পৃথিবী থেকে তারার দূরত্ব কত?
পৃথিবী থেকে একটি তারার দূরত্ব প্রথম সঠিকভাবে পরিমাপ করেন ফ্রিডরিক বেসেল ১৮৩৮ সালে। লম্বন কৌশল ব্যবহার করে তিনি এই দূরত্ব পরিমাপ করেছিলেন। তিনি পৃথিবী থেকে ৬১ সিগনি নামক তারাটির দূরত্ব ১১.৪ আলোকবর্ষ নির্ণয় করেছিলেন।
পৃথিবী থেকে তারার দূরত্ব |
পৃথিবী থেকে তারার দূরত্ব
দক্ষিণ গোলার্ধের আকাশের দিকে চোখ মেললে সেন্ট্রাল ফোর্স নামে একটি নক্ষত্রপুঞ্জ দেখা যায়। হাজার ৮০০ বছর আগে জ্যোতির্বিজ্ঞানী টলেমি ৪৮০০ তালিকাভুক্ত করেছিলেন এবং তার মধ্যে এসেন্টিয়ালস নক্ষত্রপুঞ্জ একটি নক্ষত্র। নক্ষত্র জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ব্যবস্থা আছে যাকে আমরা বলি আলফা সেন্টোরি ব্যবস্থা তে অবস্থিত তিনটি নক্ষত্র হলো আলফা সেন্টোরি। এবং আলফা সেন্টোরি নক্ষত্রটিকে অর্থাৎ আমরা প্রক্সিমা সেন্টরি নামে ডাকি। গৃক মিথলজি অর্ধেক মানুষ অর্ধেক ঘোড়ার মতো দেখতে এক ধরনের প্রাণী এবং শব্দটির অর্থ হল সূর্যের প্রক্সিমা সেন্টরি হল আমাদের সবচেয়ে নিকটতম নক্ষত্র। এবং আলফা সেন্টোরি হলো আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে নিকটবর্তী নক্ষত্রে ব্যবস্থা হাজার ৯১৫ সালে স্কটিশ সাউথ আফ্রিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম কে আবিষ্কার করেন। পৃথিবী থেকে ৪.২৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই নক্ষত্র। আর বাকি দুই শতাংশ বেড়েছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এবং বাকিদের তুলনায় অনেক কম উজ্জ্বল নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টরি একটি উজ্জ্বল বিন্দুর মতো দেখতে লাগে কিন্তু আসলে এটি একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র।
পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখা যায় না ৯৩ হাজার কিলোমিটার প্রায় ১৪ শতাংশ এবং এর পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা ৩০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর আশেপাশে।সূর্যের তাপমাত্রা প্রায় ৫৫ শতাংশ জানিয়েছে। যে প্রক্সিমা সেন্টরি উজ্জ্বলতা কম হলেও এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্লেয়ার বলে কারণ এই নক্ষত্রের মধ্যে সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া গুলি নক্ষত্রের উজ্জলতা পরিবর্তন খেয়ালখুশিমতো ঘটায়। নাসার কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা করেছেন যে সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া গুলি কেবলমাত্র নয় বরং অন্য কারো সঙ্গে যুক্ত জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। যে ৫০০ কোটি বছর বয়সী এই নক্ষত্র মধ্যে থাকবে। আরো চার লক্ষ কোটি বছর ধরে বর্তমান বিশ্বে প্রায় তিনগুণ অনেক দীর্ঘ হবে। এর কারণ হলো আমাদের সূর্যের মতো নক্ষত্রপুঞ্জ বিদ্যমান থাকে কারণ এই নক্ষত্রের জ্বালানি ব্যবহার করে। তাই এরা অনেক বেশি উজ্জ্বল হয় কিন্তু তাদের জ্বালানি খরচ করে তাই এদের অস্তিত্ব অনেক দীর্ঘ হয়। প্রক্সিমা সেন্টরি উজ্জ্বলতা আমাদের সূর্যের উজ্জ্বলতা ১ শতাংশেরও কম।
২৪ আগস্ট ২০১৬ তে ঘোষণা করা হয় যে পৃথিবীর আকৃতির একটি গ্রহ প্রক্সিমা সেন্টরি। কে কেন্দ্র করে ঘুরছে এই গ্রহ টির নাম হল আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ। বিভিন্ন গবেষণা অস্তিত্বের কথা জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রক্সিমা সেন্টরি কে কেন্দ্র করে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব তুলনায় প্রক্সিমা সেন্টরি কে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান। এই গ্রহে প্রাণের হদিশ মেলা সম্ভাবনা যথেষ্ট রয়েছে যদিও পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব তুলনায় অনেক কম দূরত্বে অবস্থান করে প্রক্সিমা সেন্টরি। কে কেন্দ্র করে ঘুরছে গ্রহটি কিন্তু যেহেতু প্রক্সিমা সেন্টরি সূর্যের তুলনায় অনেক কম উজ্জ্বল এবং অনেক কম তাপমাত্রার একটি নক্ষত্র এর তাফসীর পুড়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: জেফ বেজোস এর মহাকাশ যাত্রা
সুতরাং এখানে জীবনধারণের সম্ভাবনা আছে নিউইয়র্ক এর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এর ২০১৬ সালের এপ্রিলের ১২ তারিখ ঘোষণা দিয়েছেন। ৪.২৪ আলোকবর্ষ দূরে সৌরজগতে মহাকাশযান পাঠানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে খুব কম ওজন বিশিষ্ট একটি মহাকাশযান তৈরি করা হবে এর ওজন হতে পারে এটার সাথে লাগানো থাকবে। এমন একটা পাল যে ঢাকায় চলে সংক্ষেপে আলোচনা তৈরি যেটাকে বলে কোন বোন নেই কিন্তু যখন সেটা প্যাকেটের মধ্যে ভ্রমণ করে তখন তার এনার্জি থাকে। আর তাকে মোমেন্টাম যদি কোন প্রতিফলকের গায়ে পড়ে তখন এটা সামান্য পরিমাণ ধাক্কা দেয়। ধাক্কাটা খুব সামান্য কিন্তু একবার শুরু হলে কোন থামাথামি নেই এটা ধাক্কা দিতেই থাকে ব্রেকফাস্ট কে ধাক্কা দেবে পৃথিবীর মাটিতে বসানো একটা আলোক রশ্মির উৎস এর গতি হবে। আলোর গতি প্রায় কুড়ি ভাগের একভাগ এক-পঞ্চমাংশ অর্থাৎ পৃথিবী থেকে চাঁদে যেতে কত সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা কোনটি । Sirius star
পাঁচগুণ বেশি সময় অর্থাৎ বিগত ২৪ বছর পর আমরা আরেকটা সৌরজগতের ছবি পাবো। ২৪ বছর বলার কারণ হলো পৃথিবী থেকে নক্ষত্র ব্যবস্থাই স্পেসক্রাফট পৌঁছাতে সময় লাগে কুড়ি বছর এরপর আলোর গতিতে ছবিগুলো আমাদের কাছে পৌঁছাতে আরও চার বছর সময় লেগে যাবে। এটি একটি অসাধারণ উত্তেজনার প্রথম ১০০ বছরের কিছু বেশি সময় পার হওয়ার পরেই আমরা স্বপ্ন দেখছি। অন্য নক্ষত্রের পাড়ি দেওয়ার মানব জাতির উপর থেকে ভরসা উঠে যায়নি। তার প্রধান কারণ হচ্ছে বিজ্ঞান বিজ্ঞানী হচ্ছে একমাত্র পথ আমাদের অজানাকে জানতে সাহায্য করে। একমাত্র উপায় যার সাহায্যে আমরা ভবিষ্যতে অন্য কোন সৌরজগতে অন্য কোন পৃথিবী সদৃশ গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের জন্য যাত্রা দিতে পারব।
মানবজাতি তরফ থেকে কোন বার্তা যাবে তা নির্ধারণ করেছিলেন আমাদের সবচেয়ে প্রিয় জ্যোতির্বিদ ও আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ তিনি আমাদের বুঝিয়েছেন। যে মানবজাতির জন্য শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং বিজ্ঞানী হচ্ছে সেই একমাত্র পথ যার দ্বারা আমরা আমাদের এই নিজস্ব মহাবিশ্বকে বুঝে উঠতে পারব। তিনি আমাদের জানিয়েছেন যে বিজ্ঞান শুধুমাত্র আধুনিকতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এটি একটি গভীর উৎস বিজ্ঞান চিন্তা করার একটি উপায়। এবং বিশ্বকে জয় করার জন্য মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ হাতিয়ার বিদায় নেওয়ার আগে বলে যেতে চাই এক্সপেক্টেড কাট অফ স্টার্স অফ এনডিআর । সুতরাং এখানে জীবনধারণের সম্ভাবনা আছে নিউইয়র্ক এর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এর ২০১৬ সালের এপ্রিলের ১২ তারিখ ঘোষণা দিয়েছেন।
৪.২৪ আলোকবর্ষ দূরে সৌরজগতে মহাকাশযান পাঠানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে খুব কম ওজন বিশিষ্ট একটি মহাকাশযান তৈরি করা হবে এর ওজন হতে পারে এটার সাথে লাগানো থাকবে। এমন একটা পাল যে ঢাকায় চলে সংক্ষেপে আলোচনা তৈরি যেটাকে বলে কোন বোন নেই কিন্তু যখন সেটা প্যাকেটের মধ্যে ভ্রমণ করে তখন তার এনার্জি থাকে। আর তাকে মোমেন্টাম যদি কোন প্রতিফলকের গায়ে পড়ে তখন এটা সামান্য পরিমাণ ধাক্কা দেয়। পৃথিবী থেকে একটি তারার দূরত্ব প্রথম সঠিকভাবে পরিমাপ করেন ফ্রিডরিক বেসেল ১৮৩৮ সালে। লম্বন কৌশল ব্যবহার করে তিনি এই দূরত্ব পরিমাপ করেছিলেন। তিনি পৃথিবী থেকে ৬১ সিগনি নামক তারাটির দূরত্ব ১১.৪ আলোকবর্ষ নির্ণয় করেছিলেন।
ধন্যবাদ।