সূর্যের অজানা রহস্য । The mystery of the sun
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আজ আমরা সৌরজগতের নক্ষত্র সূর্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হলো আকাশ গঙ্গা ছায়াপথ মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রস্থল থেকে কয়েক হাজার আলোকবর্ষ দূরে আমাদের সৌরজগতে অবস্থিত। সৌরজগতের উজ্জ্বলতম তারা মহাকর্ষ বলের কারণে তাদের নিজস্ব কক্ষপথে নির্দিষ্ট গতিতে সূর্যের চারপাশে ঘুরছে।
এই পৃথিবীর বুকে বাঁচিয়ে রেখেছে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় সূর্যের আলো থেকে খাদ্য উৎপাদন করে থাকে অনুরূপভাবে আমরা খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভর করে থাকি। এছাড়া জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের প্রধান ভূমিকা রাখে পৃথিবীর উপর সূর্যের প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মানুষ অনুধাবন করে আসছে। তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের এই পোস্টে সূর্যের রহস্য সম্পর্কে কিছু জানা অজানা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
সূর্যের অজানা রহস্য |
সূর্যের অজানা রহস্য
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির লক্ষ কোটি তারার মধ্যে একটি মাঝারি হলুদ বর্ণের তারা হল সূর্য । প্রচলিত তথ্য অনুযায়ী থেকে প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে মহাশূন্যে ভাসমান ধূলিকণা হাইড্রোজেন হিলিয়াম গ্যাসের বিশাল মেঘ সৃষ্টি হয় মহাকর্ষের কারণে বড় বড় ধাক্কা লেগে প্রচণ্ড শক্তি তৈরি হয় । এর ফলে জ্বলন্ত আগুনের গোলার মতো সূর্য থেকে আলো উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। অবশিষ্ট ধূলিকণা গ্যাস সূর্যের আকর্ষণের সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে এই পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহ উপগ্রহ গুলি সৌরজগৎ গঠিত হয়েছে। গ্রহ বুধ শুক্র পৃথিবী মঙ্গল বৃহস্পতি শনি এবং নেপচুন সূর্যের ব্যাস প্রায় ১৪ লাখ কিলোমিটার যা পৃথিবীর থেকে প্রায় ১০০ নয় বরং আয়তনে সূর্য পৃথিবী থেকে ১৩ লক্ষ গুণ বড় ।
এবং ওজনের দিক দিয়ে তিন লক্ষ গুণ ভারী পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার অনেক দূরে অবস্থিত হওয়ায় সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে সময় লাগে আর সেকেন্ড। সূর্যের বাইরের দিকে তাপমাত্রা ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সূর্যের তাপমাত্রা সেলসিয়াস পৃথিবীতে এসে পৌঁছায় উদ্ভিদ ও প্রাণী বেঁচে থাকে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার আবর্তন করতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন নির্দিষ্ট কক্ষপথে কেন্দ্র করে তার চারিদিকে ঘুরছে। একবার ঘুরে আসতে সময় লাগে প্রায় ২৩ কোটি বছর। পৃথিবী নিজের অক্ষের চারদিকে ২৪ ঘন্টায় একবার ঘরে নিজের অক্ষের চারদিকে একবার ঘুরে। মহাবিশ্বের প্রতিটি নক্ষত্রের জন্ম মৃত্যু নিশ্চিত আমাদের সূর্য একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে সাধারণত ১০০০ কোটি বছর হয়ে থাকে।
সূর্য যে আমাদের সৌরজগতের একমাত্র নক্ষত্র চারপাশে পৃথিবী আর শাথে শাথে গ্রহগুলি অপকর্ম করছে। এমন কি জিনিস আছে যে সূর্যকে এত শক্তি প্রদান করে? সূর্য আকারে কতইবা পর সিরিয়াল দিয়ে তৈরি সূর্য সারাজীবন কি এভাবেই আমাদের জীবনের সাথে জড়িত থাকবে নাকি সূর্যের একদিন মৃত্যু হবে? সূর্যের বিষয়টা আমাদের খুবই জরুরি কারণ সূর্য মানুষ জাতি এবং জীবনের জন্মদাতা বলা হয় সূর্য যদি একদিন তার আলো দেওয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে সারা পৃথিবীতে বরফের পাহাড় জমে যাবে। জীবন পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে সূর্য পুরোপুরি হাইড্রোজেন অক্সিজেন কার্বন প্রচুর পরিমাণে সৃষ্টি হয় এর কারন হল সূর্যের মারাত্মক গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স।
সূর্যের গ্রাভিটি পৃথিবীর তুলনায় হাজারগুণ বেশি যদি আপনার ওজন পৃথিবীতে ৭০ কেজি হয় তাহলে সূর্যে আপনার ওজন হবে ১৭৮০ কেজি। আর সূর্যের যদি আমরা বাইরে বেরোতে আসতে চাই তাহলে ৬৫০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডের গতিতে বাইরে আসতে হবে। এর কারন হল সূর্যের এসকেপ ভেলোসিটি হচ্ছে ৬৫০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড। মানে হল এটি এমন একটি গতিবেগ ফোর্স যার ফলে যে কোন গ্রহ নক্ষত্রের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরের গেটের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া যায় একে আমরা বলি। সেটি যেমন আমাদের পৃথিবী থেকে মহাকাশযান পাঠাই আমরা মহাকাশে পাঠানো হয় ইলেভেন পয়েন্ট ২ মিটার পার সেকেন্ড। এর কারণ হলো আমাদের পৃথিবীর ইলেভেন পয়েন্ট ২ মিটার পার সেকেন্ড আর এই গতি যদি আমরা করতে পারি তাহলে কিন্তু পৃথিবীর বাইরে যেতে পারবে না।
