স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে?বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এখন কোথায়
স্যাটেলাইট |
স্বাগতম জানাচ্ছি টেকনোলজি সম্পর্কিত একটি পোষ্টে । শুরুতেই বলে দিচ্ছি স্যাটেলাইটের সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সংগৃহীত । আমার নিজের তৈরি কোন মনগড়া তথ্য নয় । আপনিও যদি বই-পুস্তক ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করেন তাহলে তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন । তবে আমি আপনাদের মাঝে সঠিক তথ্য সহজভাবে শেয়ার করার চেষ্টা করছি ।বর্তমানে কমবেশি সবার মাঝে স্যাটেলাইট নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের তৈরি হয় । ঠিক তেমনি কিছু প্রশ্ন হচ্ছে
স্যাটেলাইট কি?
স্যাটেলাইটের গঠন কি?
স্যাটেলাইট নিজ কখপথ থেকে আলাদা হয়ে যায় না কেন?
স্যাটেলাইট কিভাবে পাঠানো হয়?
স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে ?
বর্তমানে মহাকাশে সরকারি-বেসরকারি মিলে ১১০০ টির উপরে কার্যরত স্যাটেলাইট রয়েছে ।
উন্নত দেশ থেকে শুরু করে স্বল্প উন্নয়নশীল দেশেও স্যাটেলাইট পাঠানোর কঠিন প্রতিযোগিতায় নেমে গিয়েছে ।একটা কথা মনে রাখবেন কোন কিছু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের চেয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ।
স্যাটেলাইট
প্রথমেই আসা যাক স্যাটেলাইট কি স্যাটেলাইট হলো একটি অবজেট বা বস্তু যা আর একটি অবজেট কেকেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করে ।নিশ্চয়ই আপনি ভাবছেন তাহলে এখন কি পৃথিবী একটি স্যাটেলাইট ? উত্তর হল পৃথিবীর হ্যা । স্যাটেলাইট কারণ পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরছে । আর চাদঁ অবশ্যই একটি স্যাটেলাইট পৃথিবী কে কেন্দ্র করে চাদঁ ঘুরছে ।
কিন্তু আজকাল স্যাটেলাইট বলতে বুঝানো হয় মানুষের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহগুলি ।চাদঁ ও পৃথিবীর হল প্রাকৃতিক স্যাটেলাইট ।মানুষ তৈরি স্যাটেলাইটগুলো হলো মূলত মানুষের তৈরি যন্ত্র । অর্থাৎ সহজভাবে বলা যায় স্যাটেলাইট হল একটি বস্তু । যা তথ্য সংগ্রহের জন্য ,অথবা যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে পৃথিবীর বা চাদঁ অন্য কোন গ্রহের কক্ষপথের স্থাপন করা হয় ।
স্যাটেলাইটের গঠন
স্যাটেলাইট সাধারণ বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে । তবে প্রত্যেকটি স্যাটেলাইটে দুটি কমন অংশ থাকে । না এবং শক্তির উৎস ও সংগ্রহের কাজ করে থাকে ।বিভিন্ন ধরনের রয়েছে যেমন প্যারাবোলিক ইত্যাদি নির্ভর করে মূলত স্যাটেলাইটের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এর উপর এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ শক্তির উৎস হিসেবে সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারি সোলার প্যানেলের মধ্যে সূর্যালোক করে শক্তি তৈরি করে ।
স্যাটেলাইটের চলমান রাখার জন্য সোলার সেল এবং ব্যাটারি অত্যাধিক প্রয়োজনীয় লোকের উপস্থিতিতে শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করার সুযোগ না থাকলে ব্যাটারি শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে থাকে । স্যাটেলাইট থেকে আলাদা হয়ে যায় না কেন উপগ্রহ পৃথিবীর চতুর্দিকে গতিশক্তি বাইরের দিকে প্রদান করে কিন্তু পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর আওতার বাইরে যেতে দেয় না ।উপগ্রহ প্রদান করে এবং কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে যেহেতু মহাকাশের অস্তিত্ব নেই । এটি বাধাহীনভাবে পরিক্রম করে কৃত্রিম উপগ্রহ গুলি করে না তার গতি ডিম্বাকৃতির স্যাটেলাইট কিভাবে পাঠানো হয় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাঠানো হয় পাঠানোর সময় রকেট নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয় ।
সিস্টেম মেকানিজম পৃথিবী ঘন্টায় ২৫ হাজার ৯৪০ মারতে হয় কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন ও তার ওপর প্রভাব রয়েছে । এর জন্য সামঞ্জস্য বিধান করতে না পারলে কৃত্রিম উপগ্রহ ভূপৃষ্ঠ চলে আসতে পারে এজন্য কৃত্রিম উপগ্রহের ১৫০ মাইল প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১৭ হাজার মাইল গতিতে পরিভ্রমণ করানো হয় । মূলত গতিবেগ কত হবে তা নির্ভর করে কৃত্রিম উপগ্রহটি পৃথিবী থেকে কত উচ্চতায় রয়েছে । তার ওপর পৃথিবী থেকে ২২২৩০ স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবীর আবর্তন করে ।