিকর্ষজ বল সহ্য করার পরই মানুষের থেকেও বেশী উন্নত নামক স্থানে ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা অবতরণ করেন ।

আরও পড়ুন: মহাকাশ অভিযান কি

একদম নির্ঝঞ্ঝাট ছিল না । কিছুটা আহত হয়েছিলেন তিনি অবতরণের পর স্থানীয় মানুষ জন তাকে ঘিরে ধরে তার জন্য খাবার নিয়ে আসেন । ভ্যালেন্টিনা সেগুলো খেয়ে ফেরার আনন্দের আতিশয্যে নিজের মহাজানে থাকা খাবারগুলো তাদের দিয়ে দেন । ফলে এই অভিযানে বিভাগ সম্পর্কিত তথ্যগুলো উদ্ধার করতে পারেনা গবেষকরা । সে যাই হোক এমন সফল অভিযানের পর ভ্যালেন্টিনা সোভিয়েতের সম্মানিত হয়ে উঠলেন ইউনিয়নে ভূষিত করা হলো তাকে । সর্বোচ্চ পুরস্কার এছাড়াও পরবর্তীতে না সময় আরও বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা সম্মানিত করা হয়েছে তাকে । এবং তাদের একটি অংশের নাম রাখা হয়েছে তেরেসকোভা মহাকাশে ছুটে চলার দৌড়ে নারীরাও যে কম নয় তা প্রমাণের সুযোগ করে দিয়েছিলেন । 

আরও পড়ুন: নাসা এখন চাঁদে মানব বসতি করবে এক্সপ্লোরেশন ক্যাম্পেইনে প্রতিফলিত হয়েছে

ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা কোন দেশ জাতিকে পেছনে ফেলার জন্যই হোক অথবা পৃথিবীবাসীকে অবাক করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে । এই অভিযান হোক না কেন যত কাল মানব সভ্যতায় মহাকাশ অভিযান গুলোর গুরুত্ব থাকবে ততকাল ইতিহাসের কোন এক অংশে ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা নাম ঠিকই টিকে থাকবে।স্মরণ করা হবে এই মহাকাশচারীর অবদান কারণ পৃথিবীর আধখানা জনসংখ্যার স্বপ্ন দেখার দুঃসাহসের শুরুটা করেছিলেন তিনি । তো বন্ধুরা এই ছিল প্রথম নারী মহাকাশযাত্রী ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা অজানা কাহিনী কেমন লাগল জানাতে ভুলবেন না ।

 
ভ্যালেন্তিনা নিকোলায়েভা তেরেশকোভা

ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা কিছু কথা

ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা পৃথিবীর প্রথম নারী যিনি মহাশূন্যে পরিভ্রমণ করেন । ১৯৬৬ সালের ১৬ জুন করে ৭১৪৮ বার কক্ষপথ পরিভ্রমণ করেন সোভিয়েত মহাকাশ প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত হওয়ার আগে তেরেসকোভা ছিলেন টেক্সটাইল কারখানার কর্মী । ও একজন অপেশাদার স্কাইডাইভার এর অংশ হিসেবে সোভিয়েত বিমানবাহিনিতে যোগদান করেছিলেন এবং প্রশিক্ষণ শেষ করে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করে ছিলেন । ১৯৬৯ সালে মহিলা মহাবিদ্যালয় এর প্রথম বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । 

বিচ্ছিন্ন হবার পরে তেরেসকোভা মহাকাশচারী প্রশিক্ষক হিসেবে মহাকাশ প্রোগ্রাম থেকে যান । পরে তিনি ইন্জিনিয়ারিং এ স্নাতক হন এবং মহাকাশযাত্রার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন । তবে তিনি এরপর আর কখনো মহাকাশে যান । ১৯৯৭ সালে তিনি মেজর জেনারেল পদ মর্যাদা অর্জন করেন ।এবং বিমানবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন ।১৯৪৮ থেকে ১০৮৯ সাল পর্যন্ত বিয়েতে প্রেসিডিয়াম সদস্য সহ বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক দল নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন । এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয় । তিনি ১৯৯৫ ও ২০০৩ সালে দুবার জাতীয় রাজ্য মার কাছে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে পরবর্তীতে ২০০৮ সালে আঞ্চলিক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ।

তেরেসকোভা ২০১১ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দলের সদস্য হিসেবে জাতীয় রাজ্য জুমার নির্বাচিত হয়েছিলেন ।এবং ২০১৬ সালে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছিলেন ৪ শতাধিক আগ্রহী নারীর মধ্য থেকে তিনি মহাকাশ অভিযানের জন্য সুযোগ পেয়েছিলেন । নভোচারী দলে যোগদানের ফলে বিমানবাহিনীতে প্রথম বেসামরিক ব্যক্তি হিসেবে মহাকাশ গবেষণা করেন । নভোচারী কে সঙ্গে নিয়ে ১৯  জুন পৃথিবীতে অবতরণ করেন এখন পর্যন্ত ৫৩৪ জন মহাকাশচারী মহাকাশ ভ্রমণ করেছেন । এবং এর মধ্যে নারী মহাকাশচারী হচ্ছেন ৫৭ জন ১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারি মহাকাশে প্রথম নভোচারী পাঠানোর চিন্তা করেন ।  তেরেসকোভা সোভিয়েত ইউনিয়নের দুইবার পুরস্কারে ভূষিত হন আজকে আমরা জানলাম প্রথম নারী মহাকাশচারী ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা সম্পর্কে অজানা তথ্য ।

ধন্যবাদ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url