মহাকাশ অভিযান কি

মহাকাশ অভিযান হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের উর্ধ্বে মহাকাশ উড্ডয়ন এবং ঐ স্থানের পরিবেশ ও ভৌত ধর্মাবলিকে পর্যবেক্ষণ করা। স্বয়ংক্রিয় ভাবে বা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে কিংবা নভোচারীবাহী মহাকাশযান দ্বারা মহাকাশ অভিযান পরিচলনার যায়।


মহাকাশ অভিযান কি
মহাকাশ অভিযান

মহাকাশ অভিযান

আশা করি সবাই ভালো আছেন আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।মহাশূন্যের রহস্য আবিষ্কার এর উদ্দেশ্যে পরিচালিত অনুসন্ধান বা অভিযানকে মহাকাশ অভিযান বলা হয় ।অন্য কথায় জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর বাইরে অভিযান পরিচালনাকারী মহাকাশ অভিযান বলে ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় । মহাশূন্যে মানব নির্মিত বস্তু পাঠানোর প্রথম পদক্ষেপ ছিল জার্মান বিজ্ঞানী । কে ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণ করেন । এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল প্রথম মানুষ হিসেবে রাশিয়ার মহাকাশ যাত্রী ইউরি গ্যাগারিন মহাশূন্যে ভ্রমণ করেন । মহাশূন্যে ভ্রমণকালে ৩১ মহাকাশযানে করে এক ঘন্টা ৪৮ মিনিটে পৃথিবীর আবর্তন করেন । 

এরপর হাজার ১৯৬৬  সালের বিশ্বের প্রথম নারী মহাকাশ যাত্রী হিসেবে ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা মহাকাশ ভ্রমণ করেন । মহাকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি হচ্ছে চাঁদের মানুষের অবতরণ ১৯৬৭ সালের এগারোই বেদনা করে । সর্বপ্রথম নীল আমস্ট্রং এডউইন অলড্রিন চাঁদে পদার্পণ করেন মহাকাশ অভিযানের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য এরপর বিভিন্ন সময়ে শুক্র গ্রহ মঙ্গল গ্রহে মানুষেরা একাধিক স্যাটেলাইট পরিবর্তনের ফলে মহাকাশ অভিযান করে । এক অসাধারণ উচ্চতায় পৌঁছেছে মহাকাশ অভিযানের সাফল্য বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে । 

সকলকে অভিনন্দন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে প্রথম অধ্যায়ের অন্তর্গত মহাকাশ অভিযান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো । মহাকাশ অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে প্রথমেই মহাকাশ অভিযান কিভাবে করা হয় তার বিস্তারিত বিবরণ শিখতে হবে। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে একটি রকেট কিভাবে খুন করা হয় তার প্রারম্ভিক সময়টা এখানে দেখানো হচ্ছে। আমরা দেখেছি  একটি স্যাটেলাইট কিভাবে আবর্তন করে। পৃথিবীর চারপাশে তার একটা নমুনা এখানে দেখানো হয়েছে। মঙ্গল গ্রহের অবস্থানরত রোবটকে ২০১২ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। মঙ্গলগ্রহে সে বিভিন্ন ধরনের পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে এখানে মাটি পরীক্ষার একটি কাজ করছে। 

রোবটটি চন্দ্র অভিযান যেটা ১৯৬৯ সালে চাঁদে তিনজন ব্যক্তি নীল আর্মস্ট্রং এর নেতৃত্বে গিয়েছিলেন। সেই অভিযানের কিছু চিত্র আমরা দেখেছি । বিভিন্ন পর্যবেক্ষণের জন্য মাটি কেমন হবে সেখানে জীবনের অস্তিত্ব আছে কিনা এরকম বিভিন্ন ধরনের পর্যবেক্ষণের জন্য সেখানে একটা রোবট কে পাঠানো হয় । ওর সাথে একটা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে । মহাকাশ অভিযান আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে মহাশূন্যে অভিযান কে মহাকাশ অভিযান বলে । পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং পরিবেশ ও ভৌত ধর্ম পর্যবেক্ষণ করা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে কিংবা নভোচারী মহাকাশযান মহাকাশ অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে । এবং উভয় মাধ্যমেই এই অভিযান পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে । 