পৃথিবীর কৃত্রিম উপগ্রহগুলি ২৪ ঘন্টা করে স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে এবং পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ পৃথিবীকে কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে ।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বর্তমান অবস্থান ও জানাবো আসলে কি স্যাটেলাইট মানে যে কোন রকেট হবে আর তাতে একগাদা যন্ত্রপাতি বসানো থাকবে এমনটা নয় । বরং স্যাটেলাইটের সাধারণ অসাধারণ একটি ছবিকে কেন্দ্র করে লাগাতে কোন কক্ষ প্রদক্ষিণ করে সেটিকে স্যাটেলাইট বলা হয় । যেমন চাঁদ হলো প্রকৃত স্যাটেলাইট উপগ্রহ পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে বাধ্য করেছেন । আকাশে রকেটে করে ছেড়ে দেওয়া স্যাটেলাইট যেগুলোকে আমরা প্রকৃত স্যাটেলাইট হিসেবে চিনি । সেগুলো আর্টিফিশিয়াল স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ এবং একটি নির্দিষ্ট পথে অবিরত প্রদক্ষিণ করেন এবং পৃথিবী থেকে বিভিন্ন দূরত্বে প্রদক্ষিণ করতে পারে । সাধারণত একটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এর উপর অবস্থিত থাকে ।২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত সরকারিভাবে চূড়ান্ত অনুমোদিত হয় ।
ওই বছরের কোম্পানির সাথে স্যাটেলাইট সিস্টেম করা বাবদ ২ হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তি সই করে ।এরপর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির অংশ হিসেবে এইচএসবিসি ব্যাংকের সাথে ১৪ কোটি টাকার ঋণচুক্তি করে ।সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে গত ‘১২ ই মে থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ মহাকাশে গেল বাংলাদেশের প্রথম টেলি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট ৫৭০০ কিলোমিটার উচ্চতায় যাওয়ার পর স্টেশন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । এবং স্ত্রীর সাথে কিলোমিটার থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে । এটি কে নিয়ন্ত্রণ করে জন্য নির্ধারিত ১১৯.১ চূড়ান্তভাবে বসানো হয়েছে বাংলাদেশ ১৫ বছরের জন্য এই অর্বিতালস কিনেছে স্যাটেলাইট কোম্পানি ।
ইন্টারনেট থেকে যাতে খরচ হয়েছে দুইশো কোটি টাকা প্রায় ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করছে । আমাদের এই স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ কেজি এবং এর যোগাযোগের জন্য ৪০ ট্রান্সপন্ডার এর মধ্যে বৃষ্টি ।বাংলাদেশ নিজে ব্যবহার করবে আর বাকি ট্রান্সপন্ডার বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেওয়া হবে ।বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতোমধ্যে গাজীপুরের জয়দেবপুর রাঙ্গুনিয়াতে গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ করেছে । বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড নামের বিশেষ রাষ্ট্রীয় কোম্পানি ।বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট অন্তত ৪০ জন স্যাটেলাইট টেলিভিশন ইত্যাদি হিসেবে কাজ অন্যান্য গ্রহের সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় ।
কিন্তু ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত আদান-প্রদানের জন্য শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখেরও বেশি গ্যাস স্টেশন ব্যবহার করেন ।এছাড়া ইন্টারনেট সেবা প্রভৃতি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের বছরে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে কারণ নিজের স্যাটেলাইট হলে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চড়া মূল্যে ভাড়া নিতে হবেনা । আশা করা যাচ্ছে স্যাটেলাইটটি কমপক্ষে ১৫ বছর কর্মক্ষম থাকবেন এবং নিয়ে জানা যায় স্টেশন থেকে স্যাটেলাইটে তথ্য বাতায়ন রেজিস্ট্রেশন করাকে ডাউনলিংক বলে ।এবং সাবধানে ব্যবহার করা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় অনেক বড় হয় যেহেতু ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড এর তুলনায় কিন্তু খুব সমস্যায় ভুগে থাকে যার ফলে প্রচুর বৃষ্টি হয়ে যায় । তবে এই ফ্লেক্সিবিলিটি অনেক বেশী বেশী জাই হোক না কেন মহাকাশে স্যাটেলাইট থেকে বিশেষ করে ইনস্পেকশন সম্ভব ।এক জায়গায় বসে থেকে মহাকাশে স্যাটেলাইট এর উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীর বিভিন্ন ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানা আমাদের পৃথিবীর উপর থেকে পৃথিবীর দিকে নজর রাখতে সাহায্য করেছে ।এর ফলে আমরা জীবন বৃত্তান্ত সম্পর্কে জেনেছি মহাকাশে বিভিন্ন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া তথ্য সরবরাহ করে কতগুলো নেভিগেশন যেমন করে আবার কোন গুলো কমিউনিকেশনের জন্য ব্যবহৃত হয় স্যাটেলাইট ।