পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে কত বছর আগে বা মানুষ কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল?
বন্ধুরা আমরা এমন একটা গ্রহ তে বসবাস করি সেটাই ব্রহ্মান্ডে সবথেকে অন্য গ্রহ আর তার নাম হলো পৃথিবীর । কোটি কোটি বছর ধরে জল হাওয়া বাতাস দিয়ে আমাদের একটা বাসযোগ্য বায়ুমণ্ডল দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে ।আজ প্রযুক্তিবিদ্যায় মানুষ এতোটাই উন্নতি সাধন করেছে যে বর্তমানে মানুষের কাজ মেশিন নিয়ে নিয়েছে । কিন্তু বন্ধুরা আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে আমাদের এই পৃথিবীতে সৃষ্টি হলো কিভাবে ? প্রথম থেকেই পৃথিবী সবুজে পরিপূর্ণ আগ্রহ ছিল আজকের মত হওয়ার জন্য পৃথিবীতে কতগুলো বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে । পৃথিবীর অস্তিত্বের আগে এখানে কি ছিল এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে আমাদের কোটি কোটি বছর পিছনে ফিরে যেতে হবে ।
মানুষ কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল
পৃথিবী কি দিয়ে তৈরি
এমন কোন ঘটনা ঘটেছিল যার জন্য পৃথিবীর এরকম একটা গঠন তৈরি হলো তাহলে চলুন সময়ের অনেকটা অতীতে ফিরে যাওয়া যাক । আর পৃথিবীর উৎপত্তি কিভাবে হয়েছিল সেই রহস্যের উপর থেকে পদ্মা আমরা এখন প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে তখন এখানে ছিল কেবল মাত্র পাথর আর পাথর । মেকে মহাকর্ষ বল এক জায়গায় একত্রিত করেছিল তাই মেঘের বেশিরভাগ অংশ একই জায়গায় এসে একত্রিত হয়েছিল । এই মেঘের অংশগুলি পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে একটা নক্ষত্রের জন্ম দেয় । আর তারপরে ধীরে ধীরে সূর্য তৈরি হয় এই মেঘের মধ্যে থাকা ৯৯.৯% ধূলিকণা কে নিজের মধ্যে নিয়ে নেয় ।আর বাকি ধারণ করে তারপর সূর্যের চারপাশে পাথরের টুকরো প্রদক্ষিণ করতে থাকে এখনো পর্যন্ত কোন গ্রহের সৃষ্টি হয়নি । কিন্তু ধীরে ধীরে আজ থেকে ৪৫০ কোটি বছর আগে সূর্যের চারদিকে ছড়িয়ে থাকা ধুলোর পাথরের টুকরো মহাকর্ষ বলের কারণে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হচ্ছিল । আর কয়েক লক্ষ কোটি বছর কেটে যাওয়ার পর এই পাথরের টুকরো মিলে একটা গোলাকার আকার ধারণ করে ।
এর মধ্যে একটা পাথরের সূর্য থেকে একটা বিশেষ জায়গায় পৃথিবী তখন আমাদের পৃথিবী ছিল একটি আগুনের মতন কল্পনা করা মুশকিল ছিল । যে সে দিনের সেই পৃথিবী আজ একটা বসবাসযোগ্য গ্রহ পরিণত হবে যখন পৃথিবী সৃষ্টি হয় তখন তার অবস্থানকে চেয়েও খারাপ ছিল । তখন যদি এসপেস ছাড়া আমরা এই পৃথিবীতে নামতাম তাহলে আমাদের শরীর জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যেত । তখন পৃথিবীর পুরোভাগে পরিপূর্ণ ছিল সেখানে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা তো দূরের কথা তারা খাড়া হওয়া সাধ্য ছিল না । পৃথিবীতে তখন কোন বায়ুমণ্ডল ছিলনা ছিলনা কোন স্থিতিশীল জলবায়ু কিন্তু আজ থেকে ৪৫০ কোটি বছর আগে আমাদের পৃথিবীতে এমন একটা ঘটনা ঘটে যে আমাদের পৃথিবীতে সম্পূর্ণ বদলে দেয় । তখন ব্রহ্মাণ্ডের অন্য একটা গ্রহ পৃথিবী ধ্বংস করে দেয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল তারা ছিল মঙ্গলগ্রহের মতই কিন্তু কেউ জানত না যে পরবর্তীকালে এই ঘটনায় পৃথিবীর জন্য ভালো হবে । যার জন্য পৃথিবীর সম্পূর্ণ বদল ঘটতে চলেছে তার প্রতি সেকেন্ডে ১৫ কিলোমিটার গতিবেগে সেটা পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে এই গোটা পৃথিবীতে এসে ধাক্কা দেয় ।
এই সংঘর্ষের ফলে হালকা ব্রহ্মান্ডে ছড়িয়ে পড়ে আর পৃথিবীর চারদিকে পাথরের টুকরো ছড়িয়ে পড়ল এবং সেগুলো পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে এক টাকার ধারণ করল । পরবর্তীকালে মহাকর্ষ বলের জন্য সেগুলো একত্রিত হয়ে একটা গোলাকার পিণ্ড সৃষ্টি করলো
পৃথিবী কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল
