হঠাৎ যদি পৃথিবীর সব মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যায় তাহলে কী হবে?

 আচ্ছা বন্ধুরা আপনারা কখনো ভেবেছেন পৃথিবী থেকে যদি মানুষের অস্তিত্ব পুরোপুরি মুছে যাই তাহলে কি হবে ? 

হঠাৎ যদি পৃথিবীর সব মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যায় তাহলে কী হবে?
যদি পৃথিবীর সব মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যায় 

পৃথিবীর সব মানুষ বিলুপ্ত 

শুনতে বোকা বোকা মনে হলেও এর উত্তর কিন্তু অনেক অ্যাডভেঞ্চারাস হতে চলেছে আপনারা একবার ভাবুন না হঠাৎ যদি যাই মরিয়া আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায় কল-কারখানাগুলো নিস্তব্ধ হয়ে যায় বাবা-মা সন্তানকে শব্দ বন্ধ হয়ে যায় অথবা প্রেমিক-প্রেমিকার ঝগড়ার আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়  । তাহলে চারিদিকে কেমন একটা শূন্যতা বিরাজ করবে কি তাই তো শুধু তাই নয় আমাদের পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার পর এমন আরো অনেক কিছু হবে হয়ত । আপনারা স্বপ্নেও কখনো কল্পনা করেন নি তাহলে বন্ধুরা আজকের এই  আমি আপনাদের এটাই বলব যে মানুষ পৃথিবী থেকে পুরোপুরি উধাও হয়ে গেলে পৃথিবীর উপরে কি কি প্রভাব পড়বে । 

যদি আপনাদের এই বিষয়ে কৌতুহল থাকে তাহলে  শেষ পর্যন্ত অবশ্যই দেখুন তাহলে চলুন শুরু করা যাক । এই বিষয়ে কথা বলার আগে আপনাদের একটা কথা মনে করিয়ে দেই আর সেটা হলো আমরা কিন্তু শুধুমাত্র মানুষের হঠাৎ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া নিয়ে কথা এক্ষেত্রে কিন্তু উদ্ভিদ এবং প্রাণী জগৎ প্রকৃতির মধ্যে থাকছে । ২০০৭ সালে ঠিক এমনই একটা কনসেপ্ট এর উপর ভিত্তি করে একটা সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল যার নাম ছিল । সেখানে দেখানো হয়েছিল গবেষণা চলাকালীন একটা ভীষণ ক্ষতিকারক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে যা শুধুমাত্র মানুষের জন্য বিপদজনক ভাইরাসের কবলে পড়ে সমস্ত মানবজাতির জীবন শেষ হয়ে যায় । দুই হাজার কুড়ি সাল থেকে একটা ভাইরাস কিন্তু আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে যার নাম করোনাভাইরাস ।

 মানুষ বিলুপ্ত হওয়ার পর সময় অনুযায়ী পৃথিবীতে যা ঘটবে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা পর মানুষ বিলুপ্ত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরে সবার প্রথমে পৃথিবীর উপর প্রভাব পড়বে । কারণ ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে কারণ থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট এবং ডিজেল পাওয়ার প্লান্ট এর মতো কেউ থাকবে না । এই সময়ের মধ্যে থেকে বেশি প্রভাব দেখা যাবে না ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা পর । এবার অন্ধকার আস্তে আস্তে শুরু করবে কারণ ইতিমধ্যেই পাওয়ার ব্ল্যাক আউট হয়ে গেছে । গোটা বিশ্বে মোট ৪৩৫ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট আছে যা কন্ট্রোল করার জন্য কোনটি প্রয়োজন হয় পাম্পের সাহায্যে কারেন্ট এর মাধ্যমে চলে । আর কারেন্ট ছাড়া নিউক্লিয়ার স্টেশনে তাপমাত্রা বেড়ে যায় ফলে আগুনে পরিণত হয় আর বাড়তে বাড়তে থাকে বেরিয়ে আসবে এই সময় বায়ুমণ্ডলের ছড়িয়ে পড়তে শুরু করবে ।এবং মেয়েকে পরিণত হবে এবার থেকে রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়তে শুরু আর বন্ধুরা একটা নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কুড়ি হাজার বছরেরও বেশী সময় লাগে ।

