মোবাইল ফোন ও টাওয়ার কিভাবে কাজ করে ? চুলুন জানি


মোবাইল ফোন ও টাওয়ার কিভাবে কাজ করে ? চুলুন জানি
কথা বলচ্ছে

মোবাইল ফোন ও টাওয়ার

মোবাইল ফোন তো আমরা সবাই ব্যবহার করে থাকি যদি আমাদের কাউকে ফোন করতে হয় তবে তার নাম্বারটা আমরা আমাদের ফোনে টাইপ করি তারপর ডায়াল করি । এবং সাথে সাথে সেই ফোনটা তার কাছে চলে যায় যাকে আমরা কল করেছিলাম । কিন্তু একবারও কি আপনি ভেবেছেন যে ফোনেতে আমরা যে কথা বলি সেগুলো হওয়ার মাধ্যমে কি করে অন্য একজনের কাছে চলে যায়? আর তাও ইন্সট্যান্টলি সোজাসুজি বললে মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে আজকে এই পোষ্টে আমরা সেটাই জানার চেষ্টা করব । যে মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে মোবাইল ফোন সম্পর্কে জানার আগে টেলিফোন সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক । আগে আমরা টেলিফোনকে ব্যবহার করতাম সে ক্ষেত্রে যখন একটা টেলিফোন থেকে টেলিফোনে কল করা হতো সেখানে করার জন্য এবং কথা বলার জন্য একটা ডাক্তারের লাইন পাতা থাকতো । 

চুলুন জানি

আর এর মাধ্যমে আমাদের যে আওয়াজটা আছে সেটা এক শহর থেকে অন্য শহরে কিংবা এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যেত । কিন্তু মোবাইল ফোনে কোন রেসপন্স নেই সুতরাং ওয়ারলেস কমিউনিকেশন করার জন্য আমাদের কাছে এমন একটা ডিভাইস দরকার,যার সাহায্যে আমরা যে কথা বলি সেটা অটোমেটিকালি একটা সিগন্যাল হিসেবে ট্রানস্ফার শুরু হয় । এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় তার ছাড়াই সিগন্যাল টা চলে যায় । আপনি যখন ফোন করতে যান আপনার কলটি প্রথমে আপনার টাওয়ারে যায়, সেখান থেকে প্রধান কেন্দ্রে চলে যায়। কেন্দ্রে সে খুঁজে বের করে আপনার কাঙ্ক্ষিত ফোন নাম্বারটি কোন টাওয়ার এবং সাব-ডিবিশানে আছে। এর পর সে সাব-ডিবিশানে যায় এবং ওখান থেকে টাওয়ার হয়ে ওই ফোন নাম্বার কিংবা মোবাইলে কলটি যায়।

এখন আমি কলকাতাতে আছি এখান থেকে আমি একজনকে কল লাগাতে মুম্বাইতে আছে তাহলে আমার কাছে যে ফোনটা আছে সেটা কি অত দ্রুত গতিতে সিগন্যাল বের করতে পারবে ? যে ইন্সট্যান্টলি মুম্বাইতে চলে যাবে তারপর আমার কলটা আমি যাকে করেছিলাম তার কাছে পৌঁছে ফোন রিং হবে । সেও ফোনটা রিসিভ করবে এবং ইন্সট্যান্টলি আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারি । তার মানে আমার কাছে যে ফোনটা আছে কলকাতাতে সেটা সিগন্যাল ট্রান্সলেট করবে এবং মুম্বাইতে যে আছে সে রিসিভ করবে তো এত দ্রুত গতিতে একটা মোবাইল ফোন সিগন্যাল ট্রান্সলেট করতে পারে না । আর এই কাজটা কি করার জন্য আমাদের কাছে আসে টাওয়ারের কনসলে অতএব আমরা যখন কাউকে ফোন করি তখন সেই সিগন্যাল টাওয়ারের চলে যায় । 

এবং টাওয়ারের দায়িত্ব হলো ওই ছেলেটাকে যাকে ফোন করেছি তার কাছ পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। সহজ ভাবে যদি দেখা যায় তবে আমি কাউকে ফোন করেছি এবার আমার ফোনে আছে মাইক্রোফোন । আমি যখনই কোনো কিছু বলছি সঙ্গে সঙ্গে অটোমেটিক্যালি সেটা টাইপ হয়ে যাচ্ছে । তার মানে তে কনভার্ট হয়ে যাচ্ছে কন্টিনিউয়াসলি আমার এই ভয়েসটা আমার ফোনে লাগানো যে আছে তার মাধ্যমে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ এ কনভার্ট হয়ে যাবে ।কারণ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ না হয় তবে সিগন্যাল টাওয়ার পর্যন্ত কোন ভাবে পৌছাবেনা । 

