কেন এলিয়েনদের সাথে আমাদের এখনো দেখা হয়নি? ভিনগ্রহের প্রাণীদের সম্পর্কে

এলিয়েন

বন্ধুরা এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের সম্পর্কে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই কিন্তু কেন ? তাদের সাথে আমাদের এখনো সাক্ষাত হয়নি এই প্রশ্নটা কখনো কি আপনাদের মনে এসেছে ! আসলে আমাদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বয়স সাড়ে ১৩ বিলিয়ন বছর এর থেকেও বেশি আর যে কোন সভ্যতার পক্ষে নিজের উন্নতি সাধন এবং অন্য সভ্যতার সাথে দেখা করার জন্য এতটা সময় যথেষ্ট পরিমাণে । 

থেকেও বেশি গ্যালাক্সি আছে ট্রিলিয়ন তারা আছে কতজন আছে কতটি দেশ আছে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই । তারপরও আজ পর্যন্ত আমরা কোন এলিয়েন সভ্যতা কে খুঁজে পাইনি ।এলিয়েন সভ্যতা আজ পর্যন্ত আমাদের সাথে হাত মেলালেন সত্যিই ভীষণ অদ্ভুত । বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আছে যারা হয়তো আমাদের থেকে অনেক বেশি উন্নত । তারপরে মনটা কি করে সম্ভব তাহলে কি এলিয়েনরা আমাদেরকে এড়িয়ে যাচ্ছে নাকি ব্রহ্মান্ডে উন্নত সভ্যতা সময়ের সাথে সাথে নষ্ট হয়ে গেছে। নাকি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শুধুমাত্র আমরাই আছি বন্ধুরা ।এই সমস্ত প্রশ্ন এক মহান বিজ্ঞানী এবং এসেছিল যাকে বলা হয় যে আমাদের এটা ভাবতে বাধ্য করে।


কেন এলিয়েনদের সাথে আমাদের এখনো দেখা হয়নি? ভিনগ্রহের প্রাণীদের সম্পর্কে
এলিয়েনদের সাথে আমাদের এখনো দেখা হয়নি


কেন এলিয়েনদের সাথে আমাদের এখনো দেখা হয়নি

যে এই মহাবিশ্বের কোনো আধুনিক সভ্যতা কেন এখনো পর্যন্ত মানুষের সাথে যোগাযোগ করেনি । তাহলে বন্ধুরা আজকের এই  আমরা এটাই জেনে নেবো যে এমন কি কি কারণ আছে যেগুলো আমাদের এলিয়েনদের সাথে দেখা করতে দিচ্ছে না । তাহলে চলুন শুরু করা যাক নাম্বার ওয়ান ডিসটেন্স বন্ধুরা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এখনো পর্যন্ত আমরা কেন এলিয়েনদের সাক্ষাৎ হয়নি সেই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের ধারণা হলো তার মধ্যে দূরত্ব পৃথিবী ছাড়া আর কোথাও জীবনের অস্তিত্ব থেকেও থাকে তাহলে হয়ত আমরা তাদের সাথে কখনো দেখা করতে পারব না । আর এর মধ্যে সবথেকে বড় বাধা হলো দুটি স্থানের মধ্যে দূরত্ব আমাদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এতটাই বড় যে এখানে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মধ্যে কোটি কোটি আলোকবর্ষের ব্যবধান আছে।

হতে পারে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় জীবনের অস্তিত্ব আছে আবার এটাও হতে পারে যে এই এলিয়েনরা আমাদের থেকে অনেক বেশি উন্নত ।ব্রহ্মান্ডে অনেক এলিয়েন সভ্যতা প্রযুক্তিগতভাবে অনেক উন্নত হওয়ার পরেও অন্য ছেলের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে অক্ষম। কারণ হতে পারে যে এইসব সভ্যতা একে অপরের থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। আবার এমনটাও হতে পারে যে কোন সভ্যতা এত উন্নত নয় । যে তারা লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ দূরের কোন সভ্যতার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে । কারণ সভ্যতা নিজস্ব একটা জীবনকাল থাকে আর কোন সভ্যতার কাছে হয়তো এতটা সময় নেই যে তারা লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত কোন সভ্যতার সাথে দেখা করবে ।