 সব থেকে বড় উদাহরণ হল রাশিয়ার চেরনোবিল হাজার ৯৮৬ সালে ছিল সেখানকার অবস্থায়ও বিপদজনক আর যদি ৪৩৫ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট একসাথে ফেটে যায় তাহলে কী অবস্থা হবে ? নিশ্চয়ই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এক সপ্তাহ পরেই মানুষ তাদের প্রয়োজন মেটাতে মাটিতে জল বের করে যার ফলে একটা ভারসাম্য বজায় থাকে । মাটির নিচে জলের স্তর কখনও বিস্ফোরিত হয়ে বেরিয়ে আসে না কারণ সেটা একটা রাস্তা খুঁজে পাই এবার যদি না থাকে তাহলে তো স্বাভাবিক ভাবেই মাটির নিচে জলের স্তর বাড়তে থাকবে যার ফলে মাটিতে যে সমস্ত প্রাণী বসবাস করে তারা বাইরে বেরিয়ে আসতে শুরু করবে । আর যেহেতু তারা ছড়িয়ে পড়বে বড় বড় শপিং মল সুপার মার্কেটে ।আর এইভাবে ক্রমাগত নিজেদের খিদে মেটাবে যার ফলে বেড়ে যাবে যে তারা যুক্ত করবে । এক মাস পর যেহেতু এরোপ্লেন মোটরসাইকেল এবং সমস্ত পরিবহন মাধ্যম বন্ধ থাকবে ফলে কোন প্রকার দূষণ হবে না আর প্রকৃতি নিজেকে পুনরুদ্ধার করতে শুরু করবে ।

আরও পড়ুন: নাসার ইন্টারনেট স্পিড কত? পৃথিবীর ইন্টারনেট স্পিড সবচেয়ে বেশি কোন দেশের

আপনারা সকলেই জানেন যে পৃথিবীর খুব বেশি উদাহরণস্বরূপ দুই হাজার কুড়ি সালে যখন ভারতে প্রথম শুরু হয়েছিল তখন মাত্র এক মাসের মধ্যে কোনো গাড়ি-ঘোড়া না চলার কারণে পাঞ্জাব থেকে হিমালয় দেখা যাচ্ছিল হ্যাঁ বন্ধুরা । মানুষ তাদের বাড়ির ছাদ থেকে হিমালয় পর্বতের অপূর্ব দৃশ্য দেখতে পেত । কিন্তু বন্ধুরা এবার এটা চূড়ান্ত লেভেলের হবে কারণ এবার তো কোনো রকম থাকবে না ।আর তিন থেকে চার মাসে বায়ুমণ্ডল এতটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে আপনি খালি চোখে দেখতে পাবেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই সময় আমরা কেউ বেঁচে থাকব না । এসব দেখার জন্য আর বন্ধুরা আমরা চলে যাওয়ার কয়েক মাস পরে মানুষের প্রাণীদের মৃত্যু হতে শুরু করবে কারণ প্রাণীরা নিজেরা নিজেদের যত্ন রাখতে পারবে না এক বছর পর পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার এক বছর পরে সিমেন্ট এ বিল্ডিং ভেঙে পড়তে শুরু করবে টিকে থাকলেও বাড়ন্ত গাছ এবং জনগণের সামনে সেগুলো খুব বেশিদিন টিকতে পারবে না । ধীরে ধীরে অসত্য জাতীয় সড়কে ঘিরে ধরে আর তাদের