আমাদের কথাগুলো প্রথমে কনভার্ট হয় এবং তারপর সেটা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ এ কনভার্ট হয় আমাদের ফোনের মধ্যেই হয় । তার পরিবারের কাছে ফোন করেছি তার ফোনটা তখন রিসিভ করবে আমার ফোন থেকে সিগনাল ট্রান্সমিট হয়েছিল যাকে ফোন করেছি তার ফল হিসেবে সেটাকে রিসিভ করবে । কিন্তু যখন তার ফোনটা রিসিভ করবে তখন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ থাকবে । তারপর সেটাকে ডিলিট করবে এবং তার ফোনের স্পিকার আছে সেই স্পিকারের মাধ্যমে আমার কথাগুলো শোনা যাবে । অতএব যে ফোন করছে তার কথাটা প্রথমে ডিজিটালে কনভার্ট হয় তারপর সেটা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ এ কনভার্ট হয় এবং এতে তার ফোনে প্রথমে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ ঢুকে ।

তারপর সেটাকে এবং স্পিকারে সমস্যা হলো আমি তো আপনাদের বলে দিচ্ছি এইটার থেকে শুনতে খুব সহজ লাগছে । কিন্তু সারা পৃথিবীতে একটাই টাওয়ার নেই এমনকি লক্ষ লক্ষ টাওয়ার আছে এবং কি এখন প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা টাওয়ার আছে । তাহলে নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার বুঝবে কি করে যে তাকে কোন টাওয়ারে সিগনাল সেন্ড করতে হবে । তার মানে আমার কাছে যেটা ছিল তার কাছে চলে গেল কিন্তু ওইটা কি করে বুঝবে যে যাকে ফোন করে সে কোন টাওয়ার এর আন্ডারে আছে । কিংবা ধরুন কোন এলাকা আছে আপনার জানার জন্য ভুল দিয়েছে টাওয়ারের কাছে এরকম কোন ক্ষমতা থাকেনা যে ওইটা আবার করতে পারবে । 

আরও পড়ুন: কিভাবে তৈরী হচ্ছে কৃত্রিম ব্ল‍্যাক হোল ।Artificial black hole

যে তাকে অন্য কোন টাওয়ারে সিগনাল টাকা সেন্ড করতে হবে প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা টাওয়ারের হিসেবে ডিলিট করা থাকে । অতএব প্রত্যেক টাওয়ার এর আন্ডারে একটা পার্টিকুলার এরিয়া থাকে দূর থেকে আমাদের কাছে সিগন্যালটা আসে তাকে আমরা ভেজটেশন বলে থাকি । বলা হয়ে থাকে অর্থাৎ আমাদের কাছ থেকে সিগন্যাল এবং আমাদেরকে সিগনাল দেয় এবারে আমাদের ফোনের সঙ্গে কানেক্ট থাকবে সেটা দিরেক্টলি কানেক্টেদ থাকে । 

আরও পড়ুন: চিনি কিভাবে তৈরি হয়?

অর্থাৎ মোবাইল সেন্টার এর সাথে কানেক্টেড থাকে আপনাদের এলাকায় আছে সেই প্রত্যেকটা এলাকাভিত্তিক একটা করে মোবাইল সুইচিং সেন্টার থাকে । যার মধ্যে আপনার ফোনের সমস্ত ইনফরমেশন থাকে আপনার এলাকাতে যেটা থাকে তার কাজ হল আপনার কাছ থেকে সমস্ত ইনফরমেশন নিয়ে এমএসসি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া । আর ওই মোবাইল সুইচিং সেন্টারের কাজ হলো যে আপনার কাছ থেকে যে সিগন্যাল টেস্ট সেটাকে পর্টিকুলারলি সেই জায়গা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার । যেখানে আপনি কল করেছেন এই মোবাইল সুইচিং সেন্টারগুলো প্রত্যেকটা শহরে আলাদা আলাদা থাকে ওই শহরের যতটা আছে ওই

মোবাইল ফোন ও টাওয়ার কিভাবে কাজ করে  চুলুন জানি 1
মোবাইল পারস

মোবাইল সুইচিং সেন্টার এর সঙ্গে কানেক্ট থাকে । শহরের সমস্ত মোবাইল সিগন্যাল ওই শহরের এমএসসি পর্যন্ত আসে তারপরে ওখান থেকে ট্রান্সফার হয় । এবার ওই মোবাইল সুইচিং সেন্টারগুলোর মধ্যে আপনার সমস্ত ইনফরমেশন থাকে আপনার ফোনের আইএমইআই নাম্বার কত আপনার ফোনটা কোন টাওয়ার এর সঙ্গে কানেক্ট আছে । এমনকি আপনার ফোনে কত ব্যালেন্স আছে এই সমস্ত ইনফরমেশন মোবাইল সুইচিং সেন্টারগুলোর কাছে থাকেন । আর বাকি যে সমস্ত মোবাইল সুইচিং সেন্টার আছে সব একে অপরের সাথে কানেক্টেড থাকে অথবা সম্পর্কিত জোকস আছে ওই মোবাইল স্যুইচড সেন্টারে আছে । এবার ব্যাপারটা হলো আপনার যেখানে পৌঁছতে হবে সেটাকে সুইচ করাতে হবে মানে আপনি যেখানে কল করেছেন সেটা কোচিং সেন্টার এর সঙ্গে কানেক্ট আছে । 