তার আগেই পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে আর সেই রকমই সূর্যের এসকেপ ভেলোসিটি হচ্ছে ৬৫০ মিটার পার সেকেন্ড। মানে আপনারা ভাবছেন যে কোন দেশে যাওয়া যায় কিন্তু ফিরে আসার কোনো চান্স থাকে না। সূর্যের শক্তি কতটা আপনি এই প্রকার আন্দাজ লাগাতে পারেন সূর্য থেকে প্রায় ৬ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কিন্তু সূর্য তার চারিপাশে করতে বাধ্য হচ্ছে যে আমাদের পৃথিবীর মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি সেই প্রকার সূর্যকে ইন্দুষ্ট্রিয়াল দিয়ে তৈরি না। সূর্য পুরোপুরি একটা গ্রাইন্স পুরোপুরি গ্যাসীয় পদার্থ বন্ধুরা। আপনারা কি কোনদিন ভেবেছিলেন পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে কিন্তু সূর্যের চারিদিকে ঘোরে যেমন কি সৌরজগতের গ্রহ সূর্যের চারপাশে ঘোরে তেমনি আমাদের সূর্য আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সেন্টারের চারিদিকে পরিক্রমা করছে। মানে যেটাকে আমরা আকাশগঙ্গা বলি সূর্য একবার পরিক্রমণ করতে সময় নেয় প্রায় ২৫ কোটি বছর।
আরও পড়ুন: মহাকাশ ও জ্যোতির্বিজ্ঞান | Space and astronomy
সূর্যের জন্মের পর থেকে মাত্র কুড়ি বাড়ি আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির পরিক্রমা করেছে। সূর্য তার নিজের মধ্যে প্রোটন ইলেকট্রন এর একটি ঝড়ের সৃষ্টি করেন। যেটাকে আমরা বলি সোলার উইনার এর গতি হয় ৪৫০ কিলোমিটার পার সেকেন্ড। আর এই রেডিয়েশন আমাদের পৃথিবী থেকে আরো দূরে মানে আমাদের সোলার সিস্টেমের বাইরে পৌঁছে যায়। এই ঝর কিন্তু অনেক ক্ষতিকারক এই ঝড় আমাদের পৃথিবীর কোন ক্ষতি করতে পারে না। কারণ আমাদের পৃথিবীর একটা ম্যাগনেটিক ফিল্ড আছে আর এটাই আমাদের রক্ষা করে। সূর্য প্রতি সেকেন্ড তার নিজের ভাঁড়ের ৫০ লাখ টন কমতে থাকে সূর্য পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে রয়েছে। সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে সময় লাগে ৪ মিনিট। তাই আমরা যখন সূর্যকে দেখি তখন ওটা 8 মিনিট পুরনো সূর্য আর সূর্যের আলো পৌঁছাতে সময় নেয়। ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট সূর্য প্রতি সেকেন্ডে প্রায় সাত কোটি কোটি ৯৫ লাখ টন রূপান্তরিত করছে।
বন্ধুরা এইবার জেনে নেওয়া যাক সূর্যের বিষয়ে কিছু রোমাঞ্চকর তথ্য
আরও পড়ুন: পৃথিবী থেকে তারার দূরত্ব কত?
সূর্য যদি একদিন তার আলো দেওয়া বন্ধ করে দেয় সারা পৃথিবী থেকে যাবে কোন বস্তু যদি সূর্যের কুড়ি লাখ ২২ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসে সূর্য তাকে তার নিজের মধ্যে টেনে নেবে তার কারণ সূর্যের গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স। প্রচন্ড পরিমানে আপনারা কি জানেন সূর্যের রং আসলে সাদা আমরা এটিকে হলুদ দেখি কারণ। আমাদের বায়ুমণ্ডলের কারণ কিন্তু সূর্য কিভাবে দেবে নাকি একদিন এটিও বুঝে যাবে এর মৃত্যু হবে। বন্ধুরা আপনারা জানলে অবাক হবেন যে সূর্যের অস্তিত্ব একদিন পুরোপুরি ভাবে শেষ হয়ে যাবে। কিছু কিছু বিজ্ঞানীদের মতে আজ থেকে ৫ বিলিয়ন ফিয়ার্স পর সূর্যের মুখ প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে। এর ফলে আমাদের পৃথিবী সমুদ্রের জল আছে সব বাষ্প হয়ে আকাশে উড়ে যাবে। এবং ৫ বিলিয়ন ৪০ কোটি বছর পর সূর্যের হাইড্রোজেন পুরোপুরিভাবে শেষ হয়ে যাবে।
আর এর চারিদিকে একটা কালো আকারে সৃষ্টি হয় আর ধীরে ধীরে সূর্য তার বিনাশের দিকে এগিয়ে যাবে। আর ততদিন আমাদের অনেক যুগ পেরিয়ে যাবে মানুষ জাতি হয়ত ততদিন পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারবে না। আর কোন প্রশ্ন জন্যই হয়ত ততদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবে না। এ পৃথিবীতে বন্ধুরা ভয় পাওয়ার কিছুই নেই ১২ ই আগস্ট ২০১৮ তে আমেরিকার স্পেস এজেন্সি নাসা একটি মিশন পাঠিয়েছিল সূর্য তে যার নাম ছিল পার্কার সোলার প্রোব। এটি প্রায় ৭ বছর ধরে সূর্যের চারিদিকে পরিক্রমা করবে এবং নানা রকম তথ্য পৃথিবীতে পাঠাবে। আর এর থেকেই আমরা নতুন নতুন তথ্য জানতে পারবো সূর্যের বিষয়ে।