আরও পড়ুন: মঙ্গলের মাটিতেই মৃত্যু হল ইঞ্জেনুইটির হেলিকপ্টারে

অসত্য জাতীয় গাছ পুরো শহর কে ঘিরে ধরবে । আর তাদের শিকড় ছড়িয়ে পড়বে যে কংক্রিটের বিল্ডিং ভাঙতে শুরু করবে আর দেখতে দেখতে সমস্ত বিল্ডিং ধ্বংস হয়ে যাবে । তারপর মাটিতে মিশে যাবে এমনকি রেলওয়ে স্টেশন এয়ারপোর্টে অবস্থার হাত থেকে রক্ষা পাবে না । সেগুলো পুরোপুরি ধ্বংস স্তুপে পরিণত হবে ১০ বছর পর গত ১০ বছর ধরে রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব এই সমস্ত জায়গা গাছের শুকনো পাতায় থেকে যাবে সরবে এবং সেই বিল্ডিংটির পাটিকেল মাটিতে মিশে যাবে হয়ে যাবে গোটা পৃথিবী জঙ্গলে পরিণত হবে ।আগের মত হবে না সমস্ত বন্যপ্রাণীদের দিকে চলে আসবে যেমন বাঘ-সিংহ ইত্যাদি' ।

এবার যেহেতু মানুষের কোন অস্তিত্ব নেই তাই সামুদ্রিক প্রাণীদের জীবনে ফুটবে একটা রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিবছর মানুষের চাহিদার জন্য ১ ট্রিলিয়ন মেরে ফেলা হয় তাই মানুষের বিলুপ্ত প্রাণী দের পাশাপাশি সামুদ্রিক প্রাণীর বিলুপ্তি ।৫০০ বছর পর পৃথিবীতে আর কোন শহরে অস্তিত্ব থাকবেনা সমস্ত বিল্ডিং মাটি হয়ে যাবে যদিও পাথরের তৈরি করত তখনো সুরক্ষিত থাকবে ।এখানে ভীষণ ইন্টারেস্টিং ঘটনা ঘটবে যত প্রাণী আছে অর্থাৎ কুকুর বা বিড়াল যদি তারা কোনমতেই সময় বেঁচে যায় তাহলে তার দিকে এগিয়ে যাবে এর উল্টোটা হলো এবার ধীরে ধীরে তাদের পূর্বের আকারে ফিরে যাবে । এবং পুনরায় তাদের মত হিংস্র শিকারে পরিণত হবে ১০০০ বছর পর মানুষের বিলুপ্তির ১০০০ বছর পরে দীর্ঘ কয়েকশো বছর ধরে কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিবেশে নামে চাই সেটা মেঘের আকাশ নেবে । আর এত বছর ধরে প্রায় ৯৫% কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে প্রথমে মাটিতে এবং পরে দেবে সমুদ্রপৃষ্ঠের তৈরি হবে ।

 তাই কার্বন ডাইঅক্সাইড আর কখনো করবে না যার ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অনেক বেশি হয়ে যাবে ।১০০০০ বছর পর এবার কার্বন-ডাই-অক্সাইড শেষ হয়ে যাওয়ায় পৃথিবীতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাব একেবারেই থাকবে না যার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যাবে । এটাই হবে এবার পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে ৫০ হাজার বছর ৫০ হাজার বছর পর পৃথিবী থেকে নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে । যেহেতু প্লুটোনিয়ামের ৪৫ হাজার বছর পরে একেবারে শেষ হয়ে যায় তখন পৃথিবীর কোনো ক্ষতিকারক রাসায়নিক প্রভাব থাকবে না । 

হঠাৎ যদি পৃথিবীর সব মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যায় তাহলে কী হবে 1
পৃথিবীর সব মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যায়


আর এই সময় মানুষের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে আর কেউ জানতেও পারবেনা যে একসময় পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব ছিল । এক লক্ষ বছর পরে মানুষ যত টিভি রেডিও সিগন্যাল তৈরি করেছিল সেটা মানুষের বিলুপ্তির এক বছর পর ট্রাভেল করে আকাশগঙ্গার বাইরে পৌঁছে যাবে । আর যদি ইন্টেলিজেন্স এলিয়েন সিগন্যাল ধরে ফেলে তাহলে তারা বুঝে যাবে যে তারা পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারবে না । এতক্ষণ পর এক লক্ষ বছর পর্যন্ত কি কি হতে পারে তার একটা বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পনা করলাম । আশা করি  আপনাদের ভাল লেগেছে এবার আমাকে কমেন্ট করে জানান ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url