এবং কোন টাওয়ারের আন্ডারে সেই ব্যক্তি যাকে আপনি কল করেছেন অটোমেটিক্যালি এরকমভাবে সুইচ করতে করতে আপনার কলটা সেই ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যায় যাকে আপনি ফোন করেছেন । এবার আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন যখনই আপনি কাউকে ফোন করেন তখন লাগার আগে এরকম ধরনের শব্দ হয় কেন? এটা এই কারনেই হয় যে মাঝখানে যে প্রশ্নগুলো হচ্ছে মানে একটা শুটিং সেন্টার থেকে আরেকটা সুইচিং সেন্টারে আপনার ফোনটা ট্রানস্ফার হচ্ছে । এই সবকিছুর জন্য যেটা হয় তার জন্য এরকম টুকটুক টুকটুক করে শব্দ হয় । আপনার যেটা মনে হয় যে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার ফোন লেগে গেল এবং আপনি খুব ইজিলি ফোনেতে কথা বলছেন এটা আমাদের মনে হয় আমাদের আর কি আমারও তো এগুলো কখনো ভাবিও না । আমরা শুধু ফোনের ডায়াল করেই সাথে সাথে কল লেগে যায় আর বিন্দাস কথা বলতে থাকি ।

এবার আপনি ধরুন কাউকে ফোন লাগিয়েছেন অথচ নেটওয়ার্ক তাকে খুঁজে পাচ্ছে না মানে ডিসাইড করতে পারছে না । যে কোন নেটওয়ার্ক আরে সেই ব্যক্তি টা আছে তখন উল্টো দিক থেকে আপনাকে বলবে যে যে ব্যক্তি কে আপনি ফোন করেছেন তিনি নেটওয়ার্কের বাইরে আছে । এবার ধরুন এরকম অবস্থায় মানে যদি কোন নেটওয়ার্কের বাইরে মোটামুটি কুড়ি মিনিট থেকে ৩০ মিনিটের মত থাকে তখন আপনাকে বলবে যে ব্যক্তি কে আপনি ফোন করেছেন তার ফোন সুইচড অফ আছে । মানে ধরুন আপনি যদি আপনার ফোন থেকে বার করে রাখেন কিংবা ফোনকে অনেকক্ষণ ধরে ফ্লাইট মোডে রাখেন তাহলে আপনার ফোন সুইচ অফ না থাকলেও নেটওয়ার্ক কিন্তু আপনাকে বলবে যে উনার ফোন সুইচ অফ আছে । যাকে আপনি ফোন করেছেন এবার ধরুন আপনি কাউকে ফোন করেছেন এবং সেই ব্যক্তিটি অন্য কলে ব্যস্ত আছে তখন সিগন্যাল তো ওর ফোন পর্যন্ত পৌঁছে যাবে । কিন্তু ওর ফোন বলবে যে আমি এখন ব্যস্ত আছি আর সাথে সাথে নেটওয়ার্ক প্রবাহ আপনাকে বলে দেবে যে যাকে আপনি ফোন করেছেন তিনি অন্য কলে ব্যস্ত আছেন ।

আপনি কিছুক্ষণ ওয়েট করতে পারে এরকম ভাবেই সাধারণত এই কাজগুলো হয়ে থাকে এত কিছু একটা করতে হয়। আমাদের ফোন কল করার জন্য এই সব কিছু আমরা এমনিতেই পেয়ে গেছি আমাদের এত কিছু ভাবতে হয় না । আমরা শুধু ফোন করি আর লেগে যায় । আর এই সবকিছু তো আল্লাহ দান, তাই নিয়েই সবকিছু আমরা আমাদের ব্রেইন থেকে বের করেছি । সুতরাং একটা মানুষের মাথার মধ্যে কত ক্ষমতা থাকে আপনার ব্রেইন কে যদি আপনি সঠিক কাজে ব্যবহার করতে পারেন । তবে সেখান থেকে এত লাভ পাওয়া যায় যে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না । 

এবার আমরা ফোনের মাধ্যমে যে কথাগুলো বললি সেগুলো কিন্তু এনক্রিপটেড থাকে মানে কেউ চাইলেও ওটাকে মাঝপথে শুনে নিতে পারবে না । আপনার ফোনের সিম টা থাকে তার মধ্যে একটা এনক্রিপশন কিট থাকে আর যার জন্য আপনি যে কথাগুলো বলে সেগুলো সমস্ত কিছু এনে থাকে । তাহলে একবার ভাবুন যে আপনি আপনার ফোনে তে যে এই ভিডিওটা দেখছেন এটা কত ধরনের কত রকম ভাবে আপনার কাছে আসছে । সে আপনি ফোনের ডাটা ইউজ করে দেখুন কিংবা ওয়াইফাই যেখানেই থাকুন না কেন আমাদের এসব কিছু ভাবতে হয় না । আমরা শুধুমাত্র ফোনের মধ্যে ভিডিও দেখি এনজয় করি । তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আর কি মনে হয় সেটা কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন সমস্ত বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন তারাও জানে কীভাবে আমাদের এই ফোন কল কাজ করে ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url