আর যদি কোন সভ্যতা এমনটাও হতে চাই তাহলে সেখানে এমনটা করবে এই জন্য এই ধারণা অনুযায়ী আমরা একটা জালে আটকে পড়েছি। আর হতে পারে যে এই দূরত্ব অতিক্রম করে নতুন সভ্যতার অনুসন্ধান করা যে কোন সভ্যতার আয়ত্তের বাইরে ।

নাম্বার টু নট ইন্টারেস্টেড নট ইন্টারেস্টেড প্রথম সম্ভাবনায় বলা হয়েছে যে আমাদের পৃথিবী স্পেশাল তবে কিছু বিজ্ঞানী এমন আছেন যারা ঠিক এর উল্টোটা কে সঠিক বলে মনে করেন । তাদের মতে আমাদের পৃথিবীতে এত স্পেশাল নয় তাদের মতে ব্রহ্মান্ডে যদি কোন উন্নত সভ্যতা থাকে তাহলে সেটা এত উন্নত হবে । যা হয়তো আমরা কল্পনাও করতে পারি না সেই সভ্যতা হয়তো গ্যালাক্সি শক্তি ব্যবহার করতে শিখে গেছে । আর সেই সম্পদটি এত উন্নত আধুনিক যে তাদের সামনে আমরা পৃথিবীবাসী কীট পতঙ্গের মতো । এমন কোন উন্নত সভ্যতার আমাদের উপরে পড়েছে কিন্তু আমরা হয়তো তাদের জন্য বিশেষ কিছু নয় । যেমন আমাদের কাছে কীটপতঙ্গ তেমন বিশেষ কিছু নয় ঠিক তেমনি আমরাও তাদের কাছে বিশেষ কিছু নয় ।

এই শব্দটা এত উন্নত যে তারা হয়তো নিজেদের সমস্ত কাজ করতে পারে তার থেকে হয়তো আমাদের তুলনায় অনেক বেশী আধুনিক সভ্যতার ধর্ম জাতি এসব থেকে অনেক উদ্যোগ আছে ।এমন সভ্যতা যদি থাকে তাহলে তাদের জন্য পৃথিবীতে কিছুই নেই হয়তো আমাদের উপর তাদের কোনো আগ্রহই নেই । আর হতে পারে যে এই জন্য তারা এখনো পর্যন্ত আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন । এই নাম্বারের সাথে আমাদের দেখা না হওয়ার একটা অন্যতম কারণ হতে পারে । যে আমরা এই পৃথিবীতে কাকতালীয় ভাবে বসবাস করছি কিছু বিজ্ঞানীদের মতে আমাদের পৃথিবীর স্পেশাল তাদের মতে পৃথিবীতে বেশকিছু কারণে প্রাণের অস্তিত্ব আছে । আমাদের সূর্য এবং তা থেকে নির্গত শক্তি সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব পৃথিবীতে কার্বন এবং জলের পৃথিবীতে মহাসাগর এর অস্তিত্ব ওজোন স্তর বায়ুমণ্ডলের এমন প্রায় এক লক্ষ সম্ভাবনা আছে যার ফলে পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্ব সম্ভব হয়েছে ।

 পৃথিবীতে কার্বন এবং জলের খোঁজ পাওয়া পৃথিবীতে মহাসাগরের অস্তিত্ব ওজোন স্তর বায়ুমণ্ডলের বিস্তার এমন প্রায় এক লক্ষ সম্ভাবনা আছে যার ফলে পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্ব সম্ভব হয়েছে ।বিজ্ঞান অনুসারে যদি এর মধ্যে একটা সম্ভাবনাও কম থাকতো তাহলে পৃথিবীতে জীবনের কোনো অস্তিত্বই থাকত না । বন্ধুরা আজ পৃথিবীতে প্রায় ৮৭ লক্ষ প্রজাতি আছে যার মধ্যে মাত্র কয়েক প্রজাতির চিন্তা-ভাবনা করতে সক্ষম । যার মধ্যে ডলফিন শিম্পাঞ্জি এবং আমরা মানব জাতি এবং আমাদের মধ্যে ৯৮% ডিএনএ বিজ্ঞান অনুসারে কোটি কোটি বছর আগে আমাদের পুরা শিম্পাঞ্জির মতই ছিল । কিন্তু ক্রমিক বিকাশের পথ ২% ডিএনএ তে পরিবর্তন আসে ।তারপর আমরা প্রায়ই থেকে এডভান্স অস্ট্রালোপিথেকাস হোমো ইরেক্টাস হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স ক্রমাগত বুদ্ধিজীবীরা পৃথিবীতে বসবাস করছি ।

বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্ব এবং পৃথিবীর এই পুরো জীবনচক্রে শুধুমাত্র মানুষের বুদ্ধিমান হওয়া হয়তো এর মধ্যে কোন সংযোগ আছে তাদের মত এই পৃথিবীতে কাকতালীয়ভাবেই জীবনের সৃষ্টি হয়েছে । আর পৃথিবী ছাড়া বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের জীবনের অস্তিত্ব নেই ।

আরও পড়ুন: অক্সিজেন উড়ে যাবে! পৃথিবীতে থাকবে না কোনও প্রাণ, আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের

নাম্বার অফ এলিয়েন বন্ধুরা এখনো পর্যন্ত আমরা এলিয়েনের অস্তিত্ব প্রমাণ পায়নি এর কারনে এটাও হতে পারে যে হয়তো আমরা এলিয়েনদের বুঝতেই পারেনি । হতে পারে যে তারা অন্য কোন রূপে অন্য কোন ফর্মে আছে আমরা ব্রহ্মান্ডে এলিয়েনদের জন্য রেডিও সিগন্যাল সিগন্যাল ব্যবহার করতে জানিনা । হতে পারে তারা অন্য কোনো মাধ্যমে অর্থাৎ গ্রাভিটেশনাল অথবা অন্য কোন জিনিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে ।করতে পারিনি আবার এটাও হতে পারে যে এলিয়েনরা হয়তো আমাদের আশেপাশেই আছে কিন্তু আমরা তাদের বুঝতে পারিনা । আমাদের এবং আমরা এলিয়েন না খুঁজে পাওয়ার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী বলা হয় যে আমরা বসবাস করছি বন্ধুরা আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আর এই সম্ভাবনা একেবারেই ভুল নয় ।সেটাও কিন্তু বেশ কিছু বিজ্ঞানী দাবি করেছেন তাদের মতে আমরা যে সংসারে বাস করছি সেটা আসল নয় বরং একটা মায়াজাল কিছু ।

আরও পড়ুন: মিল্কিওয়ের কোথায় আছে ভিনগ্রহীরা ?

বিজ্ঞানীদের মতে আমরা অতি উন্নত সভ্যতার তৈরি কোন দুনিয়ায় বাস করছি যেভাবে আমাদের মোবাইলে সবকিছু জগতের মতো দেখতে পারি । রেকর্ড করতে পারি আমরা কাল্পনিক ভিডিও গেম তৈরি করতে পারি । সেখানকার কিছু চরিত্রকে আমরা কন্ট্রোল করতে পারি আবার কিছু চরিত্র কে এমন ভাবে প্রোগ্রাম করতে পারি যে তারা নিজে থেকেই যা ইচ্ছা করতে পারে । গেমের মধ্যে সেই চরিত্রগুলোর কাছে তাদের সেই জগদল হতেই পারে কিন্তু সেই চরিত্রগুলো জানেনা যে আমাদের কাছে সেটা একটা সিমুলেশন । 

আর সেই দুনিয়াটা আমাদের বানানো একটা মায়াজাল সিমুলেশন সিদ্ধান্তকে যেসব বিজ্ঞানীদের মতে হয়তো আমাদের এই সভ্যতা কোন শক্তির প্রোগ্রামিং । আর হয়তো তাদের প্রোগ্রামটা এমনটা নয় যে আমরা অন্য কোন সভ্যতার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারব ।আর হয়তো তারা তাদের নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য আমাদের তৈরি করেছে আসলেই সংসারও একটা মায়াজাল বন্ধুরা । যদি এই সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দিয়েছেন কিন্তু এটা একটা ধারণা এর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই ।আবার হতেও পারে এলিয়েনদের সাথে আমাদের দেখা না হওয়ার এটা একটা কারণ বন্ধুরা ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url