মহাকাশ অভিযানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হয় । মহাশূন্য কোন বস্তু সম্পর্কে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৃহত্তর মানবতার কল্যাণে ও মানসিক চাহিদা পূরণ এছাড়া মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায় । পৃথিবীর সম্পর্কে এবং মহাকাশ সম্পর্কে মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে । তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা মহাকাশে বাণিজ্যিকভাবে পদার্থ প্রক্রিয়াকরণ ও উৎপাদন এছাড়া মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে । উচ্চতর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত গবেষণা এবং ভবিষ্যতে পৃথিবীতে মানুষের নিরাপত্তা যোগ্য হিসেবে পৃথিবীর বাইরের পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও নতুন সীমানা আওতাধীন করা । 

মহাকাশ প্রযুক্তি উদ্দেশ্য আধিপত্য বিস্তার করা এবং অন্য দেশের বিরুদ্ধে সামরিক ও কৌশলগত উন্নয়ন পরিচালিত বিভিন্ন অভিজাত সর্বপ্রথম মহাশূন্যে অভিযান পরিচালনা করেছিল । জার্মানিরা ৩ অক্টোবর ৯৪২ সালে জার্মান বিজ্ঞানীরা পরীক্ষামূলক মহাশূন্যে পাঠান রকেট এরপর ৪৯-৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাশূন্যে পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ । যেখানে নামে একটি কুকুরকে পাঠানো হয়েছিল এবং তৃতীয় দিন পরবর্তী মারা গিয়েছিল । 

১২ এপ্রিল ১৯৬১ সালে বিশ্বে প্রথম মানুষ বহনকারী মহাকাশযানে মহাশূন্য ভ্রমণ করেন । ২৭ বছর বয়সী রাশিয়ার মহাকাশ যাত্রী ইউরি গ্যাগারিন অভিযানের নাম ছিল ১ ঘন্টা ৪৮ মিনিটে একবার আবর্তন করে । পৃথিবীর চারপাশে কক্ষপথে ইতিহাসে পিছিয়ে নেই নারীরাও ১৯৬৬ সালে ৪৮১২ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেন । বিশ্বের প্রথম মহিলা ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা ১৯৬৯ সালে সর্বপ্রথম চাঁদে অবতরণ করেন । 

আরও পড়ুন: সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা কোনটি । Sirius star

নীল আর্মস্ট্রং এর ফলে ১৯৭০ সালে প্রণয়ন করে তথ্য প্রেরণ করে ২৩ মিনিট যাব সেখান থেকে সরাসরি পৃথিবীতে হাজার ১৯৭১ সালের মিশনের মাধ্যমে সর্বপ্রথম তথ্য পাঠানো হয় । মঙ্গল গ্রহ থেকে সরাসরি পৃথিবীতে আমেরিকা ২০১২ সালে মঙ্গলে প্রেরণ করেছে । একটি রোবট যার নাম এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ  ২০১৮ সালের ১১ ই মে ৫৭ তম দেশ হিসেবে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণ করে যার নাম বঙ্গবন্ধু ওয়ান ।

আরও পড়ুন: চাঁদে দুটি বড় কাঁচের গোলক কোথা থেকে এলো?কৌতূহলে বিজ্ঞানীরা

প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করে ছবিটি ইউনিয়ন যার নাম ছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থাপিত স্টেশনের নাম এর ফলে মহাকাশ অভিযানের কাজ আরো এগিয়ে যায় । মনুষ্যবাহী নভোযান মহাকাশযান মহাকাশযান এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাশিয়া প্রোগ্রাম যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ এবং বর্তমানে চলমান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন । ফিজিক্স এবং আইসিটি বিষয়ে নতুন নতুন পোষ্ট পেতে চান ?

১৯৫৭ সাল থেকে কৃত্রিম উপগ্রহ এবং রোবটিক মহাকাশযানের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা সৌরজগৎ সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছেন । মহাকাশযান শুক্র গ্রহ মঙ্গল গ্রহ এবং মঙ্গল বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যবর্তী গ্রহে অবতরণ করে এদের সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের তথ্য সরবরাহ করেছে । তাছাড়া রোবটিক মহাকাশযানের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা হ্যালির ধূমকেতু সহ অন্যান্য ধুমকেতু সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন । 

এই তথ্যগুলো ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা ছায়াপথ নক্ষত্র গ্রহ ও অন্যান্য সৃষ্টি তাত্ত্বিক বিষয়বস্তু উৎপত্তি এবং বিবর্তন সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান আরো গভীর করে তুলেছেন ।২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু একনামে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও পৃথিবীর কক্ষপথের স্থাপনের মাধ্যমে দেশের ৫৭ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিকানা অর্জন করেছে । যাদের জন্য অত্যাধুনিক কর্পোরেশন মহাকাশ অভিযান সম্পর্কে আলোচনা আজ এ পর্যন্তই ।  লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না । সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url