আমাদের চাঁদ সে সময় যদি পৃথিবীর সাথে এই ঘটনা ঘটত তাহলে আজ আমাদের চাদের কোনো অস্তিত্ব থাকত না । আর চাঁদ না থাকলে একটা স্থিতিশীল নিয়মিত জলবায়ুর পরিমণ্ডলে তৈরি হতো না ।পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তন ঘটতো না ৪৫০ কোটি বছর আগে যাদের বয়স খুব একটা বেশি ছিল না । আর তখন পৃথিবী ছিল একটা নবগ্রহ তখন পৃথিবীতে ছিল শুধুই লভা r5v কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পর এই পৃথিবী ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে শুরু করল। কঠিন হতে শুরু করল কিন্তু নাইট্রোজেন কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের কারণে আমাদের পৃথিবীতে ছিল তখনও পর্যন্ত পৃথিবীর জীবজগতের বসবাসের উপযোগী । একটা মজবুত বাস্তুতন্ত্র তৈরি করে উঠতে পারেনি আর তখন পৃথিবীতে কোন চিহ্ন ছিল না ।এদিকে সৌরমণ্ডলের বিভিন্ন নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করছিল আর এই পরিবর্তনের জন্য সৌরমণ্ডলের গ্রহাণু উল্কাপিণ্ড এবং তাদের মধ্যে একটা মাধ্যাকর্ষণজনিত তৈরি হচ্ছিল ।
আর সৌরমণ্ডলের গ্রহ গুলোর দিকে ঠেলছিল টুকরো পৃথিবী আর মঙ্গল পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার ৫০ কোটি বছর পরে এর উপরে উল্কা বৃষ্টি হতে থাকে । এই ঘটনাকে বলা হয় কয়েক লক্ষ কোটি বছর ধরে পৃথিবীর সাথে এই ঘটনা ঘটে চলতেই থাকে । আর এই উল্কাবৃষ্টি থেকে আমাদের ছাড় পায়নি যার প্রমাণ হিসেবে আজও চাঁদের গায়ে গোবর গুলো আছে এই সময় আমাদের চাঁদ উঠেছিল ।এই ধূমকেতু আর গ্রহ গুলোর মধ্যে কিছু কিছু নিজেদের সাথে ছিল তাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে বহুল পরিমাণে জল এসে পৌঁছায় । কোটি কোটি বছর ধরে পৃথিবী আর চাঁদের উপর এই উল্কা বৃষ্টি হতেই থাকে। কোটি কোটি বছর পর ধীরে ধীরে পৃথিবীতে একত্রিত হয় আর তার ফলে পৃথিবীতে একাধিক মহাসাগর এবং মেঘের সাথে পৃথিবীতে নাইট্রোজেন আসে । কিন্তু তা সত্বেও পৃথিবীতে প্রাণের জন্ম হয়নি কেন পৃথিবীতে অক্সিজেনের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল তখনো হয়নি তখনো পৃথিবীতে জীবনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি ।৩৮০ কোটি বছর আগে এই গুলো তাদের সাথে কেবল এনেছিল কার্বন প্রোটিন এখান থেকে পৃথিবীর পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে ।
পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে কত বছর আগে |
মানুষ কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল?
আরও পড়ুন: কেন এলিয়েনদের সাথে আমাদের এখনো দেখা হয়নি? ভিনগ্রহের প্রাণীদের সম্পর্কে
তখন সমুদ্রের গভীরে তাপমাত্রা অনেক কম ছিলো আর এখানে সূর্যের উষ্ণতা পৌঁছে ছিল না তারপর সমুদ্রের গভীরে থাকে এবং রাসায়নিক পদার্থগুলো মিলেমিশে তৈরি করে ।এগুলো ছিল এককোষী জীব এদের বলা যেতে পারে এগুলো কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেদের মানিয়ে নিয়েছিল । কিন্তু তারপরেই ব্যাকটেরিয়াগুলো সংখ্যায় ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে যে ব্যাকটেরিয়া পরিপূর্ণ হয়ে যায় কোটি কোটি বছর পরে এই ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি পায় । তারা পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে একটা পাথরের মত বানিয়ে নেয় ।কিন্তু আজকের মত পৃথিবীতে ওঠার জন্য একটা বিশাল পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল আর তার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন অক্সিজেন আসবে কোথা থেকে ওই সময় সমুদ্রের গভীরে কিছু অদ্ভুত বিক্রিয়া করতে শুরু করে ।এই ব্যাকটেরিয়াগুলো সূর্যের রশ্মি নিয়ে সেগুলো বিশ্লেষিত করে তা থেকে অক্সিজেন তৈরি করতে শুরু করে দেয় ।এভাবেই পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন তৈরি করত । তা যথেষ্ট ছিল না কিন্তু কোটি কোটি বছর ধরে যে অক্সিজেন তৈরি করেছিল তা নেহাত কম ছিল না ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অক্সিজেনের পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে ।
আরও পড়ুন: কি হবে যদি সমুদ্রের জল শুকিয়ে যায়?
কিন্তু তারপরেও কয়েকশো কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে জীবনের কোনো অস্তিত্ব ছিলনা ।আর পৃথিবীতে এতটাই পরিপূর্ণ ছিল পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু কিছু কিছু বদল ঘটতে থাকে ফলে ভূপৃষ্ঠে চলাচল করতে শুরু করে তার ফলে সবাই পরস্পরের সাথে জুড়তে শুরু করে। এবং সুপেরকন্টিনেন্ট তখন পৃথিবীর উষ্ণতা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আজ থেকে প্রায় ৭৫ কোটি বছর আগে পৃথিবীর দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় । এরপর থেকেই ধীরে ধীরে পৃথিবীর অবস্থায় রূপান্তরিত হতে শুরু করে বন্ধুরা আপনাদের কেমন লাগলো সেটা আমাকে কমেন্ট করে জানান আর একটা লাইক করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন ।